সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ পদ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় যুবলীগ নেতা নুরুজ্জামানকে আটক করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের পর তাকে আটক করা হয় এবং আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কলেজটির অধ্যক্ষ পদটি তিনজন দাবি করছেন। দাবিদাররা হলেন—হাছেন আলী, নুরুজ্জামান ও সালমা বেগম। গত রবিবার দুপুরে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরিদর্শনকালে নুরুজ্জামান ও হাছেন আলীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন নবীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় নুরুজ্জামানকে আটক করে পুলিশ।
হাতীবান্ধা মডেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাছেন আলী জানান, নুরুজ্জামানের অনুসারীরা কলেজে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নুরুজ্জামান গড্ডিমারী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং নিজেকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করেন। পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহামুদুন নবী জানান, কলেজে হামলার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে নুরুজ্জামানকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে কলেজটির অধ্যক্ষ পদ নিয়ে বিরোধ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এ নিয়ে পূর্বেও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। পুলিশ ও প্রশাসন নজরদারি বাড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বর্তমানে নুরুজ্জামানকে জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।