মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এদেশের জনগণ, কোনো বিদেশি গোষ্ঠী নয়—বাবর

নূরুল আলম কামাল, নেত্রকোনা : বিএনপি’র বহুল আলোচিত নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আমরা কোনো বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করবো না। আমাদের লড়াই শুধু স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের লড়াই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই। যারা বিদেশি শক্তির দালালি করে, দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়, তাদের […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯:০২

নূরুল আলম কামাল, নেত্রকোনা :

বিএনপি’র বহুল আলোচিত নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আমরা কোনো বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করবো না। আমাদের লড়াই শুধু স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের লড়াই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই। যারা বিদেশি শক্তির দালালি করে, দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এদেশের জনগণ। কোনো বিদেশি গোষ্ঠী নয়। 

রবিবার বিকেলে নেত্রকোনার ঐতিহাসিক মুক্তারপাড়া মাঠে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আবেগাপ্লুত। দীর্ঘ ১৭ বছর কারাগারে কাটিয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি। আপনাদের ভালোবাসা, দোয়া এবং সমর্থন আমাকে এই দীর্ঘ পথ চলতে শক্তি যুগিয়েছে। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আওয়ামী লীগ আমাকে মিথ্যা মামলা, ফাঁসির দণ্ড ও অকথ্য নির্যাতন করে দমিয়ে দিতে চেয়েছিল। তবুও আমি আপোষ কিংবা মাথানত করিনি। আমি সত্যের পথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। আওয়ামী লীগ আমাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলো। আল্লাহর অশেষ রহমত ও আপনাদের ভালোবাসা আমাকে আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছে।

বাবর আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আমাকে সাজা দেয়। আমার পরিবারকে নিপীড়ন, ভয়-ভীতি ও নানাভাবে হয়রানি করে। শুধু আমি নই, আমার দলের নেতাকর্মীরাও এই স্বৈরাচারী সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম ও খুন করা হয়েছে। জেল জুলুম ও নির্যাতন করা হয়েছে। তবুও আদর্শ থেকে সরাতে পারেনি।

পতিত সরকারের অত্যাচার নিপীড়নেও আমি মাথা নত করিনি, আপোষও করিনি। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও সত্য কথা বলবো। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জীবন উৎসর্গও করতে পারি। দেশ আমাদের, এদেশের মালিক জনগণ। তাই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী চরিত্র কারও অজানা নয়। তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। বিরোধী দলকে দমন করতে বিচার বিভাগ, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করেছে। জনগণের কন্ঠ রোধ করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে স্বৈরাতন্ত্রের কারাগারে পরিণত করে।

বাংলাদেশ এক গভীর সংকটের মুখ থেকে ফিরে এসেছে। দিল্লির দাসত্ব আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশিদের হাতে তুলে দেয় এবং সার্বভৌমত্বকে পদদলিত করে আওয়ামী লীগ। দেশের জনগণ আধিপত্যবাদ মেনে নেয়নি। আমরা কোনো পরাশক্তির গোলাম নই। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে জনগণ হবে সর্বক্ষমতার উৎস, যেখানে জাতীয় স্বার্থই হবে সবার আগে।

লুৎফুজ্জামান বাবর বলেন, আপোষহীন নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজও গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে আছেন। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, শত নির্যাতন সহ্য করে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসিনা সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় আটকে রেখেছে। কিন্তু তিনি এখনো আপোষ করেননি। তাঁর নেতৃত্বেই আমরা নতুন বাংলাদেশ দেখবো। ইনশাআল্লাহ!

দেশনায়ক তারেক রহমান প্রবাসে থেকেও দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশের মানুষের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উচ্চ শিখরে পৌছবে। আজকের তরুণদের সামনে তারেক রহমানই একমাত্র আশার আলো। তাঁর নেতৃত্ব, দল, সংগ্রাম সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

আমার সবচেয়ে বড় অপরাধ দিল্লীর আধিপত্যবাদকে ‘না’ বলেছিলাম। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমার অবস্থান ছিলো সর্বদা দেশের পক্ষে। দিল্লীর আধিপত্যবাদের বিপক্ষে। ভারতীয় আশীর্বাদপুষ্ট আওয়ামী সরকার চেয়েছিলো আমাকে মিথ্যা মামলায় দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিতে। 

জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ পতন হয়েছে। ছাত্র, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, শ্রমিক ও সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ফ্যাসিজমের প্রতীক হাসিনার পতন হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ছাত্র-জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। যাদের নেতৃত্বে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ২৪ এর ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের পর আমি মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছি। যদি প্রয়োজন হয়, আমি আবারও যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করব। তবুও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না।

