মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ইসলাম ও জীবন

রাষ্ট্র গঠন ও সংস্কারের এক যুগান্তকারী দৃষ্টিভঙ্গি

রাষ্ট্র হলো একটি যন্ত্র যা আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি জাতির সামগ্রিক অধিকার সংরক্ষণ ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে, জাতির উন্নয়নে কাজ করে। দীর্ঘদিনের বিবর্তনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা শক্তি ও উপাদান ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে হতে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে। রাষ্ট্রের উৎপত্তিতে অবদান রেখেছে কিছু উপাদান, যেমন ধর্মীয় বন্ধন, সংস্কৃতির বন্ধন, রক্তের […]

নিউজ ডেস্ক

১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২১:৪৮

রাষ্ট্র হলো একটি যন্ত্র যা আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি জাতির সামগ্রিক অধিকার সংরক্ষণ ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে, জাতির উন্নয়নে কাজ করে। দীর্ঘদিনের বিবর্তনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা শক্তি ও উপাদান ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে হতে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে। রাষ্ট্রের উৎপত্তিতে অবদান রেখেছে কিছু উপাদান, যেমন ধর্মীয় বন্ধন, সংস্কৃতির বন্ধন, রক্তের বন্ধন, যুদ্ধবিগ্রহ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চেতনা ও কার্যকলাপ।

আইন প্রণয়ন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের মৌলিক কাজ। রাষ্ট্রীয় আইনসভা বা পার্লামেন্টের মাধ্যমে আইন প্রণীত হয়, আর দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট প্রভৃতি বিচারালয়ের মাধ্যমে দেশের সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলা রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

তবে, যখন রাষ্ট্রযন্ত্রের কার্যকারিতা ব্যাহত হয়, তখন রাষ্ট্রের কাঠামো দুর্বল হতে শুরু করে এবং মানুষ আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত হয়। তখনই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা, অশান্তি ও অরাজকতা। রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে সাধারণ জনগণ পর্যন্ত এর কুফল ভোগ করতে থাকে, এবং কেউই এর থেকে মুক্ত থাকতে পারে না। তাই আমাদের সকলকেই রাষ্ট্রের কাঠামো সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের রাষ্ট্র কাঠামো অনেকটা ভেঙে পড়েছে, তাই সংস্কারের বিশেষ প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এই সংস্কারের ক্ষেত্রে আমাদের রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক কাঠামোগুলোর দিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। এসব মৌলিক কাঠামো দুর্বল হলে রাষ্ট্রও দুর্বল হয়ে পড়ে।

রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক কাঠামো কী কী হতে পারে এবং কী ধরনের সংস্কারের প্রয়োজন, তা মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন তাঁর সার্বজনীন সংবিধান, পবিত্র কুরআনে, আগে থেকেই লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বাণীতে বলেছেন, إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَىٰ أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُمْ بَيْنَ النَّاسِ أَنْ تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ إِنَّ اللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُمْ بِهِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)

অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে আদেশ করেছেন যে, তোমরা আমানতসমূহ তাদের হকদারদের আদায় করে দিবে, আর যখন মানুষদের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফ বা ন্যায় বিচারের সাথে বিচার করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে যে বিষয়ে উপদেশ দিয়ে থাকেন, তা অত্যন্ত উৎকৃষ্ট। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সর্বশ্রোতা এবং সর্বদ্রষ্টা।

এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক কিছু উপাদান উল্লেখ করেছেন। যেগুলো যথাযথ সংরক্ষণে একটি রাষ্ট্র উন্নতির উচ্চ শিখরে পৌঁছাতে পারে, আবার এই উপাদানগুলো হারালে রাষ্ট্র বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে পারে।

এ আয়াতের প্রথম নির্দেশনা হলো ‘আমানতদারিতা’, যা একটি সফল রাষ্ট্র গঠনের প্রথম উপাদান। যখন একটি রাষ্ট্রে আমানতদারিতার অভাব দেখা দেয়, তখন রাষ্ট্র সার্বিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। রাষ্ট্রের সব স্তরে ওয়ার্ড কাউন্সিল থেকে শুরু করে সচিবালয় পর্যন্ত আমানতদারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইসলামি খিলাফতের সময় শান্তি ও সমৃদ্ধির একটি প্রধান কারণ ছিল খলিফাদের আমানতদারিতা। ৯৯ হিজরিতে ইসলামের প্রসিদ্ধ খলিফা, ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহ.খলিফার দায়িত্ব গ্রহণের পর, একান্ত কামরায় বসে আছেন আর তার চক্ষু বেয়ে পানি ঝরছে । তাঁর স্ত্রী ফাতিমা বিনতে আব্দুল মালিক তাঁকে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বলেছিলেন, ‘আমি রাষ্ট্রের খলিফা নিযুক্ত হয়েছি, তাই আমি আমার রাষ্ট্রের অধীনস্থ অসহায়, দরিদ্র, ক্ষুধার্ত, বস্ত্রহীন, বৃদ্ধ, অনাথদের কথা ভাবছি, কেননা কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাদের ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন’।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. হতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘তোমরা প্রত্যেকেই একজন জিম্মাদার (দায়িত্বশীল), এবং প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জাতির ইমাম (রাষ্ট্রপ্রধান) একজন জিম্মাদার, তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পরিবারগুলোর কর্তা, তাদের অধীনস্থদের ব্যাপারে জিম্মাদার, এবং এমনকি একজন খাদেমও তার মালিকের সম্পদের জিম্মাদার হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে’। (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)

