বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সোশ্যাল মিডিয়া

ন্যায়বিচারের পথে এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ: এইচআরডব্লিউ

“সেই সময় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ওই প্রতিবেদনকে ‘অপপ্রচার’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, নিখোঁজরা আসলে পলাতক অপরাধী বা প্রতারক।”

নিউজ ডেস্ক

১০ অক্টোবর ২০২৫, ২২:২৩

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাংলাদেশে গুম, গোপন আটক ও নির্যাতনের অভিযোগে ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত, যা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর সংস্থাটি এক প্রতিক্রিয়া জানায়।

এইচআরডব্লিউয়ের এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী তার প্রতিক্রিয়ামূলক প্রতিবেদনের শিরোনাম দিয়েছেন—
“ন্যায়বিচারের পথে এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ”

প্রতিবেদনের শুরুতেই তিনি স্মরণ করান ২০১৭ সালে এইচআরডব্লিউ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের কথা, যেখানে বাংলাদেশের গোপন আটক, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল। মীনাক্ষী লেখেন,

“সেই সময় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ওই প্রতিবেদনকে ‘অপপ্রচার’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, নিখোঁজরা আসলে পলাতক অপরাধী বা প্রতারক।”

তিনি আরও বলেন,

“তখন তিনি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু কখনোই কোনো তদন্ত হয়নি।”

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার আমলে বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এবং গুমের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সরকারের প্রতিক্রিয়া সাধারণত অস্বীকার বা সময়ক্ষেপণেই সীমিত ছিল।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে টানা তিন সপ্তাহের আন্দোলনে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হন, এবং শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। পরে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেয় এবং গুমের ঘটনার তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে।

কমিশনে ১,৮৫০টিরও বেশি অভিযোগ জমা পড়ে, যার মধ্যে অন্তত তিন শতাধিক ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
সম্প্রতি কমিশন ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে, যাতে এসব ঘটনার ভয়াবহতা ও মানবিক বিপর্যয়ের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ আমলে সংঘটিত গুম, গোপন আটক ও নির্যাতনের এসব ঘটনার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয়।

বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের পর আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন।

মীনাক্ষী গাঙ্গুলী প্রতিবেদনে বলেন,

“অভিযোগ ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সেইসব পরিবারের সদস্যরা, যাদের ঘটনা আমরা নথিভুক্ত করেছিলাম। তাদের মধ্যে একজন মীর আহমদ বিন কাসেম (আরমান নামে পরিচিত), যিনি ২০১৬ সালে নিখোঁজ হওয়ার কয়েক দিন আগে আমাকে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। তাকে আট বছর ধরে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার গোপন আটককেন্দ্রে রাখা হয়েছিল এবং হাসিনা সরকারের পতনের পরই মুক্তি পান।”

তিনি আরও লেখেন,

“এই দীর্ঘ বছরগুলোতে তার স্ত্রী প্রায়ই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন, খবরের আশায় ব্যাকুল হয়ে থাকতেন। আরমানের মুক্তি নিখোঁজ পরিবারগুলোর জন্য আশার প্রতীক। তিনি এখন সুস্থ আছেন এবং একটি বইও লিখেছেন।”

তবে মীনাক্ষী সতর্ক করে বলেন,

“মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার শুরু হলেও এখনো সুষ্ঠু বিচারের মানদণ্ড ও মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। অভিযুক্তদের বিচার অবশ্যই ন্যায়বিচারের মানদণ্ড মেনে হতে হবে।”

আন্তর্জাতিক মহল এই পদক্ষেপকে বাংলাদেশের গুম ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের দায়মুক্ত সংস্কৃতি ভাঙার প্রথম দৃশ্যমান পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।

সোশ্যাল মিডিয়া

ডিসি মাসুদের ফোনালাপ ভাইরাল,‘ এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে,

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র–জনতার ওপর লাঠিচার্জের আগমুহূর্তে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনালাপের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে শোনা যায়—তিনি বলছেন, “এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে।” সোমবার (১৭ নভেম্বর) […]

ডিসি মাসুদের ফোনালাপ ভাইরাল,‘ এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে,

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৫

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র–জনতার ওপর লাঠিচার্জের আগমুহূর্তে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনালাপের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে শোনা যায়—তিনি বলছেন, “এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে।”

সোমবার (১৭ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে যেতে চাইলে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় সেনা ও পুলিশ। এরপর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সময়ই ঘটনাস্থলেই ডিসি মাসুদের ফোনালাপটি ধারণ করা হয় এবং মুহূর্তেই এটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামে একটি ফেসবুক পেজ ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছে—“কোনো আন্দোলন দমনের জন্য ‘শিবির ট্যাগ’ এখনো কার্যকর। গতকাল ফ্যাসিস্ট আমলের পাবনার ডিসি, বর্তমান রমনা ডিসি মাসুদ আন্দোলনকারীদের শিবির বলে আখ্যায়িত করে দমন অভিযানের অনুমোদন নিয়েছেন।” ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই নেটিজেনদের বড় একটি অংশ তার সমালোচনায় সরব।

ডিসি মাসুদকে এ বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো কল রিসিভ করেননি।

এর আগে মাসুদ আলমকে ঘিরে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় তার হাতে এক শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরার ছবি প্রকাশ পেয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। আবার ২০২৪ সালের কোটা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পাবনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর অনুমতি না দিয়ে উল্টো তাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ায় তিনি প্রশংসাও পেয়েছিলেন। ভাইরাল এক ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়—“যদি তোমাদের অ্যাটাক করার জন্য কেউ আসে, আগে আমাকে মারতে হবে।”

