সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

ক্ষমতার মজা পেয়ে গেছেন উপদেষ্টা পরিষদ

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন পর্যন্ত তাঁর ভাবমূর্তি ধরে রেখেছেন। বিদেশি রাষ্ট্র-প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমানতালে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে যথেষ্ট সম্মানও পাচ্ছেন। এটা বাঙালি হিসেবে সবার জন্যই গৌরবের বিষয়। কিন্তু তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সবাই এখন একটু মজা পেয়ে গেছেন ক্ষমতার। তাঁদের আর […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৭

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন পর্যন্ত তাঁর ভাবমূর্তি ধরে রেখেছেন। বিদেশি রাষ্ট্র-প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমানতালে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে যথেষ্ট সম্মানও পাচ্ছেন। এটা বাঙালি হিসেবে সবার জন্যই গৌরবের বিষয়।

কিন্তু তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সবাই এখন একটু মজা পেয়ে গেছেন ক্ষমতার। তাঁদের আর এই গদিটা ছাড়ার ইচ্ছা নাই। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় এজেন্ডা হওয়া উচিত নির্বাচনি প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি গণহত্যাকারী- অপরাধীদের বিচার করা। আর তাদের বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা।

গতকাল এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগকে তার কৃত অপরাধের জন্য আগামী কয়েক বছরের জন্য দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার বিষয়েও তাঁর ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করেন।

প্রশ্ন : বর্তমানে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক অবস্থা কী? অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেমন?

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম : বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালোমন্দ মিলেই চলছে। ভালোটাই আগে বলি।

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সারা বিশ্বে সুপরিচিত ব্যক্তি। তিনি এখন পর্যন্ত তাঁর ভাবমূর্তি ধরে রেখেছেন এবং বিদেশি রাষ্ট্র-প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমানতালে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে যথেষ্ট সম্মানও পাচ্ছেন। এটা বাঙালি হিসেবে সবার জন্যই গৌরবের বিষয়। তিনি কাউকে তোষামোদ করে কোনো বক্তব্য রাখেননি।

বাংলাদেশের স্বার্থের কথা বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরেছেন। এটা হলো ভালো দিক। আর খারাপ অংশটা হলো, তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সবাই এখন একটু মজা পেয়ে গেছেন ক্ষমতার। তাঁদের আর এই গদিটা ছাড়ার ইচ্ছা নাই। যদিও তাঁরা মুখে এটা বলেন না। কিন্তু তাঁদের কর্মকাণ্ডে এবং প্রতিদিনের নিত্যনতুন সংস্কারের দাবিতে যেসব কথা বলছেন, যেসব সংস্কার গত ৫০ বছরে হয়নি সেগুলো করতে তো একটু সময় লাগবে।

তাদের বক্তৃতা-বক্তব্যে মনে হয় যেনো সেগুলো ছাড়া আর দেশ চলছে না। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি হলো, দেশের যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা এতদিন অপেক্ষা করেছি, সেই গণতন্ত্রকেই এখন পেছনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কিছু আঁতেলদের দ্বারা জনগণকে এমন একটা ধারণা দেওয়া হচ্ছে, গণতন্ত্র এলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। জনগণের ভোটের মাধ্যমে কোনো পরিবর্তন হবে না।

অথচ পৃথিবীতে সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের ভোটের মাধ্যমেই পরিবর্তন এসেছে। রাজনীতিবিদরা সময়ে-অসময়ে সময়ের দাবিতেই নিজেদের সংশোধিত করেছেন। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে দেশকে উন্নততর পরিস্থিতিতে নিয়ে যাচ্ছেন। সুতরাং বাংলাদেশে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো নির্বাচিত সরকার ছাড়া এই কয়েকজন অ্যামেচার দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান হবে না।

