সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ক্রিকেট

টানা দুই জয়ের পর খুলনার হার, জয়ে ফিরলো রাজশাহী

এবারের বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। প্রথম দুই ম্যাচেই জয় তুলে নেয় মেহেদী হাসান মিরাজের দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে তারা হার দেখেছে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে। টানা দুই জয়ের পর হেরেছে খুলনা, টানা দুই হারের পর জয়ে ফিরেছে রাজশাহী। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) খুলনাকে ২৮ রানে হারিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল। ১৭৯ […]

নিউজ ডেস্ক

১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:৩০

এবারের বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। প্রথম দুই ম্যাচেই জয় তুলে নেয় মেহেদী হাসান মিরাজের দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে তারা হার দেখেছে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে। টানা দুই জয়ের পর হেরেছে খুলনা, টানা দুই হারের পর জয়ে ফিরেছে রাজশাহী। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) খুলনাকে ২৮ রানে হারিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল।

১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা। জিশান আলমের অফস্পিনে উইলিয়াম বসিস্তু (৫ বলে ৬) একবার এলবিডব্লিউ আবেদন থেকে বেঁচে গেলেও ঠিকই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন প্রথম ওভারেই। তাসকিন আহমেদের শিকার হওয়ার আগে মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ৭ বলে মাত্র ১ রান।

২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন নাইম শেখ আর আফিফ হোসেন। কিন্তু দুজনই রানের লক্ষ্য বাদ দিয়ে বল নষ্ট করতে থাকেন। ২৮ বল খেলে ২৪ রান করে আউট হন নাইম। আফিফ ৩৩ করতে খরচ করেন ৩০ বল। তখনই আসলে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে খুলনা।

মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন সেই চাপ সরাতে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন। কিন্তু তার ইনিংসটি থেমেছে ১১ বলে ২ ছক্কায় ১৮ রানে। এরপর ইমরুল কাযেস ৬ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ১৭ রানের ক্যামিও উপহার দেন। তবে ছোট ছোট এসব ইনিংসে দলের জয়ের কোনো সম্ভাবনাই তৈরি হয়নি। শেষ পর্যন্ত খুলনা ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতে ১৫০ রানে অলআউট হয় খুলনা।

তাসকিন আহমেদ, সোহাগ গাজী আর রায়ান বার্ল নেন দুটি করে উইকেট। এর আগে ৯.৫ ওভারে ৬৭ রানে ৪ উইকেট ছিল না দুর্বার রাজশাহীর। বেশ বিপদেই পড়েছিল দলটি। সেখান থেকে ইয়াসির আলী রাব্বি, রায়ান বার্ল আর শেষদিকে আকবর আলীর ক্যামিওতে ৫ উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করায় রাজশাহী।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা খারাপ ছিল না রাজশাহীর। গতিশীল ইনিংস না হলেও রানের একটি ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও জিশান আলম। ২০ বলে ২৭ রান করে ফেরেন হারিস। ২২ বলে ২৩ রান করেন জিশান।

আজ ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় (৮ বলে ৭)। নাসুম আহমেদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ হন ডানহাতি ব্যাটার। এসএম মেহেরব ৭ বলে ৫ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন।

পঞ্চম উইকেটে ৮৮ রানের জুটি করেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও রায়ান বার্ল। এতেই লড়াকু সংগ্রহের দিকে যায় রাজশাহী। ফিফটি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় ইয়াসির আলীকে। আবু হায়দার রনির করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ২৫ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৪১ রান করে বোল্ড হন তিনি।

এরপর উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন আকবর আলী। ৯ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও উপহার দেন যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। বার্ল ২৯ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। নাসুম আহমেদ ২০ রানে ২টি আর মোহাম্মদ নওয়াজ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও আবু হায়দার রনি নেন একটি করে উইকেট।

ক্রিকেট

মাঠে হার্ট অ্যাটাক, লাইফ সাপোর্টে তামিম ইকবাল

ঢাকার সাভারে বিকেএসপির মাঠে ডিপিএলের ম্যাচ চলাকালে অসুস্থ হয়ে পেড়েছেন তামিম ইকবাল। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও শাইনপুকুরের মধ্যকার ডিপিএলের ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন মোহামেডানের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরপর ঢাকা থেকে তাকে আনতে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বিকেএসপির […]

