চারদেশীয় (বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ভূটান) স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা দিয়ে ৪২ মেট্রিক টন আলু গেল প্রতিবেশী দেশ নেপালে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বন্দরটি দিয়ে থিংকস টু সাপ্লাই নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ৪২টি মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করেছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।
জানা যায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের তাসীন ট্রেড লিংক নামের সিএন্ডএফের মাধ্যমে এই আলু আমদানি করা হয়।
তাসীন ট্রেড লিংক নামের সিএন্ডএফের মো. মমিন জানান, আমরা থিংকস টু সাপ্লাই নামের রফতানিকারক গ্রুপের মাধ্যমে আলুগুলো নেপালে পাঠাচ্ছি। এই আলু নেপালে কাকরভিটায় যাবে। আলু কোন অঞ্চলের জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলুগুলো রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ বেশ কিছু এলাকার।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন বলেন, আজ রোববার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৪২ মেট্রিক টন আলু নেপালে যাচ্ছে। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট সুবিধা থাকায় ব্যবসা ও পর্যটনে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করেছে স্থলবন্দরটি। স্থলবন্দরটিতে ৯৫ শতাংশই পাথর নির্ভর হলেও বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি পণ্য রফতানি হচ্ছে ভারত ও নেপালে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, চতুর্দেশীয় এ বন্দরটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রফতানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।
১৯৯৭ সালে নেপালের সঙ্গে এক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে প্রথম আমদানি-রফতানি শুরু হয়। ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হয়। বর্তমানে বন্দরটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মেট্রিক টন পাথর আমদানি হচ্ছে ।
আলুর বাম্পার ফলনে দেশের চাহিদা পূরণ করে ৪২ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি নেপালে
রপ্তানি ।