বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বানিজ্য

শুল্ক বৃদ্ধিতে ভারতের পরিবর্তে পাকিস্তান থেকে পশু খাদ্য আমদানি

বন্দর নির্মাণের পর প্রথমবারের মতো মোংলায় ভিড়েছে পশু খাদ্য (চিটাগুড়) বহনকারী একটি বাণিজ্যিক জাহাজ। এমভি ডলফিন-১৯ নামক পানামা পতাকাবাহী জাহাজটি বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়ে। এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ৫ হাজার ৫ শত মেট্রিক টন (চিটাগুড়) পশু খাদ্য নিয়ে জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে বন্দর জেটিতে ওই […]

ফারজিন লিটু

০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:৩৭

বন্দর নির্মাণের পর প্রথমবারের মতো মোংলায় ভিড়েছে পশু খাদ্য (চিটাগুড়) বহনকারী একটি বাণিজ্যিক জাহাজ। এমভি ডলফিন-১৯ নামক পানামা পতাকাবাহী জাহাজটি বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়ে।

এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ৫ হাজার ৫ শত মেট্রিক টন (চিটাগুড়) পশু খাদ্য নিয়ে জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে বন্দর জেটিতে ওই বাণিজ্যিক জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও আমদানিকারককে স্বাগত জানায় কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য-(হারবার ও মেরিন) সফিকুল ইসলাম সরকার ও উপপরিচালক মাকরুজ্জামান মুন্সিসহ বন্দরেরঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রথম বাংলাদেশি আমদানিকারক মণ্ডল এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ মোংলা বন্দরের মাধ্যমে পশুখাদ্য (চিটাগুড়) আমদানি করেছে।

এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক জানান, তিনিসহ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দেশের চাহিদা মেটানো শেষে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি চিটাগুড় রফতানি করতেন।
কিন্তু সুগার মিল কমে যাওয়ায় এবং গুড় তৈরি না করার কারণে এখন তারা আমদানি করে দেশের পশুখাদ্য চাহিদা মেটাচ্ছেন। তবে আগে তারা ভারত থেকে এই চিটাগুড় আমদানি করতেন।

রাজনৈতিক কারণে অন্য কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশি আমদানিকারকগণ এসব পণ্য আমদানি করতে পারতেন না। এ সুযোগে বাংলাদেশে এ পণ্য রফতানি উপর ভারত ৫০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে।

এ ব্যবসায়ী আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের ফলে তারা এখন পাকিস্তান থেকে পশুখাদ্য আমদানি শুরু করেছেন। পাকিস্তান থেকে আমদানি করা এ পণ্য প্রথম মোংলা বন্দরে আনা হয়েছে। এখান থেকে পণ্য খালাস করে সড়ক পথে নেওয়া হবে রাজশাহী বিভাগে।


পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানির ফলে দেশের বাজারে পশুখাদ্যের দাম কমবে বলে তিনি জানান।
এসময় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) সফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, বন্দর নির্মাণের পর এই প্রথম মোংলায় আসলো পশুখাদ্যবহনকারী বাণিজ্যিক জাহাজ।

যে সকল পণ্য আগে কখনো এ বন্দরে আসেনি নতুন করে এসব পণ্য আমদানির ফলে মোংলা বন্দরের রাজস্ব বাড়বে। তাই আগামীতে যেন জেটি থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে রেলস্টেশনে নেওয়া সম্ভব হয় এ জন্য পাইপলাইন বসানো হবে। এরপর ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহজে কম খরচে পৌঁছনো সম্ভব হবে।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রতিনিয়ত মোংলা বন্দরের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গেল ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ৭ মাসে মোংলা বন্দরে জাহাজ ভিড়ে ৪৯৬টি। ৬৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৩শত মেট্রিকটন পণ্য রফতানি করা হয়। ১২ হাজার ৮৩ টিউজ কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং এবং ১২টি জাহাজ থেকে ৬৭৫১টি গাড়ী খালাস করা হয়।

২০২৫ সালের শুরুতে জাহাজ আসার পরিমান বেড়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে এ বন্দরে জাহাজ ভিড়ে ৭৬টি। আর ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে জাহাজ ভিড়ে ৮৩টি।

