সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

অন্যান্য

ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

ইরফান উল্লাহ, ইবি প্রতিনিধি শাহবাগে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের উপর পুলিশের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা শিক্ষকদের উপর হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ইবি শাখার আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬:৫৪

ইরফান উল্লাহ, ইবি প্রতিনিধি

শাহবাগে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের উপর পুলিশের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা শিক্ষকদের উপর হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ইবি শাখার আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে সমাবেশ করে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদতুল্লাহ শেখ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল রাহাত ও ছাত্রশিবিরের ইবি শাখার ছাত্র অধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকারিয়া।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শিক্ষকরা বিগত অনেক দিন যাবত এ দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু রাষ্ট্র ইনিয়ে বিনিয়ে তাদের এ দাবি মেনে নেয়নি। ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের প্রতি এতো বৈষম্য । ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের মানুষ মনে করেনা। এ সরকার যদি এ দাবি মেনে নাও নেয় তাহলে তারা এইরকম দুঃসাহস কিভাবে দেখায় যে পুলিশ দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ইবতেদায়ী মাদরাসা যতদিন পর্যন্ত জাতীয়করণ না হবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল্লাহ্ শেখ বলেন, ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এটি তাদের ন্যায্য এবং যৌক্তিক অধিকার। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, কোনো সরকারই এখন পর্যন্ত তাদের এ দাবিটি মেনে নেয়নি। অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করা প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এর পরিবর্তে স্বৈরাচারী কায়দায় শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলা চালানো হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এই নির্মম ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দাবি জানাই, শিক্ষকদের এ যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক এবং তাদের প্রতি এমন অমানবিক আচরণ বন্ধ করা হোক।

অন্যান্য

ডিসেম্বরে চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন টানা ৪ দিন ছুটি

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার। রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৮

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার।

রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর বুধবার। তাই বৃহস্পতিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই টানা চারদিন ছুটি পেতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এ ‍দুদিন ছুটি পালন করা হবে।

তবে যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে।

এদিকে ২৪ ডিসেম্বর ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিষ্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি। ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়।কর্মব্যস্ত জীবনে সাপ্তাহিক ছুটিতে অনেকেরই ব্যক্তিগত নানান জরুরি কাজ থাকে।

তবে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি পেলে কোথাও টুরে যাওয়া যায় বা কোনো পরিকল্পনা করা যায়। তাই এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন বহু মানুষ।

 

 

 

অন্যান্য

রমজানে কামাল করতে যাচ্ছেন ড.মুহাম্মদ ইউনূস

আসছে পবিত্র মাহে রমজান।বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় […]

নিউজ ডেস্ক

০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:০৯

আসছে পবিত্র মাহে রমজান।
বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়।


বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অত্যাধিক দাম এবং ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পরিবারের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেতে হয়।


নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের আশায় তারা পণ্য মজুত করে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে।

তবে এ বছর আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার, বাজিমাত বা কামাল করতে যাচ্ছেন ড.মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।

রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
ফলে এবার সিন্ডিকেট ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
রমজানে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় এবার বাজার স্থিতিশীল ও নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে।

রমজানের আগেই প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক্ষেত্রে মিয়ানমার, জাপান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, সৌদি আরব এবং তুরস্কসহ প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারত থেকে কিছু পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

পবিত্র মাহে রমজান সামনে রেখে মুসলিম দেশ তুরস্কের সাথেও সম্পর্ক বাড়াচ্ছে বর্তমান সরকার। এরই মধ্যে দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। এবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

শিক্ষাঙ্গন

দেশ ত্যাগের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর থেকে ফেরত সাবেক পিএইচডি আপা

দেশ ত্যাগের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর ফেরত পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের নারী সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. সাদেকা হালিমকে। পিএইচডি গবেষণায় জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও তাকে পিএইচডি আপা বলে ডাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা। রবিবার টার্কিস এয়ারলাইন্সের (টিকে-৭১৩) একটি বিমানে তিনি যুক্তরাজ্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তার সঙ্গে ব্রিটিশ […]

নিউজ ডেস্ক

১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:০৬

দেশ ত্যাগের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর ফেরত পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের নারী সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. সাদেকা হালিমকে। পিএইচডি গবেষণায় জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও তাকে পিএইচডি আপা বলে ডাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা।

রবিবার টার্কিস এয়ারলাইন্সের (টিকে-৭১৩) একটি বিমানে তিনি যুক্তরাজ্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তার সঙ্গে ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল। সোমবার বিমানবন্দর ও সরকারের একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বৈরাচারের তকমা লাগিয়ে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা পালানোর পর ১২ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সাদেকা হালিম ভিসি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক জবি ভিসি সাদেকা হালিম।
জানা যায়, রবিবার দেশত্যাগের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান সাদেকা হালিম। তার কাছে ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল। বিমানবন্দরের দায়িত্বশীলরা তাকে আটকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তার পাসপোর্ট রেখে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর সাদেকা হালিম সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

জবির সাবেক এই ভিসির দেশত্যাগের চেষ্টার বিষয়ে বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, গতকাল তিনি যুক্তরাজ্যে যাবেন বলে বিমানবন্দরে আসেন। তার টিকিট কাটা ছিল টার্কিস এয়ারলাইন্সে। এসময় তিনি একাই ছিলেন। ইমিগ্রেশনে তাকে (সাদেকা) দেখে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বসতে বলেন। পরে কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন করে সেখানে ডাকা হয়। বেশকিছু সময় তাকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নানান বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সাদেকা হালিমকে জানানো হয়, তিনি দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না এবং তার পাসপোর্টটি রেখে যেতে হবে। পরে তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান।”

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে কোটাকে কটাক্ষ করে বক্তব্য প্রদান ও শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতি অঘাত বিশ্বাসের বুলি ফুটাতেন সাদেকা হালিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মোটিভ ও কৌশল সম্পর্কে জানার জন্য শেখ হাসিনা পালানোর দুইদিন আগে গত ৩ আগষ্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ জন শিক্ষক, কর্মকর্তাদের নিয়ে গণভবনে শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন। শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য তারা শপথ নিয়েছিলেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে পিএইচডি জালিয়াতি অভিযোগ আছে। তবুও তার নামের শেষে পিএইচডি নামটি যোগ না করলে এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে হতো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নাম ছিল পিএইচডি আপা। ভিসি থাকাকালীন মসজিদে ঢুকে বক্তব্য দেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন তিনি।