বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এর মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। সেখানে তিনি প্ল্যাটফর্মটির কাউন্সিল ও কার্যক্রম নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন।
উমামার এই ঘোষণায় ছাত্র আন্দোলন এবং সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনার ঝড় ওঠে। এ বিষয়ে শনিবার রাতে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘উমামা ফাতেমা যেসব অভিযোগ তুলেছেন, তার মধ্যে সব অভিযোগ ফেলে দেওয়ার মতো না। আবার সব গ্রহণ করার মতোও না।’
সারজিস আলম আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে যারা নারীদের সংগঠিত করেছেন, উমামা তাদের অন্যতম। এ কারণেই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে তিনি স্বীকার করেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে প্রত্যাশামতো সব কিছু হয়নি। তার ভাষায়, ‘এটা সত্যি যে সব বিষয় যেভাবে হওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেভাবে হয়নি। আমরা নতুন করে এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
প্রথমবারের মতো এমন একটি প্রক্রিয়া পার করছি বলে অনেক কিছু অজান্তেই অপ্রত্যাশিত মনে হতে পারে। আবার কারো কাছে মনে হতে পারে এটাই ঠিক।’
তিনি জানান, এ বিষয়ে উমামার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনায় বসার ইচ্ছে রয়েছে। সারজিস আলম বলেন, ‘আমারও জানা উচিত, তার কোন জায়গায় সীমাবদ্ধতা মনে হয়েছে। এগুলো নিয়ে আমরা কীভাবে কাজ করতে পারি, তা ভাবতে হবে।’
উমামা ফাতেমার অভিযোগে আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্বের জবাব এবং এ নিয়ে চলমান আলোচনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভবিষ্যৎ ও আস্থার প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসেছে।