বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি, আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রিয়াজের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপির নিউইয়র্ক স্টেট শাখা। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে এই দাবি জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ।

নিউজ ডেস্ক

০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:২১

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রিয়াজের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপির নিউইয়র্ক স্টেট শাখা। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে এই দাবি জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ।

লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, ড. আলী রিয়াজ অতীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন প্যানেল আলোচনায় দলটির পক্ষ সমর্থন করেছেন।

গিয়াস আহমেদ বলেন,

“ফ্যাসিবাদী আমলে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ‘৭১-এর চেতনা’, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জনগণের ভোটাধিকারের বাস্তবায়নের জন্য বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে এসেছে। লাখো মিথ্যা মামলা, জেল-জুলুম, ‘আয়না ঘর’ ও ‘ক্রসফায়ার’-এর মুখেও তারা মাথানত করেনি।”

তিনি বলেন,

“৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের আগের সপ্তাহে পাঁচজন ছাত্র সমন্বয়ক ডিবি হারুনের হোটেলে ভাত খেয়ে আদালতের নির্দেশে কোটা সংস্কার মেনে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছিলেন। কিন্তু তারেক রহমান প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ও দেশের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে এক দফা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। এরপর ছাত্রজনতা, শ্রমজীবী মানুষ, রিকশাচালক, গার্মেন্ট শ্রমিক ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলনে যোগ দেয়, যার ফলে খুনি হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন।”

বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন,

“জামায়াতের সহযোগিতায় অন্তর্বর্তী সরকার এখন গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করতে চক্রান্ত করছে। ঐকমত্য কমিশন প্রায় এক বছর ধরে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু এখন তারা হঠাৎ করে সংবিধান পরিবর্তনের নামে গণভোটের উদ্যোগ নিচ্ছে, যেখানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি দেশের জনগণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”

তিনি বলেন,

“সংবিধান সংশোধন সাধারণত সংসদে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে হয়। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের গোপন পদক্ষেপ নির্বাচন প্রক্রিয়া বানচালের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই সরকার জামায়াতের সহায়তায় ভোটবিহীনভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। দুর্নীতি, তদবির-বাণিজ্য, প্রশাসনিক ব্যর্থতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও গার্মেন্ট শিল্পের সংকটে দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের পতিত দোসররা এখনও প্রশাসনে দিল্লির ইশারায় কাজ করছে।”

গিয়াস আহমেদ আরও বলেন,

“ড. আলী রিয়াজ অতীতে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন। আমি নিজেও একাধিক প্যানেল আলোচনায় তার সঙ্গে অংশ নিয়েছি, যেখানে তিনি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এখন তিনি ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি হয়ে রাজনৈতিক বিভেদ সৃষ্টি করছেন। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।”

বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন,

“গণভোট নির্বাচনের দিনই অনুষ্ঠিত হবে—এটাই বিএনপির অবস্থান। যে বিষয়গুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়নি, সেগুলো নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করতে হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হলে তার আগে গণভোট আয়োজন করতে হাজার কোটি টাকার ব্যয় হবে, যা একদিনেই সম্পন্ন করা সম্ভব।”

জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন,

“জামায়াত সবসময় জনগণের বিপক্ষে কাজ করেছে। ১৯৪৭ সালে মুসলমানদের স্বার্থবিরোধী অবস্থান নিয়েছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে থেকে গণহত্যা চালিয়েছে, ১৯৮৬ সালে স্বৈরাচার এরশাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে এবং বারবার জাতিকে বিপথে নিয়েছে। আজও তারা জনগণের ভোটাধিকার হরণে সক্রিয়।”

তারেক রহমানের বিষয়ে তিনি বলেন,

“অন্তর্বর্তী সরকার তার দেশে ফেরা ঠেকাতে ষড়যন্ত্র করছে। অতীতে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এখনো পর্যন্ত তার নিরাপত্তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি সরকার। বরং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে নিরুৎসাহিত করছে।”

তিনি দাবি করেন,

“বর্তমান আদালত ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে, হাসিনা সরকারের দেওয়া মামলাগুলো মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।”

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জসিমউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

৩০ অক্টোবর ২০২৫
poll_title
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট প্রশ্নে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ১২০৭৮

রাজনীতি

বিএনপি নেত্রী নিলুফার মনিকে ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে ব্যবস্থা নেবে ছাত্রশিবির

য়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন

নিউজ ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৩

বিএনপি নেত্রী নিলুফার চৌধুরী মনির বক্তব্যকে ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঘৃণ্য অপপ্রচার আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, আদালতের রায়ে প্রমাণিত সত্য হলো—বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে জনগণের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তিনি কি পতিত ফ্যাসিস্টদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন?

