বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সতর্ক করে বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে দেশে পুনরায় ফ্যাসিস্ট শক্তির উত্থান ঘটতে পারে। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, কিন্তু যত বিলম্ব হবে, তত বেশি করে বাংলাদেশে স্বৈরাচারী ও উগ্রপন্থী শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা একটা ভয়াবহ দানবীয় পরিবেশ থেকে মুক্ত হয়েছি, কিন্তু আবারও হত্যা, জখম ও ধর্ষণের ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে নেমে আসছে।”
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “যত দ্রুত নির্বাচন হবে, যত দ্রুত জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পার্লামেন্টে আসবেন, তত দ্রুতই প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। বিএনপি সবসময় সংস্কারের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচিত সরকারকে দায়িত্ব হস্তান্তর করলে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে এবং সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চাইছে। তাদের আশঙ্কা, সময়ক্ষেপণ হলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আরও বেড়ে যাবে এবং পূর্বের দমন-পীড়নের ন্যায় পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।
ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, সঞ্চালনা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম। এছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। বিএনপির এই হুঁশিয়ারি সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তবে সরকারপক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চলমান সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রশ্নে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?