সাম্প্রতিক এক আলোচনায় তিনি মন্তব্য করেন, “জনগণ যদি বিএনপিকে পছন্দ করে, তাহলে আপনার এত চুলকায় কেন?” তার এই সরাসরি মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
আব্দুস সালাম মনে করেন, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা। যদি জনগণ কোনো দলকে — তা বিএনপি হোক কিংবা অন্য কেউ — সমর্থন করে, তবে সেটা মেনে নেওয়া উচিত। জনগণের রায়কে অসম্মান করে বারবার প্রশ্ন তোলা বা নেগেটিভ প্রচারণা চালানো গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।
তিনি আরও বলেন, একদলীয় মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে বহুদলীয় রাজনীতিকে সম্মান জানানোই সভ্য রাজনীতির চিহ্ন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, একটা দল বলে, নির্বাচন কেন দিব, বিএনপি ক্ষমতায় যাবে এটার জন্য? জনগণ যদি বিএনপিকে পছন্দ করে তাহলে আপনারা এত চুলকায় কেন?
একটা নিরপেক্ষ ভোট, সেটা শুধু বিএনপির জন্য না সকল রাজনৈতিক দল এবং দেশের মানুষের জন্য দরকার। যে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ আমরা একটি নির্বাচিত সরকারের জন্য অপেক্ষা করছি, আন্দোলন করেছি, এই পর্যন্ত অনেক নেতাকর্মী শহিদ হয়েছেন কিন্তু এখনো আমরা সেই নির্বাচনও পাই নাই, সেই গণতন্ত্রও পাই নাই।
তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র আর নির্বাচন একটা সোনার হরিণে রূপান্তরিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলতো নির্বাচন কেন দিব তারেক আইসা দেশ চালাবে এটার জন্য? এখন অনেকে বলেন, নির্বাচন কেন দিব বিএনপি ক্ষমতায় যাবে এটার জন্য? ভাই জনগণ যদি বিএনপিকে পছন্দ করে তাহলে আপনারা এত চুলকায় কেন?
আব্দুস সালাম বলেন, শেখ হাসিনা বিনা ভোটে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে তখন তো আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম। তখন তো আপনারা রাস্তায় আসেন নাই, আমরা বলেছি এই আন্দোলন, এই ভোটের অধিকারের আন্দোলন, এই গণতন্ত্র শুধু বিএনপির জন্য না সকল রাজনৈতিক দলের জন্য দরকার।
এমনকি আওয়ামী লীগের জন্যও দরকার। একটা নিরপেক্ষ ভোট সেটা শুধু বিএনপির জন্য না সকল রাজনৈতিক দল এবং দেশের মানুষের জন্য দরকার। তখন তো অনেকে মুখ ডানে বায়ে লুকিয়ে ছিলেন, তাই আমরা বলতে চাই বিএনপিকে আগেও সমালোচনা করেছেন এখনো অনেকে করছেন। শেখ হাসিনাও বলতো বিএনপিরে কেউ চায় না, বিএনপির কোন নেতা নাই, বিএনপিরে নাকি এই দেশের মানুষ ভালোইবাসে না।
কিন্তু আবার বিএনপির ভয় নির্বাচন দেয় নাই। আওয়ামী লীগ দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছিল, জিয়া আসার পরে গণতন্ত্র ফিরায়ে দিয়েছিলেন। এটা কি সংস্কার ছিল না? ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এটা কি সংস্কার ছিল না?
আব্দুস সালাম তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, সমালোচনা করা যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়, তাহলে প্রশংসা করাও উচিত যেখানে প্রাপ্য। যদি বিএনপি বা অন্য কোনো দল জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়, সেটি স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়াই শ্রেয়। অন্যথায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে এবং গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?