আমরা অনেক আশা করেছিলাম তরুণ যে ছাত্রনেতা বা তরুণ যে যুবক নেতারা রয়েছেন, তাঁরা নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করবেন। তাঁরা নতুন ধারার রাজনীতি শুরু করবেন। কিন্তু দেখা গেল যেই লাউ সেই কদু। তাঁরা যাদেরকে প্রতিদিন নিন্দা-মন্দ করেন, তারা যে রাজনীতি করে, সেটাই তাঁরা অনুসরণ করছেন। নিজের বাড়িতে যেতে যদি ১০০ গাড়ির বহর লাগে, তাহলে ভবিষ্যতে তাঁরা কী দেবে দেশকে।

এসব দেখে এবং তাঁদের সম্বন্ধে যেসব কথা শোনা যাচ্ছে, বিশেষ করে তাঁরা কোনো পয়সাকড়ি/খরচ না দিয়ে যেখানে বিনামূল্যে অবস্থান করছেন পাঁচতারকা হোটেলে, তাঁদের দিয়ে কী হবে? তাঁদের কর্মকাণ্ডে আমি অনেকটা আশাহত হয়েছি। অথচ এঁরাই ছিল দেশের ভবিষ্যৎ। এঁদের নিয়েই আমরা অনেক কিছু আশাভরসা করেছিলাম। এঁদেরকে দেখেই রাজনৈতিক দলগুলোও নিজেদের অনেক সংশোধন করে নেবে, অতীতেন মতো এঁরা গড্ডলিকায় গা ভাসিয়ে দেবে না। কিন্তু দেখা গেল যে আমরা আশার যে আলো দেখতে পেয়েছিলাম, সেটিও নির্বাপিত প্রায়। এই অবস্থাতে আমার মনে হয় যে ভোটের মাধ্যমেই একমাত্র একটা সমাধান হতে পারে।

বিএনপিকেও অনেক পরিবর্তন আনতে হবে। বিএনপির প্রথম কাজটাই হবে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। এবং নিজের দলে যদি কেউ উল্টাপাল্টা কাজ করে, জনগণ যেগুলো পছন্দ করে না, তাদের বিরুদ্ধে প্রথম অ্যাকশন নিতে হবে। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে, বিএনপি জিয়াউর রহমানের দল এবং আওয়ামী লীগ যেসব ভুলভ্রান্তি করেছে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে বিএনপি এগুলো করবে না। এই হলো মোটামুটি ভালোমন্দ মিলিয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

প্রশ্ন : নির্বাচন নিয়ে চারদিকে সংশয় দেখা দিয়েছে। ছাত্রনেতারা চাচ্ছেন আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামি কয়েকটি দলের ভূমিকাও অস্পষ্ট। এ অবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে নাগাদ হতে পারে? আপনি কী মনে করেন?

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম : যাদের দেশের জনগণের মধ্যে কোনো অবস্থান নেই, একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে যাদের জনপ্রিয়তা। একটি ছোট গোষ্ঠীর মধ্যে যাদের বিচরণ, তারা নির্বাচনকে ভয় পাবেই। জনগণের ওপর তাদের আস্থা নেই। তবে নির্বাচন তো এখনো অনেক দেরি আছে। তারা লোকজনের মাঝে নিজেদের ভাবধারা প্রচার করুক।

তাদের যে মেনিফেস্টো রয়েছে, তাদের যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সেগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরুক। তারপরে নির্বাচনে তারা ভোট চাইতে পারে। কিন্তু আগে থেকেই তারা ধরে নিয়েছে যে তারা ভোটে পরাজিত হবে। সুতরাং পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচন পেছাতে হবে, আমাদের দলের অবস্থান নাই, অবস্থান তৈরি করে তারপর নির্বাচন দেব, এ ধরনের চিন্তাভাবনা জাতি ও দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে।