এর বাইরে রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলায় মাঠে দ্রুত উপস্থিত হওয়া এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখার কারণে তিনি বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছেন। আবার কখনো মন্তব্য ঘিরে বিতর্কেও জড়িয়েছেন—যেমন সায়েন্সল্যাব মোড়ে কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় তার মন্তব্য, “এই সংঘর্ষের কারণ আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।”

মাসুদ আলম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। র‍্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন শেষে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হন। পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট ডিএমপিতে বদলি হয়ে রমনা বিভাগের ডিসি হিসেবে যোগ দেন। ভাইরাল সাম্প্রতিক ভিডিওটি তার সম্পর্কে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—আন্দোলনকারীদের শনাক্ত না করেই ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে দমন অভিযান চালানো কি পেশাদার পুলিশের আচরণ? এই প্রশ্নই এখন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার প্রধান বিষয়।

সোশ্যাল মিডিয়া

বাংলাদেশে ঢুকছে ২ লাখ কোটি টাকার জাল নোট : জুলকারনাইন

বাংলাদেশে দুই লাখ কোটি টাকা জাল নোট প্রবেশের অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার মদদে বিভিন্ন রুটে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা সমপরিমাণ জাল নোট প্রবেশ করানো হচ্ছে, এসব টাকার কাগজ […]

বাংলাদেশে ঢুকছে ২ লাখ কোটি টাকার জাল নোট : জুলকারনাইন

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩৪

বাংলাদেশে দুই লাখ কোটি টাকা জাল নোট প্রবেশের অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার মদদে বিভিন্ন রুটে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা সমপরিমাণ জাল নোট প্রবেশ করানো হচ্ছে,

এসব টাকার কাগজ আর বাংলাদেশের নোটে ব‍্যবহৃত কাগজ একই হওয়ার কারণে খালি চোখে এমনকি ব‍্যাংকের যাচাই মেশিনেও এসব নোট জাল হিসেবে চিহ্নিত করা দুরূহ। নিরাপত্তা সুতাসহ হলোগ্রাম প্রিন্ট সবই অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, বিশেষ ব্যবস্থায় দেশটির নিজস্ব মুদ্রা ছাপানোর ফ‍্যাসিলিটিতে এসকল নোট প্রিন্ট করা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত মাধ্যমে জানা গেছে।

পোস্টে তিনি লেখেন—বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত একপ্রকারের ধ্বংস করতে এবং বিভিন্ন নাশকতামূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্যে এসব নকল নোট অত্যন্ত কম মূল্যে দেশের জালনোট কারবারিদের কাছে বিশেষ ব্যবস্থায় পৌঁছে দিচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডস, বিভিন্ন গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থা এ বিষয়ে অবগত, এবং নিজ সামর্থের সর্বোচ্চ দিয়েই তারা এই অপতৎপরতা প্রতিরোধের চেষ্টা করে চলেছেন, পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের মধ‍্যেও এ বিষয়ে কার্যকরি সচেতনতা তৈরি গুরুত্বপূর্ণ।

সোশ্যাল মিডিয়া

মানসিক ভারসাম্যহীন হলে অপূর্ব মানসিক হাসপাতালে যাবে,অথবা যাবে রিহ‍্যাব সেন্টারে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন : আজহারী

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কুরআন অবমাননার যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।’ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বের একটি ঘটনার উদাহরণ টেনে […]

মানসিক ভারসাম্যহীন হলে অপূর্ব মানসিক হাসপাতালে যাবে,অথবা যাবে রিহ‍্যাব সেন্টারে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন : আজহারী

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৫৪

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কুরআন অবমাননার যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।’

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বের একটি ঘটনার উদাহরণ টেনে আজহারী লিখেছেন, ‘ইতিপূর্বে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে, হাদিসের উদাহরণ দেয়ার কারণে শিক্ষকের বহিষ্কার দেখেছে গোটা দেশ!

এগুলো বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা প্রবাহ নয় বরং কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষের উদাহরণ। কেউ মানসিক ভারসাম্যহীন হলে, মানসিক হাসপাতালে যাবে। অথবা যাবে রিহ‍্যাব সেন্টারে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন?’

এই ঘটনার পেছনে দেশকে অস্থিতিশীল করার কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিকালে কেউ সুযোগ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দা * ঙ্গা-হা*ঙ্গামা লাগাতে চাচ্ছে কি না— সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। এটা দেশকে অশান্ত করার একটি নীলনকশার অংশও হতে পারে।’

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে এই ঘটনার বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দিয়ে আজহারী যোগ করেন, ‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অমুসলিম শিক্ষার্থীদেরও উচিত এর কঠোর প্রতিবাদ জানানো। কুরআন এসেছে গোটা মানবজাতির হেদায়েত হিসেবে।

কোন ধর্মগ্রন্থের অবমাননাই আমরা বরদাশত করব না। প্রতিবাদ কর্মসূচি ছাড়াও, আগামী এক মাস নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি, কুরআন স্টাডি সার্কেল, কুরআনের অনুবাদ ও তাফসির বিতরণ কর্মসূচি পালন করা যেতে পারে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অপূর্ব পালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আজহারী। লিখেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এই কুলাঙ্গারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই; যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন দুঃসাহস দেখানোর স্পর্ধা না দেখায়।’