এছাড়া, সহিহ ইবনে হাব্বান-এ বর্ণিত হয়েছে, রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন,‘কিয়ামতের দিন তোমাদের প্রত্যেককে তার দেওয়া দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, সে কি সেটা যথাযথ পালন করেছে, না তা নষ্ট করেছে। এমনকি পরিবারগুলোর অভিভাবকদের তাদের পরিবারস্থ ব্যক্তিদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে’।

অতএব, রাষ্ট্রের প্রতিটি দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে এবং আমানতদার হয়, তবে একটি রাষ্ট্র অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে ও সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে পারে।

এ জন্য আমাদের রাষ্ট্র গঠন ও সংস্কারের ক্ষেত্রে আমানতদারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ও উন্নতির মূল চাবিকাঠি।

লেখক: নাজমুল আরিফীন বিন মুহাম্মদ
শিক্ষার্থী: আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো মিশর

ইসলাম ও জীবন

বিশ্বের ১৬৫ দেশের মুসলিমরা ব্যবহার করছেন যে স্যোশাল মিডিয়া

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সের মত সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মুসলিমদের তৈরি স্যোশাল মিডিয়া ‘আলফাফা’। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৬৫টিরও বেশি দেশের প্রায় চার লাখ মুসলিম এটি ব্যবহার করছেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, আলফাফা জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে, আলফাফা মুসলিমদের জন্য সর্বোচ্চ ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। যে স্বাধীনতা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সে পাওয়া যায় না। ইসলাম নিয়ে অধিকাংশ পোস্ট […]

নিউজ ডেস্ক

২০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:৪৭

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সের মত সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মুসলিমদের তৈরি স্যোশাল মিডিয়া ‘আলফাফা’। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৬৫টিরও বেশি দেশের প্রায় চার লাখ মুসলিম এটি ব্যবহার করছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, আলফাফা জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে, আলফাফা মুসলিমদের জন্য সর্বোচ্চ ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। যে স্বাধীনতা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সে পাওয়া যায় না। ইসলাম নিয়ে অধিকাংশ পোস্ট ডিলেট করে দেয় তারা। কিন্তু আলফাফা তৈরিই করা হয়েছে মুসলিমদের জন্য।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের একদল মুসলিম যুবক শুরু করেন এ স্যোশাল সাইট। ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সাইটটি। বর্তমানে ১৬৫টিরও বেশি দেশের মুসলিম ব্যবহার করছে এ অ্যাপস। বিশেষ করে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। এখন পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড হয়েছে এক মিলিয়নেরও বেশি।

আলফাফার নির্বাহী পরিচালক আসিফ সাঈদ গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সহকর্মী ও বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরই প্রকাশ ঘটেছে। কিন্তু মুসলমানদের জন্য ঈমান-আমল ঠিক রেখে সে সবের অনেক কিছু ব্যবহার করা দুষ্কর। সেসব বিষয় মাথায় রেখে ইসলামি মতাদর্শ লালন করা যুক্তরাষ্ট্রের একদল যুবক নিয়ে এসেছে সম্পূর্ণ হালাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। নাম আলফাফা ডটকম।

এতে বিনামূল্যে আপনার ব্যবসা, মসজিদ, রেস্টুরেন্ট বা চাকরি ও পেশাদার প্রোফাইল তালিকাভুক্ত করতে পারবেন। অ্যামাজনের মতো ই-কমার্স হিসেবেও দেখতে পারেন মুসলিমদের পরিচালিত এ সাইটটি।

একটি বাটনের ক্লিকে বিশ্বজুড়ে আপনার বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সংযোগ করতে পারবেন সহজে। একই সঙ্গে স্যোশাল মিডিয়া, মুসলিম ডিরেক্টরি, ব্লগ, ফোরাম, জবস, টিচ, ই-কমার্সসহ নানান ফিচারে সাজানো হয়েছে সাইটটি। গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে লিখুন alfafaa.

