মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

আমাদের কাট-অফ টাইম ৩০ জুন ২০২৬, এরপর একদিনও নয় : প্রেস সচিব

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।অনুষ্ঠানে তিনি সরকারের সময়সীমা প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের কাট-অফ টাইম ৩০ জুন ২০২৬, এরপর একদিনও নয়।” সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, “সংসদে আমরা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাই। যদি রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারের পরেই নির্বাচন চায়, তাহলে তাদের তা স্পষ্টভাবে […]

আমাদের কাট-অফ টাইম ৩০ জুন ২০২৬, এরপর একদিনও নয় : প্রেস সচিব

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৬

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।অনুষ্ঠানে তিনি সরকারের সময়সীমা প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের কাট-অফ টাইম ৩০ জুন ২০২৬, এরপর একদিনও নয়।”

সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, “সংসদে আমরা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাই। যদি রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারের পরেই নির্বাচন চায়, তাহলে তাদের তা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।যদি সব দল একমত হয়, তাহলে আমরা সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেব।”

তিনি আরও জানান, “বর্তমানে প্রায় ২০০০ সংস্কার প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে ন্যূনতম সংস্কারের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল বা সংখ্যাগরিষ্ঠ দল যদি নির্দিষ্ট সংস্কার চায়, তবে আমরা তা বাস্তবায়নের দিকে যাব। আমাদের ভূমিকা শুধু একটি ফ্যাসিলিটেটরের। এখানে একটি সুস্পষ্ট ও গঠনমূলক বিতর্ক হওয়া দরকার।”

নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আসিনি। আমাদের ম্যান্ডেট স্পষ্ট—তরুণ প্রজন্ম রাষ্ট্র সংস্কার চায় এবং তারা আমাদের এই দায়িত্ব দিয়েছে। এজন্য আমরা ছয়টি কমিশন গঠন করেছি।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের নির্ধারিত সময়সীমা ৩০ জুন ২০২৬।

এর মধ্যে যদি রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কার চায়, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে, যদি আরও ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন হয়, তাহলে দুই-তিন বা চার মাস সময় বাড়তে পারে, যা রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। কিন্তু চূড়ান্ত সময়সীমা ৩০ জুন ২০২৬-এর পর আর একদিনও বাড়ানো হবে না।”

সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, “যদি রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার না চায়, তবে আমরা জানিয়ে দেব যে আমাদের ম্যান্ডেট সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা ছিল, এবং আমরা সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম কিন্তু এই এই রাজনৈতিক দল এটা চায়নি।”

জাতীয়

আ.লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভিযোগে মেজর সাদিক সেনাবাহিনীর হেফাজতে

আওয়ামী লীগের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা মেজর সাদিককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পর সেনাবাহিনী বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা। তিনি বলেন, […]

আ.লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভিযোগে মেজর সাদিক সেনাবাহিনীর হেফাজতে

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

৩১ জুলাই ২০২৫, ১৮:৫৭

আওয়ামী লীগের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা মেজর সাদিককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পর সেনাবাহিনী বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা।

তিনি বলেন, “মেজর সাদিকের বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে তাকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তবে এখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

এদিন ব্রিফিংয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম। তিনি জানান, ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মতো গোষ্ঠীগুলো আধিপত্য ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

তিনি আরও জানান, কেএনএফ সশস্ত্র তৎপরতা চালাতে আরাকান আর্মির কাছ থেকে অস্ত্র পাচ্ছে—এমন খবর তাদের কাছে রয়েছে। তবে কেএনএফ এখন দুর্বল অবস্থায় আছে এবং চলমান অভিযানের মাধ্যমে তাদের সম্পূর্ণ নির্মূল সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জীবন রক্ষার প্রয়োজনেই সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করেছে, কোনো দলের পক্ষ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

জাতীয়

৪ আগস্টের অশ্রু-রক্তের ভিড়ে ছাত্রদের রক্ষায় ঢাল হয়ে দাঁড়ানো সেই মাসুদ এখন রমনার ডিসি

