নাজমুল হক চৌধুরী, নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মনোহরদীতে ব্রিজের নিচে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় ও হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। পরকিয়া প্রেমের জের ধরেই হত্যা করা হয় শাহিন আলম (২৯) নামের যুবককে। এই হত্যাকান্ডে এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার পাঁকান্দি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী শান্তা বেগম (৩৭) ও একই গ্রামের তাহের আলীর ছেলে মোঃ মোস্তফা (৩৮)।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) বিকেলে নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হান্নান।
প্রেস ব্রিফিং এ জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা স্বীকার করেন যে, নিহত শাহিন আলম শিবপুরে ফুচকা-চটপটির ব্যবসার করার সুবাদে শান্তা বেগমের সাথে পরিচয় হয়। পরে দুজনের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে চলে তাদের এ সম্পর্ক। এই সম্পর্ক ছিন্ন করতেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ জানুয়ারী (সোমবার) রাত সাড়ে ১০টায় শান্তা বেগমের পাঁচকান্দি বাড়িতে ডেকে নিয়ে শাহিন আলমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সবার চোখ আড়াল করতেই লাশ বস্তায় ভরে প্রতিবেশী মোস্তফার সহযোগিতায় প্রাইভেটকার যোগে লাশ পাশ্ববর্তী মনোহরদী থানায় সানমানিয়া নিয়ায় ফেলে আসেন
আরও জানা যায় , গত ২১ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) সাড়ে ৮টার দিকে মনোহরদীর শুকুন্দী ইউনিয়নের সানমানিয়া নিয়া ব্রিজের কাছে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় কৃষকরা। পরে স্থানীয়রা নিকটস্থ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। এসময় উপস্থিত লোকজন লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে না পারায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে খবর দিলে তারা লাশের ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে জানতে পারে যে নিহত ব্যক্তি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের ডনডনিয়া গ্রামের মোঃ নজরুলের ছেলে শাহিন আলম (২৯)।
পরে তথ্য ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেন। । পুলিশ আরও জানান, তাদের দেখানো মতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ২টি গামছা, প্লাস্টিকের বস্তা, মুখের মাস্ক, মাথার টুপি, স্যান্ডেল ১জোড়া এবং লাশ বহনকারী ১টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশী প্রহরায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।