বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব দলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগকে সাফ ভাষায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, “বাংলাদেশের কোনো ব্যবসায়ী আমাদের সংগঠনকে এক টাকাও চাঁদা দেয়নি। আমরা ছাত্র রাজনীতিকে পুরনো কালচার থেকে বের করে নিয়ে এসেছি। চাঁদাবাজির সংস্কৃতি সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করেছি।”
সোমবার (৩১ মার্চ) রাজধানীতে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছাত্রদলের আয়োজিত এক আলোচনাসভা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “গত পুরো রমজান মাসজুড়ে আমরা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে অসংখ্য কর্মসূচি পালন করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনোদিন বিশ্রাম নিতে পারিনি। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং একটি সচেতন ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা পালন করাই ছিল আমাদের অঙ্গীকার।”
চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে রাকিবুল ইসলাম রাকিব আরও বলেন, “ঈদের মতো বড় উৎসব ও রমজানের পুরো সময়জুড়ে আমাদের কার্যক্রম ছিলো দৃশ্যমান, কিন্তু কোনো নেতিবাচক ঘটনা ঘটেনি—এটাই প্রমাণ করে আমরা পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছি। এখন আর ছাত্র রাজনীতি মানেই ভয়, চাঁদাবাজি কিংবা বিশৃঙ্খলা—সেই ধারণা আমরা ভেঙে ফেলেছি।”
তিনি ক্ষমতাসীন দলকে ইঙ্গিত করে বলেন, “বিগত দিনে যারা ক্ষমতায় ছিল, তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করত। এখন সেই যুগ বদলে গেছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি—ছাত্রদলের কোনো কর্মসূচি বা প্রয়োজনীয়তায় আমরা কোথাও চাঁদা চাইনি, কেউ স্বেচ্ছায়ও দেয়নি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, রাজনীতি মানেই জনসেবা, দুর্নীতিমুক্ত আচরণ।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ছাত্রদলের এই অবস্থান বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি ইতিবাচক বার্তা। যেখানে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে অপরাধ বা চাঁদাবাজির ভাবমূর্তি দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ছিল, সেখানে ছাত্রদলের সভাপতি এমন বক্তব্য দিয়ে সংগঠনকে এক নতুন ধারার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?