বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারা সংস্কার করবে না। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার ভঙ্গের একটি ইতিহাস আছে। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ এম শাহান।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংস্কার করবে না এটি বলাই যায়। এই কথাগুলোর ভিত্তি আছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব প্রতিশ্রুতি ভাঙার একটি ইতিহাস আছে। জনগণের এই অবিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি মূলক রাজনীতির যে কালচার সেটি আমরা লালন করে এসেছি।
রাজনৈতিক দলগুলোর একদম ডিএনএ যে এই জিনিসটা আছে। এ কারণেই আজকে যেকোনো দল যদি এসে বলে যে আমি ভালো হয়ে গেছি, শুধরে গেছি তাহলে বাকি দলগুলোর এটিকে সন্দেহের চোখে দেখার একটি অবকাশ থেকে যায়।
আলোচানায়, যে দল ভালো হয়নি তারাই যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে সংবিধান দিয়ে ফ্যাসিজম রোধ করা যাবে এর নিশ্চয়তা কী? এই প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক আসিফ বলেন, সাংবিধানিক পরিবর্তন বা সংশোধন যাই করা হোক সেখানে আইন ও নিয়মগুলো কীভাবে সঙ্গায়িত করা হয়েছে, কতটুকু ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবেন এই বিষয়গুলো স্পষ্ট থাকতে হবে।
তিনি বলেন, একটি ঐকমত্যের জায়গায় আসতে হবে যে আপনি কতটুকু পরিবর্তন চান। অন্যান্য দেশ যেমন ইউএসএ তে ইনকামবেন্সি অ্যাডভান্টেজ থাকে, যেখানে কোনো একজন প্রতিদ্বন্দ্বী ২-৩% ভোট বেশি পান। কিন্তু
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি হয় এ্যান্টি ইনকামবেন্সি, অর্থাৎ ভোটকে রাগ প্রকাশের একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করে। আমরা ২০০১ ও ২০০৮ এ আমরা দেখেছি একটি দলের সংবিধান সংশোধনের অপরিসীম ক্ষমতা। দুটোরই অপব্যাবহার আমরা দেখেছি।
তিনি আরো বলেন, এই অবস্থায় আমরা যদি সংবিধান সংশোধনের জন্য সেই প্রক্রিয়াই রাখি, দলীয় ভারসাম্যের জন্য কাজ না করি তাহলে সেটা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের ভয়টি থেকে যাবে। এটি দোষের কিছু নয় যে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই নিজেদের পক্ষে বলবে।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?