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে যখন সারা দেশে কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন তীব্র রূপ নেয়, তখন রাজপথে নামে লাখো শিক্ষার্থী, শ্রমিক, চাকরিপ্রত্যাশী ও অভিভাবক। একদিকে ছিল মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবি, অন্যদিকে রাষ্ট্রের পক্ষে ছিল অস্ত্রধারী পুলিশ। বেশিরভাগ জায়গায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, লাঠিচার্জ ও দমননীতি চালায়। শহীদ হন বহু তরুণ, আহত হন হাজারো। তবে সেই দমবন্ধ করা […]

৪ আগস্টের অশ্রু-রক্তের ভিড়ে ছাত্রদের রক্ষায় ঢাল হয়ে দাঁড়ানো সেই মাসুদ এখন রমনার ডিসি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৫ জুলাই ২০২৫, ১৩:৪২

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে যখন সারা দেশে কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন তীব্র রূপ নেয়, তখন রাজপথে নামে লাখো শিক্ষার্থী, শ্রমিক, চাকরিপ্রত্যাশী ও অভিভাবক। একদিকে ছিল মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবি, অন্যদিকে রাষ্ট্রের পক্ষে ছিল অস্ত্রধারী পুলিশ।

বেশিরভাগ জায়গায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, লাঠিচার্জ ও দমননীতি চালায়। শহীদ হন বহু তরুণ, আহত হন হাজারো।

তবে সেই দমবন্ধ করা সময়ে কিছু ব্যতিক্রমও ঘটেছে। বিশেষ করে পাবনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্বে থাকা মো. মাসুদ আলম শিক্ষার্থীদের দিকে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেন। তার একটি ভিডিও ক্লিপ তখনকার আন্দোলনের স্মৃতিকে আরও আলোড়িত করে তুলেছে, যা সম্প্রতি ‘দ্য রেড জুলাই’ নামের একটি ফেসবুক পেজে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে মাসুদ আলমকে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, “যদি তোমাদের অ্যাটাক করার জন্য কেউ আসে, তাহলে আমি আছি। আমার উপর দিয়ে যাইতে হবে। আগে আমাকে মারতে হবে, তারপর যাইতে হবে।” এই মানবিক ও সাহসী বার্তা দ্রুত ভাইরাল হয়।

অনেকে ফেসবুকে মন্তব্য করে মাসুদ আলমের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। ‘দ্য রেড জুলাই’-এর একটি পোস্টে স্থানীয় এক শিক্ষার্থী লেখেন, “মাসুদ ভাই সেদিন সাহসী ভূমিকা না নিলে হয়তো শহীদের তালিকা আরও দীর্ঘ হতো।”

আন্দোলনের সেই উত্তপ্ত দিনে তার এমন ভূমিকা পাবনার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সহায়ক হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এখন মাসুদ আলম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিসিএস ২৮তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা এর আগে র‌্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্প, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং বিভিন্ন দায়িত্বে সফলভাবে কাজ করেছেন।

তার মানবিক ভূমিকা ও জনমুখী আচরণকে বাংলাদেশের অনেকেই পুলিশের জন্য একটি উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।

জাতীয়

বিমানবন্দরে আনতে যান পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, হোটেলের ভাড়া দেন জাপা নেতা

বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া এনায়েত করিম ওরফে মাসুদ করিম চৌধুরীকে ঘিরে একের পর এক নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। তাকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের একজন ডিআইজির দেহরক্ষীও সঙ্গে ছিলেন। এমনকি ওই ডিআইজি নিজেই তার নিরাপত্তায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন বলে জানা গেছে। তবে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত […]

বিমানবন্দরে আনতে যান পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, হোটেলের ভাড়া দেন জাপা নেতা

বিমানবন্দরে আনতে যান পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, হোটেলের ভাড়া দেন জাপা নেতা

নিউজ ডেস্ক

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩১

বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া এনায়েত করিম ওরফে মাসুদ করিম চৌধুরীকে ঘিরে একের পর এক নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। তাকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের একজন ডিআইজির দেহরক্ষীও সঙ্গে ছিলেন। এমনকি ওই ডিআইজি নিজেই তার নিরাপত্তায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন বলে জানা গেছে। তবে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফেরার পর এনায়েত করিম দুদিন ছিলেন একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। সেই হোটেল বুকিং ও ভাড়া পরিশোধ করেছিলেন জাতীয় পার্টির রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব পরিচয় দেওয়া কাজী মামুনুর রশিদ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে এনায়েত করিম এই তথ্য দিয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

গত শনিবার সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হওয়ার পর তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রমনা থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলা তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার আদালত তাকে ৪৮ ঘণ্টার রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তার কাছ থেকে জব্দ করা পাসপোর্টে উল্লেখ আছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

ঢাকা মহানগর ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এনায়েত করিমকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রমাণ মিললে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, এনায়েত করিম ২০ বছরের বেশি সময় ধরে একটি প্রভাবশালী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান পরিচয় দিয়ে প্রতারণা চালাচ্ছিলেন। তিনি বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কখনো ক্ষমতায় বসানোর আশ্বাস দিয়ে, কখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল ডিনারে আমন্ত্রণের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেও এ ধরনের প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালের পর বিএনপিপন্থী এক সাংবাদিক নেতা এবং নবগঠিত একটি দলের নেতার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা গড়ে তিনি প্রতারণা অব্যাহত রাখেন। এর আগেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে (২০০১–০৬) তাকে প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

সূত্র আরও জানায়, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একজনকে বাঁচানোর আশ্বাস দিয়েও তিনি অর্থ নিয়েছেন। আবার ২০২১ সালে র‍্যাব কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির সময় সরকার পরিবর্তনের আভাস দিয়ে কারও কারও কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছিলেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব পরিচয় দেওয়া কাজী মামুনুর রশিদ অবশ্য দাবি করেছেন, এনায়েত করিমের সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্ক। সেই সম্পর্কও দীর্ঘদিনের। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গেও এনায়েত করিমের সখ্য ছিল। এনায়েত করিম বাংলাদেশে এলে এরশাদের সঙ্গে দেখা করতেন। মূলত পারিবারিক সম্পর্ক থাকার কারণেই এনায়েত করিম বাংলাদেশে এলে তিনি আপ্যায়ন করতেন। এবারও তিনি হোটেল বুকিং ও ভাড়া পরিশোধ করেছেন। মামুনুর রশিদ যখন যুক্তরাষ্ট্রে যান, তখন এনায়েত করিম তাকে আপ্যায়ন করেন। এখানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক ছাড়া অন্য কিছু নেই।

কাজী মামুনুর রশিদ দাবি করেন, এনায়েত করিমের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া বা প্রতারণার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। সরকার পতনের ষড়যন্ত্র বা অন্য কোনো বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, পুলিশের বিশেষ শাখার তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির সহায়তায় মিন্টো রোড এলাকা থেকে এনায়েত করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তিনি একটি প্রাডো গাড়িতে ছিলেন, যা ভাড়া করেছিলেন একজন ডিআইজি। পদাধিকারবলে ওই ডিআইজির নিরাপত্তার জন্য যে দেহরক্ষী নিযুক্ত ছিলেন, তিনি এনায়েত করিমের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন। দেহরক্ষী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি কেবল ডিআইজির নির্দেশ পালন করেছেন। ওই দেহরক্ষীকে এরই মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, এনায়েত করিম আগে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতাকে রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সে সময় তিনি ব্যাংকক ও নেপালে একাধিক বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে চাকরিচ্যুত ও অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও এবার তাকে গাড়ি ও দেহরক্ষী দেওয়া ডিআইজিও উপস্থিত ছিলেন।