গালিগালাজ, হুমকি-ধমকি কিংবা পাতানো কৌশল—কিছুই চলবে না। এই বছর নির্বাচন হতেই হবে”—ফেসবুকে এক জ্বালাময়ী পোস্টে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র এবার আর সফল হবে না।
রোববার (তারিখ উল্লেখ না থাকায় ধরে নেওয়া যায়, ৩১ মার্চ) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ইশরাক বলেন, “নির্বাচনের কথা বললেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র গালাগালিতে লিপ্ত হয়। তারা ভাবছে, গালিই বুঝি গণতন্ত্রের উত্তর! কিন্তু আমি বলে দিতে চাই—আরও ১০ লাখ গালি দিলেও আমরা থামবো না। এ দেশে সাড়ে বারো কোটিরও বেশি ভোটার আছেন, এই জনগণই আমাদের শক্তি।”
তিনি উল্লেখ করেন, “২০১১ সাল থেকে আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। শেখ হাসিনার মতো অনির্বাচিত শাসক গায়ের জোরে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে চেয়েছেন। কিন্তু সেটা আর এবার হবে না।”
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, “আমরা জানি, সরকারপ্রধান ও তার প্রোপাগান্ডা মেশিন নির্বাচনকে ঘুরিয়ে দিতে চাইবে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন। যারা মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের কণ্ঠ রোধ করতে চায়, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুককে ব্যবহার করছি বিকল্প প্রচারমাধ্যম হিসেবে।”
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “যারা গালিগালাজ করছেন, তারা অন্তত একটিবার ভোটার সংগ্রহ করে দেখান। গণতন্ত্রের ময়দানে আসুন, হুমকি-ধমকি দিয়ে রাজনীতি হয় না। শেখ হাসিনার মতো ‘থাকবো-থাকবো’ করে আর থাকা যাবে না।”
ফেসবুক পোস্টের শেষ দিকে ইশরাক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমি আবারো বলছি—এই বছরই নির্বাচন হতে হবে। এটাই জনগণের দাবি, এটাই সময়ের দাবি। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আমরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের মাধ্যমেই আদায় করব—ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও স্পষ্ট করেন, “নির্বাচনে যারাই জনগণের রায় পাবে, আমরা তাদের মেনে নেব, সহযোগিতা করব। কিন্তু পাতানো নির্বাচন বা কারসাজির মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা আর খোলা নেই। আগাম আরও দুই লাখ গালির জন্য ধন্যবাদ—তবুও নির্বাচন ঠেকানো যাবে না।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে ইশরাক হোসেন একদিকে ক্ষমতাসীনদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অন্যদিকে জনগণের ভোটাধিকার আদায়ে আন্দোলনের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির তরুণ প্রজন্মের নেতারা এখন সরাসরি লড়াইয়ের ময়দানে নেমে গণতন্ত্রের দাবি নতুন ভাষায় তুলে ধরছেন—আর এই ভাষা আরেকটি আন্দোলনের আগাম বার্তা।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?