সজিব রেজা, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রামে তিন দিনব্যাপী ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে রহিম শাহ বাবা ভান্ডারীর মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সীরাতে মুস্তাকিম পরিষদ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এলাকায় লাঠিমিছিল কর্মসূচির পর এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার( ২৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেল পাঁচটার দিকে সীরাতে মুস্তাকিম পরিষদের ব্যানারে কয়েক হাজার ‘তৌহিদি জনতা’ ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লাঠি হাতে মিছিল বের করেন। ওই মিছিল রানীগঞ্জ বাজার প্রর্দশন করে রহিম শাহ বাবা ভান্ডারী মাজারের দিক স্লোগান দিয়ে এগিয়ে যায়। ওই মিছিল থেকে মাজারে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় মাজারের বিভিন্ন আসবাবপত্র, ঘরের টিন ও দেয়ালের ইট খুলে ফেলে হয়। সেখানে বিক্ষুব্ধ লোকজন বিভিন্ন স্লোগান দেন। তৌহিদি জনতা আগুন দিয়ে মাজারের চারপাশ ঘিরে অবস্থান নেওয়ায় সেখানে থানা-পুলিশ যেতে পারেনি।
ভাংচুরকারীদের অভিযোগ, মাজারটিতে গানবাজনা, মাদক সেবন ও অশ্লীল কর্মকাণ্ড চালানো হয়। এবং তারা কোরআন অবমাননা করছে। যার কারণে তেীহিদি জনতা এই ভাংচুর চালায়। এ সময় মাজারের খাদেম এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ভক্তরা মাজার থেকে পালিয়ে যায়।
রাতে ভাংচুর চালানোর সময় অনেকে মাজারের আসবাবপত্র নিয়ে যায়। তবে সেখানে মাজার ভক্তদের কাউকে পাওয়া যাইনি এবং তাদের বাধা দিতে দেখা যায়নি।
রাতে ভাংচুর চালানোর সময় অনেকে মাজারের আসবাবপত্র নিয়ে যায়। তবে সেখানে মাজার ভক্তদের কাউকে পাওয়া যাইনি এবং তাদের বাধা দিতে দেখা যায়নি।
স্থানীয় জনতা অভিযোগ করে জানান, কথিত পীরের এই মাজারে অসামাজিক কার্যকলাপ, জিকিরের নারী-পুরুষ একত্র হয়ে গান-বাজনা ও ভণ্ডামি করে থাকে। এগুলিকে কোনভাবেই ইসলাম পছন্দ সমর্থন করেনা। মুসল্লিরা আরও বলেন, এই অনৈতিক কাজ বন্ধের দাবিতে আমরা এর আগে বিক্ষোভ মিছিল ও গণ সমাবেশ করেছি। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসি সহ উর্ধতন কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছি। কিন্তু কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইসলাম ও ধর্মের নামে কোনো ধরণের নোংরামি আমরা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোনো ভাবেই বরদাস্ত করব না।
পরবর্তীতে ঘটনা স্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ উপস্থিত হয় এবং তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা চেষ্টা করে।