মাঠে হার্ট অ্যাটাক, লাইফ সাপোর্টে তামিম ইকবাল

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৪ মার্চ ২০২৫, ১২:১৬

ঢাকার সাভারে বিকেএসপির মাঠে ডিপিএলের ম্যাচ চলাকালে অসুস্থ হয়ে পেড়েছেন তামিম ইকবাল। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও শাইনপুকুরের মধ্যকার ডিপিএলের ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন মোহামেডানের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

এরপর ঢাকা থেকে তাকে আনতে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বিকেএসপির পাশে শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ক্রিকেট

রাজশাহীর স্বপ্নভঙ্গ করে প্লে-অফে খুলনা

বিপিএলের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স।ঢাকা ক্যাপিটালসের দেওয়া ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় মেহেদি হাসান মিরাজের দল। মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব ভালো হয়নি খুলনার। মুস্তাফিজের বলে দলীয় ৮ রানে […]

নিউজ ডেস্ক

০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৭:১৩

বিপিএলের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স।
ঢাকা ক্যাপিটালসের দেওয়া ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় মেহেদি হাসান মিরাজের দল।

মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব ভালো হয়নি খুলনার। মুস্তাফিজের বলে দলীয় ৮ রানে শূন্য হাতে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাঈম শেখ।

১৪ রানে ফেরেন আফিফ। তাকেও আউট করেন মুস্তাফিজ। এরপর আলেক্স রসকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচের হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দুজনের ৬৮ রানের জুটিতে দিশা পায় খুলনা।
৮২ রানে রস ফিরলে বাকি কাজ সারেন উইলিয়াম বসিস্তোকে নিয়ে। বসিস্তো যখন আউট হন তখন জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে খুলনা। ছক্কা মেরে কাজটি শেষ করেন মোহাম্মদ নেওয়াজ।
৫৫ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মিরাজ।

ঢাকার হয়ে ৩টি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১টি উইকেট নেন রহমত আলি।

এর টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে লিটন দাস ১০ রানে আউট হলেও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে চড়ে ভালো শুরু পায় ঢাকা। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৪ রান তোলে ঢাকা ক্যাপিটালস।

তানজিদ এক প্রান্ত ধরে আগাতে থাকলেও বাকিরা সুবিধা করতে পারেননি।

৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান তানজিদ। তখন দলীয় স্কোর ৮২ রানে ৪ উইকেট। এরপর ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১২৩ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা।

খুলনা টাইগার্সের হয়ে ২টি করে উইকেট তোলেন উইলিয়াম বসিস্তো এবং হাসান মাহমুদ।

খেলা

২২ মিনিট কার্যত বন্ধ ছিলো তামিমের হার্ট, বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল

বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সফল ব্যাটার ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল রীতিমতো মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে এসেছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার হার্ট কয়েকবার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে চিকিৎসকদের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আবারো সচল হয় হৃদযন্ত্র। এখনো পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না, তবে এটাকে অবিশ্বাস্য কামব্যাকই বললেন দেবব্রত মুখোপাধ্যায়! তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, তামিমকে বাঁচাতে ২২ […]

২২ মিনিট কার্যত বন্ধ ছিলো তামিমের হার্ট, বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৪ মার্চ ২০২৫, ১৬:১০

বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সফল ব্যাটার ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল রীতিমতো মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে এসেছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার হার্ট কয়েকবার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

তবে চিকিৎসকদের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আবারো সচল হয় হৃদযন্ত্র। এখনো পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না, তবে এটাকে অবিশ্বাস্য কামব্যাকই বললেন দেবব্রত মুখোপাধ্যায়!

তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, তামিমকে বাঁচাতে ২২ মিনিট ধরে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দেওয়া হয়েছে এবং তিনবার ডিসি শক (ডিফিব্রিলেশন) প্রয়োগ করা হয়। এই সময় তার হার্ট কার্যত বন্ধ ছিল। গুগলে একবার সার্চ করলেই বোঝা যাবে, এ ধরনের অবস্থা থেকে ফিরে আসা কতটা বিরল ঘটনা।

তামিমকে প্রথমে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়। এনজিওগ্রামের মাধ্যমে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে এবং জরুরি ভিত্তিতে স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।

বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন, এবং চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থার উপর গভীর নজর রাখছেন।

এখনও পুরোপুরি আশ্বস্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, তবে তামিমের লড়াই এবং চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় তার ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। ক্রিকেটবিশ্ব তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে—ফিরে আসুন, তামিম!