প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ ও গঠন প্রক্রিয়া বৈধ—হাইকোর্টের এমন রায়কে বহাল রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, হাইকোর্টের রায়ে কোনো ত্রুটি নেই, তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পূর্ণ বৈধতা পাবার জন্য পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
এই রায়ের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চলমান বিতর্কের অবসান হলো। আদালত স্পষ্টভাবে জানায়, জনগণের গ্রহণযোগ্যতা ও পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত যথার্থ ছিল। ফলে আপিল বিভাগ সেই সিদ্ধান্তই বহাল রাখে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ। ইন্টারভেনর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আইনজীবী মহসিন রশিদ। তবে হাইকোর্ট রিট খারিজ করে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন—জনগণ বৈধতা দিয়েছে, তাই আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে না। পরে তিনি আপিলে যাওয়ার অনুমতি চান।
আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়, হাইকোর্ট সঠিকভাবে আইনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে পূর্ণ সাংবিধানিক বৈধতা ও স্থায়ী রূপ পেতে হলে ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারের আনুষ্ঠানিক সম্মতি প্রয়োজন হবে।
আইনজীবীরা মনে করছেন, এই রায় দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রশাসনিক ধারাবাহিকতার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলে রায়টি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।