‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না’ বাংলা ভাষার জনপ্রিয় এই প্রবাদের সাথে মিলে যায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম দোসর ও আলেমদের জুডিশিয়াল কিলিংয়ের সাথে জড়িত তুরিন আফরোজের বর্তমান অবস্থা। ক্ষমতার কি দাম্ভিকতাই না ছিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর সাবেক এই প্রসিকিউটরের।
২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আলেমদের ওপর যে নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তুরিন। বর্তমানে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হয়ে ৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন স্বৈরাচারের এই দোসর।
আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো আলেমদের গণহত্যাকারী তুরিনের বহুমুখি অপরাধ চিত্রের নানা আদ্যোপান্ত। ইসলাম বিরোধী তুরিন ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনকালে যা করেছেন তা একজন মুসলমান হিসেবে ক্ষমার অযোগ্য চরম নির্লজ্জতাও বটে।
২০১৩ এর সেই শাপলা চত্বরের গণহত্যা থেকে শুরু করে জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবশালী নেতা ও দেশবরণ্য আলেমদের কথিত রাজাকারের ট্যাগ লাগিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারতে আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রকাশ্যে সাহায্য করেছেন মুসলমান নমধারী এই নাস্তিক।
মনে আছে গণজাগরণ মঞ্চের কথা? যে মঞ্চ তৈরিই করা হয়েছিলো আলেম সমাজকে ধ্বংশ করার জন্য। কথিত রাজাকারের ট্যাগ দিয়ে এই মঞ্চ থেকেই স্লোগান উঠেছিলো আলেমদের ফাঁসিতে ঝোলানোর।
এই মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের সাথেও বেশ সখ্যতা ছিলো তুরিনের। শুধু তাই নয় ইমরানের সাথে সরাসরি নিজ বাসায় মদের আসর বসাতেন তুরিন এমন অভিযোগও পাওয়া যায়।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সাথেও গোপন সম্পর্ক ছিলো তুরিনের। তুরিন-ইমরানের সেই গোপন মদের পার্টিতে যোগ দিতেন শাহরিয়ার কবির নিজেও।
শুধু এতটুকুই নয় ইমরান ও শাহরিয়ার কবিরের সাথে যৌনতায় মেতে উঠতেন তুরিন, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে।
এই সেই তুরিন যে ১ হাজার মাদরাসা ও ১১৬ জন আলেমের বিরুদ্ধে ধর্মব্যবসায়ী ট্যাগ লাগিয়ে তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনকালে তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদ আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহীদ ও গোলাম আজমের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করেছেন।
ইতিমধ্যে তুরিন ও সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ই মে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্তর এলাকায় নিজেদের নেতাকর্মী ও পথচারীদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউশনে অভিযোগ দাখিল করেছে হেফাজতে ইসলাম।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে প্রসিকিউশন।
অন্যদিকে কালা মানিকখ্যাত বিচারপতি মানিকের ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী তুরিন। জানা যায়, প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনকালে মানিকের সাথে মিলে কোটি কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে মূল রাজাকারদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ তুলতেন না তিনি বরং ইসলামপন্থী আলেমরা ছিলো এই নাস্তিকের চক্ষশূূল।
তুরিন এতটায় ভয়ানক ছিলেন যে তার অপকর্মের বিরোধীতা করায় আপন মা এবং ভাই এর বিরুদ্ধেও মামলা করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় এক পর্যায়ে মা ও ভাইকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে ঠিকই আমোদ ফূর্তিতে ব্যস্ত থাকেন স্বৈরাচার হাসিনার এই দোসর।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?