বাংলাদেশের ‘প্রথম ও দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বিতর্কে সরব হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রাজধানীর বাংলামোটরে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের তালিকা প্রকাশ, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও বিচারের দাবিতে এ আলোচনা সভা হয়।
তিনি বলেন, যারা লুটপাটের রাজনীতি করে তাদের কাছে চব্বিশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা নয়। কিন্তু বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার (আওয়ামী লীগের) নিপীড়নের শিকার হওয়াদের কাছে ২৪ দ্বিতীয় স্বাধীনতা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, যাদের ব্যাংক ব্যালান্স অক্ষুণ্ন ছিল, যারা আপস করে বিরোধী রাজনীতি করেছেন, তাদের কাছে হয়তো এটা স্বাধীনতা মনে হয় না।
কারণ তারা সবসময় হয়তো স্বাধীন ছিল, আগের আমলেও ছিল। তাদের কাছে প্রথম স্বাধীনতাও গুরুত্বপূর্ণ না, দ্বিতীয় স্বাধীনতাও গুরুত্বপূর্ণ না। তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ লুটপাটের স্বাধীনতা।
জামায়াতকে যারা স্বাধীনতাবিরোধী বলে তাদের অনেকের বাবা রাজাকার ছিল
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের স্বার্থ রক্ষা করেছে মন্তব্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশটির সহায়তায় দলটি ক্ষমতায় ছিল। তাদের খুশি করতেই নতজানু পররাষ্ট্রনীতি করাই ছিল শেখ হাসিনার কাজ। দেশটি প্রতিবেশী বলে তাদের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে।
তবে তাদের সঙ্গে সমতা-ন্যায্যতার ভিত্তিতে সর্ম্পক হবে। সীমান্ত হত্যার আজও কোনো বন্দোবস্ত হয়নি। পানির ন্যায্যতা পাইনি। বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য দেশটিকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
বাংলাদেশের ‘প্রথম ও দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বিতর্কে সরব হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম
তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, মোদিবিরোধী ও জুলাই হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ জড়িত। এই সবকিছুর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বিচার এখন না হলে আর হবে কি না বলা যাচ্ছে না।
সংখ্যালঘু প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই। দেশটির মিডিয়া ৫ আগস্ট পরবর্তী গুজব ছড়াচ্ছে। এসবের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম পররাষ্ট্র নীতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। যেখানে জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য পাবে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?