আমি মনে করি প্রফেসর ইউনূস তিনি যদি তাঁর সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে চান, তাহলে এই ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁর নির্বাচন দিয়ে দেওয়া উচিত। নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, এমনও হতে পারে যে আর কখনো নির্বাচন দেখবে না এ দেশের জনগণ। যেহেত দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার নাই এবং এই সরকারের দেশ পরিচালনার কোনো অভিজ্ঞতা নাই, ফলে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে কিংবা অন্য যেকোনো কারণেই হোক তারা দেশটাকে একটা অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে। সুতরাং খালি নিজের চেয়ারের কথা চিন্তা করলে তো হবে না। দেশের কথাও চিন্তা করতে হবে। আরেকটা জিনিস হলো, এদের অতীত কী? এরা হয়তো নিজেরা জ্ঞানী-গুণী লোক, কিন্তু দেশের জন্য এদের কী অবদান আছে?

প্রশ্ন : সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে কীভাবে দেখছেন? সংস্কারের নামে নির্বাচন প্রলম্বিত করার কোনো যোগসূত্র আছে কি না?

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম : বর্তমানে যে নতুন রাজনৈতিক দলটি হয়েছে, এতে শীর্ষ পর্যায়সহ সরকারের প্রত্যেক উপদেষ্টা এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এমনকি প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন, তাঁর অনুপ্রেরণাতেই এই দলের সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং এটা তাঁদের পার্টি। দিস ইজ এ কিংস পার্টি।

কিন্তু এঁরা এখন পর্যন্ত সফলতা অর্জন করতে পারেনি। সেজন্য বাকি সবাইকে বসে থাকতে হবে, এটা কোনো ভালো কথা না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের উন্নতি হবে না। এই কয়েকজন আঁতেল কিংবা কয়েকজন ইনটেলেকচুয়াল দিয়ে যদি রাষ্ট্র চলত তাহলে আর রাজনৈতিক দলের এতদিন মাঠে কোনো খাওয়া থাকত না।

প্রশ্ন : নির্বাচনের পর বিএনপি ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এটি কীভাবে সম্ভব?

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম : বিএনপি যে ঘোষণা দিয়েছে, বিএনপি এখনো সেখানেই আছে। আমরা যদি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের সুযোগ পাই, তাহলে ফ্যাসিস্ট সরকারবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে যারা আন্দোলন অংশ নিয়েছে তাদের সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকার গঠন করার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রশ্ন : সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, অন্যায় না করলে, মাফ চাইলেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, আপনি কি মনে করেন? গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত কিনা?

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম : এ ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে আওয়ামী লীগ বিগত সময়ে দেশটার যে অবস্থা করেছে, সারা দেশে গুম, খুনসহ ধ্বংস করে গেছে, তাতে আমি মনে করি আগামী কয়েক বছরের জন্য এই দলটাকে নিষিদ্ধ করে রাখা উচিত।

আর এই সরকারের প্রধান এজেন্ডা হওয়া উচিত সবকিছু বাদ দিয়ে আগে গণহত্যাকারী ও অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা। বিদেশে যে টাকা পাঠিয়েছে, সেগুলো ফেরত আনা। এ দুটোকে বাদ দিয়ে তারা নানা রকমের সংস্কার বা অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে দেশকে ব্যতিব্যস্ত রাখছে, সেটি আমার কাছে সুখকর বলে মনে হচ্ছে না।

প্রশ্ন : আনুপাতিক হার পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী। আপনি বা আপনার দল একমত কি না?

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম : এটা আমরা মোটেও সমর্থন করি না। বাংলাদেশে এ ধরনের নির্বাচনের সঙ্গে জনগণও পরিচিত নয়। এর ফলে জনগণের সঠিক প্রতিনিধি বেরিয়ে আসবে বলেও আমরা মনে করি না। অনেক অরাজনৈতিক ব্যক্তি যাদের দেশের জন্যে কোনো অবদান নেই, তারাও চলে আসতে পারে এ ধরনের নির্বাচনে দলীয় আনুকূল্যে। সে জন্যে আমাদের দল থেকেও এর বিরোধিতা করা হয়েছে।

প্রশ্ন : বর্তমান সরকারের কাছে আপনার আহ্বান এবং বিএনপির মূল প্রত্যাশা কী?

