সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।অনুষ্ঠানে তিনি সরকারের সময়সীমা প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের কাট-অফ টাইম ৩০ জুন ২০২৬, এরপর একদিনও নয়।”
সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, “সংসদে আমরা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাই। যদি রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারের পরেই নির্বাচন চায়, তাহলে তাদের তা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।যদি সব দল একমত হয়, তাহলে আমরা সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেব।”
তিনি আরও জানান, “বর্তমানে প্রায় ২০০০ সংস্কার প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে ন্যূনতম সংস্কারের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল বা সংখ্যাগরিষ্ঠ দল যদি নির্দিষ্ট সংস্কার চায়, তবে আমরা তা বাস্তবায়নের দিকে যাব। আমাদের ভূমিকা শুধু একটি ফ্যাসিলিটেটরের। এখানে একটি সুস্পষ্ট ও গঠনমূলক বিতর্ক হওয়া দরকার।”
নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আসিনি। আমাদের ম্যান্ডেট স্পষ্ট—তরুণ প্রজন্ম রাষ্ট্র সংস্কার চায় এবং তারা আমাদের এই দায়িত্ব দিয়েছে। এজন্য আমরা ছয়টি কমিশন গঠন করেছি।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের নির্ধারিত সময়সীমা ৩০ জুন ২০২৬।
এর মধ্যে যদি রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কার চায়, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে, যদি আরও ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন হয়, তাহলে দুই-তিন বা চার মাস সময় বাড়তে পারে, যা রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। কিন্তু চূড়ান্ত সময়সীমা ৩০ জুন ২০২৬-এর পর আর একদিনও বাড়ানো হবে না।”
সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, “যদি রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার না চায়, তবে আমরা জানিয়ে দেব যে আমাদের ম্যান্ডেট সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা ছিল, এবং আমরা সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম কিন্তু এই এই রাজনৈতিক দল এটা চায়নি।”

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?