মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

অন্যান্য

ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

ইরফান উল্লাহ, ইবি প্রতিনিধি শাহবাগে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের উপর পুলিশের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা শিক্ষকদের উপর হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ইবি শাখার আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬:৫৪

ইরফান উল্লাহ, ইবি প্রতিনিধি

শাহবাগে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের উপর পুলিশের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা শিক্ষকদের উপর হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ইবি শাখার আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে সমাবেশ করে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদতুল্লাহ শেখ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল রাহাত ও ছাত্রশিবিরের ইবি শাখার ছাত্র অধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকারিয়া।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শিক্ষকরা বিগত অনেক দিন যাবত এ দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু রাষ্ট্র ইনিয়ে বিনিয়ে তাদের এ দাবি মেনে নেয়নি। ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের প্রতি এতো বৈষম্য । ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের মানুষ মনে করেনা। এ সরকার যদি এ দাবি মেনে নাও নেয় তাহলে তারা এইরকম দুঃসাহস কিভাবে দেখায় যে পুলিশ দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ইবতেদায়ী মাদরাসা যতদিন পর্যন্ত জাতীয়করণ না হবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল্লাহ্ শেখ বলেন, ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এটি তাদের ন্যায্য এবং যৌক্তিক অধিকার। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, কোনো সরকারই এখন পর্যন্ত তাদের এ দাবিটি মেনে নেয়নি। অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করা প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এর পরিবর্তে স্বৈরাচারী কায়দায় শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলা চালানো হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এই নির্মম ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দাবি জানাই, শিক্ষকদের এ যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক এবং তাদের প্রতি এমন অমানবিক আচরণ বন্ধ করা হোক।

অন্যান্য

শবেকদরের রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

তৎকালীন র‌্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি এক আসামির স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তার স্ত্রীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার […]

শবেকদরের রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:৫৭

তৎকালীন র‌্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি এক আসামির স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তার স্ত্রীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন।

এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যা নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

আলজাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজন ফেসবুকে এ ঘটনা নিয়ে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, গুম হওয়া এক ব্যক্তির দাবি, পবিত্র শবেকদরের রাতে তার স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ওই ব্যক্তি আরও জানান, এর আগেও তিনবার তার স্ত্রীকে একইভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল, যেখানে প্রতিবারই তাকে স্বামীর জীবন নিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল।

পোস্টে আরও বলা হয়েছে, শেষবার ধর্ষণের পর ওই নারীর মানসিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে এবং কিছুদিন পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই অভিযোগ সামনে আসার পর মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর যথাযথ তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীলতার প্রশ্নও নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে। অনেকে দাবি করছেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যদের এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, বরং এটি একটি গুরুতর অপরাধ, যার দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন।

এখন দেখার বিষয়, অন্তর্বর্তী সরকার এই ঘটনার তদন্তে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয় এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে কতটা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষক র‍্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাম আলেপ। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে বারংবার ফোন দিতে থাকে আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, মানুষ কতটা নীচুতে নামলে নিজের মা/স্ত্রী/মেয়ে থাকা সত্ত্বেও একজন বন্দির স্ত্রীকে এমনভাবে ট্রিট করে! এই র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপের বিচার সবার আগে হওয়া উচিত।

এ নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছেন আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও। ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই আলেপ বেশ বহাল তবিয়তেই দিন কাটাচ্ছিল, এসবি থেকে বদলি হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে। পরে ২০ অক্টোবর ২০২৪ তার একটি পোস্টের পর যেন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, আলেপকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং পরে সেখান থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এই আলেপের মতো খুনি, অপহরণকারী এবং জঘন্য সব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অনেকেই বিভিন্ন বাহিনীতে এখনো কর্মরত রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন সায়ের।

শিক্ষাঙ্গন

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি সমাজবিজ্ঞান ক্লাবের উদ্যোগে রিকশাচালকদের ট্রাফিক নিয়ম সচেতনতা বৃদ্ধি

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি): ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০০:২৫

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি):

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এছাড়া, ক্লাবের পক্ষ থেকে রিকশাচালকদের জন্য সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ক্লাব।

অন্যান্য

ফিরে আসতে পারে ‘স্বৈরশাসনের যুগ’

স্বৈরশাসকদের যুগ ফিরে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার টার্ক। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ সতর্ক করেন। খবর এএফপির। টার্ক বলেন, বিশ্ব এখন খুবই বিপজ্জনক এক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যেখানে স্বৈরাচারীরা কর্তৃত্ব বিস্তার করছে। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দমন করা হচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো […]

নিউজ ডেস্ক

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৭

স্বৈরশাসকদের যুগ ফিরে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার টার্ক। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ সতর্ক করেন। খবর এএফপির।

টার্ক বলেন, বিশ্ব এখন খুবই বিপজ্জনক এক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যেখানে স্বৈরাচারীরা কর্তৃত্ব বিস্তার করছে। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দমন করা হচ্ছে।

তিনি এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। তবে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবর্তন ও চীনের প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে তার মন্তব্য সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, একটির পর একটি মানবাধিকার খর্ব করা হচ্ছে, কারণ শাসকরা জনগণের ক্ষমতায়নকে ভয় পায়।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ পরিচালনাকারী সরকারগুলো আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদকে অগ্রাহ্য করছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ তাদের খাদ্য, পানি ও শিক্ষার অধিকার হারাচ্ছে।

ভলকার টার্ক জানান, বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার রক্ষার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এখন সংকুচিত। স্বৈরশাসক ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা এই ভিত্তি দুর্বল করে দিচ্ছে।

বর্তমানে একনায়কতান্ত্রিক সরকারগুলো বিশ্বের মোট অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, যা ৩০ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ।

মানবাধিকার ও আইনের শাসন যেন ব্যক্তি, সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি থাকে, সে জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।