বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী সব অপরাধের বিচার হতেই হবে

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দিয়েছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের এশিয়া সংবাদদাতা কর্ডেলিয়া লিঞ্চকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এই কঠোর বার্তা দেন। স্কাই নিউজ বুধবার (৫ মার্চ) এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে, যেখানে […]

শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী সব অপরাধের বিচার হতেই হবে

ছবি: সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

০৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২২

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দিয়েছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের এশিয়া সংবাদদাতা কর্ডেলিয়া লিঞ্চকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এই কঠোর বার্তা দেন।

স্কাই নিউজ বুধবার (৫ মার্চ) এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে, যেখানে ড. ইউনূস দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, “শেখ হাসিনার বিচার হবে, তিনি দেশে থাকুন বা না থাকুন— এটি অনিবার্য।” তিনি আরও বলেন, “শুধু হাসিনা নন, তার পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক সহযোগী, মদদদাতা— সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।”

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেসব গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো জোরপূর্বক গুমের নেটওয়ার্ক পরিচালনা করা, যেখানে হাজারো বিরোধী নেতাকর্মী, ছাত্রনেতা, মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের নির্যাতনের মাধ্যমে নিখোঁজ করা হয়েছে। এছাড়া, গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় বর্বর গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তিনিই।

সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “শেখ হাসিনার বিচার হবে— এটি কোনো প্রতিশোধ নয়, এটি ইতিহাসের দায়।” তিনি ব্যাখ্যা করেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে অবৈধভাবে বন্দিশালা পরিচালনা করা হয়েছে, যেখানে নির্যাতন, গুম, হত্যা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

তিনি আরও জানান, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত ইতোমধ্যে দুইটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে এবং তার প্রত্যর্পণের জন্য ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে নয়াদিল্লি এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি— শেখ হাসিনার বিচার ঠেকানো যাবে না। তিনি নিজে দেশে ফিরে আসুন, অথবা আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি হোন— আইনের হাত দীর্ঘ, কেউ রেহাই পাবে না।”

সম্প্রতি, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত গোপন কারাগার পরিদর্শন করেছেন অধ্যাপক ইউনূস। এটি সেই বন্দিশালা, যেখানে গত এক দশকে হাজারো নিরপরাধ মানুষকে আটক রেখে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি যা দেখেছি, তা বর্ণনাতীত। এটি মানবসভ্যতার অন্যতম কলঙ্কজনক অধ্যায়।”

শেখ হাসিনার ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “তার পুরো প্রশাসনই ছিল এক ভয়ংকর দমনযন্ত্র। যেখানে পুলিশ, র‍্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্যাতনের অস্ত্রে পরিণত করা হয়েছিল। এটি ছিল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘনের নীলনকশা।”

অপরাধীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুরো প্রশাসন এতে জড়িত ছিল। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে— কে সরাসরি অপরাধ সংঘটিত করেছে, কে আদেশ দিয়েছে, আর কে নীরব সমর্থন দিয়েছে— তা বের করে তাদের বিচারের আওতায় আনা।”

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চলতি মাসেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই বিচার শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে, নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করব। তবে অপরাধীরা ছাড় পাবে না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সর্বোচ্চ কঠোরতা অবলম্বন করব।”

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিচার শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই বিচার মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৮০

রাজনীতি

আমার স্বামী’ র শেষ কথা ছিল,বিডিআরের পোশাকে ভারতীয়রা : নি হ ত মেজরের স্ত্রী

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।

দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর‌্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।

আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

মোট ভোট: ১৩৫৭

রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়বেন, হাসনাত-সারজিসসহ অন্যরা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪৬

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই

নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।

এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।

এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা

শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৫৯

রাজনীতি

হাসিনার পাশে না থাকলে ভাইয়ের মতো আমাকেও ‘ক্রসফায়ার’দেওয়া হতো : নজরুল ইসলাম

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৬

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।

এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।

তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।

তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।

এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।

তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।

আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

মোট ভোট: ১৩৫৭