আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর ডাকে কর্মসূচি চলছে তিনদিন ধরে। এ অবস্থায় কোনো ধরনের চাপে পড়ে যদি হঠাৎ যদি কর্মসূচি প্রত্যাহারের ডাক আসে তার পক্ষ থেকে, তবুও যেন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হয়, সেজন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে চলমান গণজমায়েত কর্মসূচিতে এ আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, কোনো কিছুর কারণে চাপে পড়ে আমি যদি আন্দোলন প্রত্যাহারের ডাক দিই, তারপরও দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন সবাই চালিয়ে যাবেন। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করবো।
এর আগে, দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে হাসনাত লিখেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গত দুই দিন ধরে ছাত্র-জনতা রাস্তায় অবস্থান করছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের সবস্তরের ছাত্র ও নাগরিকরা স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে সক্ষম হলেও এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারেনি।
পোস্টে তিনি আরও লিখেন, গত দুই দিনে এই আন্দোলনকে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। নানাভাবে আন্দোলনকে বিতর্কিত ও বিভক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই আন্দোলন কোনো একক দলের বা মতের নয়।
বাংলাদেশের সব স্তরের ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে একত্রিত হয়েছে। সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে এখন থেকে আমাদের সব কর্মসূচি ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য’ ব্যানারে পালিত হবে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?