বানিজ্য

১ শতাংশ চালও ভারত থেকে আমদানি করেননি ব্যবসায়ীরা

ভারত থেকে ৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করতে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তবে গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ চাল আমদানির শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানি করা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল। অর্থাৎ ২৫ দিনে সরকারি অনুমোদনের মাত্র শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ আড়াই বছর […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৩২

ভারত থেকে ৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করতে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তবে গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ চাল আমদানির শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানি করা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল। অর্থাৎ ২৫ দিনে সরকারি অনুমোদনের মাত্র শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

দীর্ঘ আড়াই বছর পর ব্যবসায়ীরা চাল আমদানির অনুমতি পেলেও ভারতে দামের ঊর্ধ্বগতি আর স্বল্প সময়ের কারণে এবার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ছিল কম। এতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল আসেনি দেশে।

ভারত থেকে চাল আমদানির শেষ দিন ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত ২৫ দিনে বেনাপোল স্থলবন্দরে মাত্র তিন হাজার ৩২০ টন চাল আমদানি হয়েছে।

এর আগে সরকার দেশের ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে তিন লাখ ৯২ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল চাল আমদানি।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট, অর্ক ট্রেডিং এবং সর্দার এন্টারপ্রাইজসহ আটটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব চাল আমদানি করেছে।

তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে সবশেষ তিনটি ট্রাকে করে ১০৫ টন চাল আমদানি হয়েছে। এ নিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে ৯৭ ট্রাকে ৩ হাজার ৩২০ টন চাল আমদানি হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। তার আগে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সেই সময় চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের ওপর ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়। এরপর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আর চাল আমদানি হয়নি।

সরকার চালের শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়ায় গত ১৭ নভেম্বর থেকে আবার চাল আমদানি শুরু হয়। অর্থাৎ গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে তিন হাজার ৩২০ টন চাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।

এছাড়া অনান্য বন্দর দিয়েও কম-বেশি আমদানি হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

যে সময় চাল আমদানির অনুমতি মিলেছে তখন দেশীয় বাজারে সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। এছাড়া ভারতের বাজারেও চালের দাম চড়া থাকায় লাভ নিয়ে শঙ্কা বাড়ায় অনেকেই আর আমদানি করেনি।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয় ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।

দুই লাখ ৭৩ হাজার টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। সরকার মাত্র ২৫ দিন সময় নির্ধারণ করে দেয়ায় অনেক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই স্বল্প সময়ের মধ্যে চাল আমদানি করতে পারেনি।

বানিজ্য

পাকিস্তানে রপ্তানি হবে বাংলাদেশের ওষুধ

বাংলাদেশের ওষুধ এবার রপ্তানি হতে পারে পাকিস্তানে। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ জানিয়েছেন, পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিতে আগ্রহী। স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করতে চায় পাকিস্তান। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার। প্রায় এক […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:০৫

বাংলাদেশের ওষুধ এবার রপ্তানি হতে পারে পাকিস্তানে। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ জানিয়েছেন, পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিতে আগ্রহী।

স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করতে চায় পাকিস্তান।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার।

প্রায় এক ঘণ্টার আলোচনায় তারা স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ আমদানি এবং দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে মতবিনিময় করেন।

হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, “বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিতে আগ্রহী।” তার মতে, দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানো সম্ভব।

এই আলোচনায় পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ মারুফ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশীদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

 

বানিজ্য

আজ থেকে কার্যকর,বর্ধিত দামেই কিনতে হবে সয়াবিন

বাজারে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। সারা দেশের বাজারে চলমান সংকটের মধ্যে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিল সরকার। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম হবে ১৭৫ টাকা, খোলা সয়াবিন বিক্রি […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:২০

বাজারে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। সারা দেশের বাজারে চলমান সংকটের মধ্যে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিল সরকার।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম হবে ১৭৫ টাকা, খোলা সয়াবিন বিক্রি হবে ১৫৭ টাকা।আগে বোতলজাত তেল ১৬৭ টাকা ও খোলা তেল ১৪৯ টাকা ছিল।

এছাড়া বাজারে পাঁচ লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ৮৬০ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৭ টাকা।

নতুন এই দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে সরবরাহ সংকট হয়েছে।