১৪ ডিসেম্বর জাতীয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে সামনে রেখে ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জনসাধারণের প্রবেশ অধিকারের নিষেধাজ্ঞা জাতীয় শহীদ বুদ্ধিজীবী মিনার এরিয়ায়। চলছে উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম। ১৪ ডিসেম্বর জাতীয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বুদ্ধিজীবী শহিদ মিনার পরিষ্কার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম।
১৪ ডিসেম্বর জাতীয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, যেদিন জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হওয়া বুদ্ধিজীবীদের। প্রতিবছর এ দিনটি পালনে সারা দেশে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে পূর্ব প্রস্তুস্থি কার্যক্রম চলমান রয়েছে রাজধানী ঢাকার প্রণকেন্দ্র মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় বুদ্ধিজীবী শহিদ মিনার পরিষ্কার কার্যক্রম, পুনর্গঠন ও রঙ করা, বাতি স্থাপন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার চলছে!
কার্যক্রমের প্রধান ধাপগুলো:
১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: শহিদ মিনারের চারপাশের এলাকা পরিষ্কার করা, ময়লা আবর্জনা সরিয়ে নতুন ভাবে সজ্জিত করার কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
২. পুনর্গঠন ও রঙ করা: ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশ পুনর্গঠন ও মিনার এরিয়ার দেয়ালে নতুন রঙ লাগানো হচ্ছে।
৩. বাতি স্থাপন: মিনারের সৌন্দর্য বাড়াতে বিশেষ আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হবে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
৪. নিরাপত্তা ব্যবস্থা: প্রতিবৎসের ন্যায় শহিদ মিনারে ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ দায়িত্ব পালন করবে।
এছাড়াও আরো প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অন্যদিকে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ অফিস আদালতে দিনটি উৎযাপন করা হয়!
দিবসটিতে সারা বাংলাদেশে বিশেষ কার্যক্রম গুলোর মধ্যে,
১. প্রভাতফেরি: সকালে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
২. আলোচনা সভা: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ ও মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা।
৩. সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: কবিতা আবৃত্তি, গান এবং নাটকের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হয়।
৪. ডকুমেন্টারি প্রদর্শন: মুক্তিযুদ্ধকালীন বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের গল্প প্রদর্শন।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা জাতির সূর্যসন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে। ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে হত্যা করে দেশকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত চালায়। তাদের আত্মত্যাগে বাংলাদেশ আজ মুক্ত ও স্বাধীন।
জাতীয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের দায়িত্ব কতটা গুরুতর। এ দিবসটি আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দেশগঠনে কাজ করার প্রেরণা দেয়।