শিবিরের নেতারা আরও বলেন, গত ১৬ বছরে সংগঠনের ১০১ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ২০ হাজারেরও বেশি মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছে, সাতজন এখনো গুম রয়েছে। এই সময়ে ছাত্রলীগই ক্যাম্পাসগুলোতে দাপটের সঙ্গে খুন, ধর্ষণ, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি চালিয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশ্বজিতকেও শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ভয়াবহ নজির সৃষ্টি করেছে ছাত্রলীগ। অথচ এই সব অপরাধ অস্বীকার করে নিলুফার মনি আজ শিবিরকে দোষারোপ করছেন। এটি নিছক মিথ্যাচার নয়, বরং দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করার নগ্ন ষড়যন্ত্র।

তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় ছাত্রশিবির আইনিভাবে কঠোর জবাব দেবে। দেশের মানুষ এখন খুব ভালো করেই জানে কারা আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে এবং কারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত করেছে।

১৩ নভেম্বর ২০২৫
poll_title
আপনি কি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৫৪৯৭

রাজনীতি

রুদ্ধদ্বার বৈঠকে গোপন সিদ্ধান্ত বিএনপির, ১৫০ প্রার্থীকে সবুজ সংকেত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক বছরের যাচাই-বাছাই ও বিভাগীয় পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরও সব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। তবে দলটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন প্রার্থীকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিএনপি এবার একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬০ আসনে […]

নিউজ ডেস্ক

২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৩৪

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক বছরের যাচাই-বাছাই ও বিভাগীয় পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরও সব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। তবে দলটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন প্রার্থীকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপি এবার একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬০ আসনে নিজেদের প্রার্থী দিতে এবং শরিকদের জন্য ৪০ আসন ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিএনপির জোটে যুক্ত হলে তাদের জন্য ৮টি আসন রাখার বিষয়েও আলোচনা চলছে।

এক বছর আগে থেকেই সারাদেশে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি। প্রথমে প্রায় ৯০০ সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা তৈরি করে তা লন্ডনে হাইকমান্ডে পাঠানো হয়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই প্রার্থীদের যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক ভূমিকা যাচাই করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্তের গতি বাড়ায়। গত ২৬ ও ২৭ অক্টোবর গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিভাগভিত্তিক মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তারেক রহমান বৈঠকে বলেন, “এই নির্বাচন বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যাকে যেখানে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না।”

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, প্রার্থী নির্ধারণের বিভাগীয় বৈঠক শেষ হয়েছে, এখন মূল লক্ষ্য দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য নিশ্চিত করা।

বর্তমানে বিএনপি প্রায় ৪০টি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে শরিকদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। ফলে, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন তালিকা ও জোট গঠনের রূপরেখাই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।

৩০ অক্টোবর ২০২৫
poll_title
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট প্রশ্নে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ১২০৭৮

রাজনীতি

বিএনপি জোটের ১২ নেতাকে দিল ‘গ্রিন সিগন্যাল’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষিত তালিকায় দেখা যায়, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসনে— দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১— মনোনয়ন পেয়েছেন। দলটির ভারপ্রাপ্ত […]

বিএনপি জোটের ১২ নেতাকে দিল ‘গ্রিন সিগন্যাল’

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঘোষিত তালিকায় দেখা যায়, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসনে— দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১— মনোনয়ন পেয়েছেন। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসনে এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। খালেদা জিয়াসহ ১০ জন নারী বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।

তবে এখনও ৬৩টি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে, যা শরিক দলগুলোর জন্য ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্ব। দলটির একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, শরিক দলের ১২ জন নেতাকে ইতোমধ্যেই ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা নিজেদের আসনে প্রস্তুতি নিতে পারেন।

তালিকায় রয়েছেন পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা-১৭ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম এবং কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।

এছাড়া ঢাকা-১৩ আসনে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপি মহাসচিব অধ্যাপক ওমর ফারুক, কুমিল্লা-৭ আসনে ড. রেদোয়ান আহমেদ, নড়াইল-২ আসনে এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং ঝিনাইদহ-২ আসনে রাশেদ খান।

দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপি এবার বৃহত্তর ঐক্যের ভিত্তিতে নির্বাচন করার কৌশল নিয়েছে। শরিক দলগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থী বণ্টন করা হচ্ছে, যাতে জোটগত সমন্বয় অটুট থাকে।

১৩ নভেম্বর ২০২৫
poll_title
আপনি কি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৫৪৯৭