ইসলাম ও জীবন

মাত্র সাড়ে ৪ বছর বয়সে মায়ের কাছে হাফেজ হলেন শিশু আহমাদ

মাত্র সাড়ে ৪ বছর বয়সে ১০ মাস সময়ে মায়ের কাছে কোরআন মাজিদের হিফজ সম্পন্ন করার এক বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমাদ আবদুল্লাহ মাসুম। তার বয়স বর্তমানে ৪ বছর ৬ মাস ২৯ দিন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ির মাদরাসাতু উসওয়াতি ফাতিমাহ রাদিয়াল্লাহু আনহায় এ বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে। তার শিক্ষক ছিলেন তারই মা, যিনি তাকে […]

নিউজ ডেস্ক

২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:১৮

মাত্র সাড়ে ৪ বছর বয়সে ১০ মাস সময়ে মায়ের কাছে কোরআন মাজিদের হিফজ সম্পন্ন করার এক বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমাদ আবদুল্লাহ মাসুম। তার বয়স বর্তমানে ৪ বছর ৬ মাস ২৯ দিন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ির মাদরাসাতু উসওয়াতি ফাতিমাহ রাদিয়াল্লাহু আনহায় এ বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে। তার শিক্ষক ছিলেন তারই মা, যিনি তাকে অত্যন্ত যত্ন ও আন্তরিকতায় হিফজ সম্পন্ন করিয়েছেন। হিফজের সময় আহমাদ কোরআনের বাংলা অর্থও শিখেছেন, যা তার প্রতিভার আরও একটি প্রমাণ।

বিশ্বখ্যাত কারি ও বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আজহারীর মতে, এই বয়সে হিফজ সম্পন্ন করার ঘটনা বিশ্বে বিরল। ইরান বা আলজেরিয়ায় ৫ বছর বয়সে হিফজের দৃষ্টান্ত থাকলেও আহমাদের মতো সাড়ে চার বছরে এ অর্জন অভূতপূর্ব। আহমাদ তার হিফজ সম্পন্ন করতে সময় নিয়েছে মাত্র ১০ মাস ১৮ দিন।

তার মায়ের একান্ত ইচ্ছা, তিনি যেন বিশ্বমানের মুত্তাকি, মুখলিস হাফেজ ও আলেম হিসেবে গড়ে ওঠেন। আল্লাহ তাআলা তাকে সেই তাওফিক যেনো দান করেন, সে দোয়াই কামনা করেছেন তিনি।

বিস্ময় শিশু আহমাদ আবদুল্লাহ মাসুমের বাবা, খ্যাতিমান টিভি উপস্থাপক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাসুম বিল্লাহ বিন রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, মহান রবের দরবারে কোটি কোটি কৃতজ্ঞতা, মহান রব দয়া মায়া করে আমার কলিজার টুকরো আহমাদকে তাঁর মহান গ্রন্থ আল কোরআন হিফজ করার তাওফিক দান করেছেন। আমাদের সন্তানের এ অর্জন আমাদের জন্য শুধু গর্বের নয়, দায়িত্বেরও। আমরা চাই, আহমাদ যেন একদিন বিশ্বজুড়ে কোরআনের আলো ছড়ায় ও মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী।

হাদিস ফাউন্ডেশন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানড. আহমাদ আবদুল্লাহ ছাকিব বলেন, ‘বাবা-মায়ের সঙ্গে এই বিস্ময় শিশু যখন আমার মারকাযে বেড়াতে আসে, তখন আমি নিজেই স্তব্ধ হয়ে যাই। শুধু কোরআন হিফজ নয়, সে কোরআনের শব্দার্থও শিখে নিয়েছে। বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় ঝরঝরে রিডিং করতে পারে। আরবিতে তার স্পিকিং দক্ষতাও অসাধারণ। সব মিলিয়ে এটি এক অবিশ্বাস্য প্রতিভা। এখানেই তার যাত্রা শেষ নয়। বুখারি ও মুসলিম শরিফের হাদিস ধারাবাহিকভাবে মুখস্থ করার লক্ষ্যে সে এগিয়ে যাবে এটাও সে জানায়। মাশাআল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে মুসলিম উম্মাহর একজন সুবিজ্ঞ মুখলিস আলেমে দ্বীন হিসাবে কবুল করুন।’

কুয়েত প্রবাসী দাঈ, শায়খ হাবিবুর রহমান মাদানী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, যিনি তাঁর অনুগ্রহে সকল কল্যাণ পরিপূর্ণ করেন। আল্লাহ এই শিশু ও তার পরিবারকে বরকত দিন। তাকে ইসলামের জন্য এক মূল্যবান সম্পদ বানিয়ে দিন এবং সকল অকল্যাণ থেকে রক্ষা করুন। এমন সংবাদ হৃদয়কে প্রশান্তি দেয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান দিন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফেজ হুসাইনুল বান্না বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। এটা আল্লাহর মেহেরবানি যে আল্লাহ এমন শেষ্ঠ সন্তান দান করেছেন। ইয়া রাব্বি লাকাল হামদ। আল্লাহ যুগের আলেমে দীন হিসেবে কবুল করুন।

ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ শায়খ শরিফ আবু হানিফ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহপাকের বড় মেহেরবানি। বিনয়ের সাথে আল্লাহর শোকর আদায় করি। কারো বদনজর যেন না পড়ে খেয়াল রাখতে হবে। এ সংবাদ শুনেই সবাই মাশাআল্লাহ পড়বেন। তার জন্য দোয়া করবেন। সকল জ্বীন-ইনসানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ ওকে হেফাজত করুন।’

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শায়খ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আল্লাহু আকবর, মাশাল্লাহ তাবারকাল্লাহ, এটা বাংলাদেশের জন্য মহান এক গৌরব। আমি বাংলাদেশের মায়েদের প্রতি অনুরোধ করবো, আপনারা যদি সন্তানদের কোরআনের প্রতি ভালোবাসা ও অধ্যবসায় শেখাতে পারেন, তবে এমন সাফল্য সম্ভব। নিজের সন্তানকে সময় দিন, তাদের মননশীলতা ও প্রতিভা বিকাশে সহযোগিতা করুন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সন্তানকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতার পথিক বানিয়ে দিন। আমিন’

ইসলাম ও জীবন

সাঈদীর মৃত্যু মেডিক্যাল কিলিং কি না জানাতে হবে : আজহারী

জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী শিরক-বিদআতের আস্তানা তছনছ করে দিয়েছিলেন।আজীবন ইসলামকে বিজয়ী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে গোটা বিশ্ব কেঁদেছে।তাঁর মৃত্যু স্বাভাবকি ছিল নাকি মেডিক্যাল কিলিং ছিল, তা আমরা এখনো জানি না। এখন বিষয়টি তদন্ত করে জাতির সামনে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।’ আজ […]

নিউজ ডেস্ক

৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ২২:৩৫

জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী শিরক-বিদআতের আস্তানা তছনছ করে দিয়েছিলেন।
আজীবন ইসলামকে বিজয়ী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে গোটা বিশ্ব কেঁদেছে।
তাঁর মৃত্যু স্বাভাবকি ছিল নাকি মেডিক্যাল কিলিং ছিল, তা আমরা এখনো জানি না। এখন বিষয়টি তদন্ত করে জাতির সামনে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।’

আজ শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর প্যারেড মাঠে ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাফিলের পঞ্চম ও শেষ দিনে প্রধান মুফাসসিরের বক্তব্যে এ এসব কথা বলেন।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ছিলেন। তাই তাঁর মুত্যু পরিকল্পিত মেডিক্যাল কিলিং হতে পারে। এ ধারণা আমরা করতেই পারি। যে সময়টা আমরা কাটাচ্ছি, এতো সুন্দর সময় বাংলাদেশ আর পাবে না ।

আমাদের জন্মের পর থেকে এ রকম চমৎকার সময় আমরা পাইনি। এটাই আসল সময়। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাই, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি হত্যাকাণ্ড তা তদন্ত কমিটি করে রিপোর্ট গণমানুষের কাছে জানাতে হবে।’

অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এরইমধ্যে বলেছেন- আমরা এমন নির্বাচন দিতে চাই, যা হবে ঐতিহাসিক।
দিনের ভোট দিনে হবে। রাতে হবে না। সবাই নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন। কোনো কারচুপি হবে না। নিশ্চিন্ত থাকুন। আমরা একটি বৈষম্যহীন, সুন্দর ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র উপহার দিতে চাই। আমাদের কুরআনকে ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ইসলামিক ফাউন্ডেশনে যারা নয়-ছয় করেছেন, আমরা একজন বিচারপতির মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

তিনি আরো বলেন, ব্যাংকে টাকা নেই, লালবাতি জ্বলছে। আমরা রিজার্ভে হাত দিচ্ছি না। আমাদের পরবর্তীতে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন তাদের জন্য একটি সাসটেইনেবল ইকোনমি রেখে যেতে চাই।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম নগর জামায়াত আমির শাহজাহান চৌধুরী, মাওলনা মনিরুল ইসলাম মজুমদার, সাঈদী পুত্র মাওলানা শামীম সাঈদী প্রমুখ।

প্রয়াত ইসলামী বক্তা ও জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর স্মৃতিধন্য এ মাহফিলে চট্টগ্রাম ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে।
মাফিলস্থল ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন সড়কেও অবস্থান নেন আজহারির বক্তব্য শুনতে আসা লোকজন। জনসমুদ্রে পরিণত হয় প্যারেড মাঠ ও সংলগ্ন এলাকা। আগে এ মাহফিলে প্রধান অতিথি থাকতেন সাঈদী।