সারাদেশ

পূজা মন্ডপের পাশে মুসলিম শিশু ধ/র্ষ/ণ, পূজামণ্ডপের সহসভাপতি ভজেন্দ্র সরকার গ্রেফতার

পূজা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে থাকা অবস্থায় ভজেন্দ্র সরকার কৌশলে শিশুটিকে ডেকে নেয়। পরে জোরপূর্বক নিজ ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড়ভাই ও স্বজনরা গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে

নিউজ ডেস্ক

০২ অক্টোবর ২০২৫, ০০:৩২

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার সুরাবাড়ীতে পূজা মণ্ডপের পাশে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত ভজেন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতার হওয়া ভজেন্দ্র সরকার (৫৫) আশ্রয়ণ প্রকল্প পূজামণ্ডপের সহসভাপতি এবং মেঘলাল সরকারের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, পূজা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে থাকা অবস্থায় ভজেন্দ্র সরকার কৌশলে শিশুটিকে ডেকে নেয়। পরে জোরপূর্বক নিজ ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড়ভাই ও স্বজনরা গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা ভজেন্দ্র সরকারকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। শিশুটির মা মোসা. ফাতেমা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং মামলাটি দ্রুত তদন্ত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি এমন অপরাধে জড়ান, তবে তা সমাজে গভীর ক্ষোভ ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে।

সারাদেশ

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল […]

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক

২৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল নেতা আশিককে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।

র‌্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ১০টায় উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকায় র‌্যাব -১৪ অভিযান চালিয়ে আশিক মাহমুদকে ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। উদ্ধারবকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৩ হাজার ৫শ টাকা। পরে র‌্যাব সদস্যরা আশিককে নালিতাবাড়ী থানায় সোপর্দ করলে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ আশিককে রবিবার রাতেই থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব । সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


এদিকে সোমবার বিকেলে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম আহমেদ বাবু সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান উজ্জ্বল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সারাদেশ

মামুনের খুলি ফ্রিজে, মাথার ব্যান্ডেজ লেখা ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়া। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা চার দিন লাইফ সাপোর্ট থাকার পর গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, আহত মামুনের […]

নিউজ ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়া। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা চার দিন লাইফ সাপোর্ট থাকার পর গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

এর মধ্যে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, আহত মামুনের মাথায় ব্যান্ডেজ। সেখানে লেখা, ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’। তার মাথার কিছু অংশে খুলি না থাকায় সতর্কতার স্বার্থে এটি লেখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত রোববার (৩১ আগস্ট) সংঘর্ষে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেশীয় অস্ত্রের কোপে মামুনের মাথায় মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে অপারেশন করে তার মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়েছে। তার খুলি এখন ফ্রিজে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানা গেছে।

সুস্থ হয়ে উঠলে দুই মাস পর মামুনের মাথার খুলি লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এছাড়া তার নাকে ও মুখে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি কানের পর্দা ফেটে গেছে।

মামুনের বন্ধু রাসেল রানা বলেন, ওর অবস্থা বর্তমানে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কেবিনে শিফট করা হয়েছে। ইশারার মাধ্যমে কথা বলার চেষ্টা করছে। ওর মাথার হাড় ভেঙে ভেতরে টুকরা টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। এজন্য মাথার পেছনে ব্রেইনের অংশে অপারেশন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খুলি পুনরায় লাগাতে ডাক্তার সাধারণত দুই মাস সময় চেয়েছেন। পরিস্থিতি ভালো হলে এক মাসের মধ্যে লাগানো যাবে। যদি অবনতি হয় তাহলে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। তবে বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত আছে।

এ বিষয়ে চবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, গত ৩১ আগস্ট প্রায় চার ঘণ্টা ধরে মামুনের অপারেশন করা হয়। অপারেশনে মামুনের মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়েছে। তার খুলি এখন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। তাকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার ফলে ব্রেইনের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

পার্কভিউ হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) জিয়াউদ্দিন বলেন, মামুন মোটামুটি ভালো আছে। তার সেন্সও ফিরে আসছে। এখন কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে। মাথার ব্রেনের অংশে অপারেশন করায় আপাতত খুলি খুলে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এ অবস্থায় তার মাথায় হাড় নেই। এক-দুই মাস পর অথবা অবস্থা অনুযায়ী খুলি আবার লাগানো হবে। সায়েমের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনকই বলা যায়।

তিনি আরও বলেন, গতকাল মেডিকেল বোর্ড বসেছিল। এখন আবার অপারেশন করতে হতে পারে, অথবা নরমাল চিকিৎসা যেভাবে চলছে, এভাবে চালিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।

গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।