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম : সরকারের কাছে আহ্বান হলো, অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। নির্বাচনই গণতন্ত্রে উত্তরণের সর্বোত্তম পন্থা। এবং আঁতেলদের কথা শুনবেন না। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে পদক্ষেপ নেবেন। বিশেষ করে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে আমাদের যে তৈরি পোশাক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব বাধার সম্মুখীন হবে বাংলাদেশের অর্থনীতি, সেগুলোকে দূর করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। তা ছাড়া নির্বাচন চাওয়া তো কোনো অপরাধ হতে পারে না।

কিছু কিছু আঁতেল মানুষকে এমন ধারণা দিচ্ছেন যে, নির্বাচন চাওয়া মানে একটা অপরাধ। নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার যদি সঠিক ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তার জন্য দেশে আইন আদালতের ব্যবস্থা আছে। আর এটাই তো কোনো শেষ গণ অভ্যুত্থান নয়। ভবিষ্যতে আরও গণ অভ্যুত্থান হতে পারে। সুতরাং সরকারের উচিত জনগণের ওপর আস্থা রেখে কোনো রকমের গুজবে কান না দিয়ে সরকার বলিষ্টভাবে গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে, এটাই আমরা আশা করি।

প্রশ্ন : যে মহল ‘মাইনাস টু’ করতে চেয়েছিল, তারা এবার ‘মাইনাস বিএনপি’ এজেন্ডায় তৎপর, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন।

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম : বাংলাদেশে একধরনের লোক আছে, যাদের সুখে থাকতে ভূতে কিলায়। তাদের নিজেদের কোনো অবস্থা নাই। নিজেদের নির্বাচনে যাওয়ার কোনো মুরোদ নাই। নিজেরা জনগণের জন্য অতীতেও কিছু করেনি। ভবিষ্যতেও কিছু করবে না। শুধু নিজেকে নিয়ে যারা ব্যস্ত, তাদের মাথায় নানা ধরনের প্রকল্প ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে ধরনের চিন্তাভাবনা কারও মাথায় থাকতে পারে।

কিন্তু বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র- এ দেশের সাধারণ মানুষ খুবই সহজসরল, নিজেদের জীবিকা নিয়ে ব্যস্ত। এ ধরনের চালবাজ লোকেরা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য নানা ধরনের ফন্দি-ফিকির করে। যার ফলে মাঝেমধ্যে রাষ্ট্রব্যবস্থাও বিপদের সম্মুখীন হয়। তাই আমি মনে করি, কেউ যদি এ ধরনের চিন্তাভাবনা করেও থাকে, এখন আর সম্ভবপর নয়। জনগণ এখন অনেক সচেতন। সব ধরনের অপতৎপরতাকে দেশের জনগণ বিশেষ করে দেশের ছাত্রসমাজ রুখে দেবে বলে আমার বিশ্বাস।

প্রশ্ন : অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সময় দেওয়ার জন্য।

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম : আপনাকেও ধন্যবাদ।

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

মোট ভোট: ১৫১৩

রাজনীতি

আমার স্বামী’ র শেষ কথা ছিল,বিডিআরের পোশাকে ভারতীয়রা : নি হ ত মেজরের স্ত্রী

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।

দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর‌্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।

আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।

২৮ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ১৪৮৮

রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়বেন, হাসনাত-সারজিসসহ অন্যরা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪৬

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই

নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।

এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।

এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা

শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

মোট ভোট: ১৫১৩

রাজনীতি

হাসিনার পাশে না থাকলে ভাইয়ের মতো আমাকেও ‘ক্রসফায়ার’দেওয়া হতো : নজরুল ইসলাম

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৬

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।

এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।

তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।

তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।

এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।

তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।

আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৩৪৯