চোর, ধান্দাবাজ আর বাটপারদের জন্য এ দেশ স্বাধীন করি নাই বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই আন্দোলনে আহত এক যোদ্ধা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)-র আত্নপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আসা জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এক চোর চলে গেছে আরেক চোর আসবে কেন! ধান্দাবাজ, বাটপারের জন্য তো ভাই আজকেই ল্যাংরা অবস্থায় এই মুহূর্তে আসিনি। সিলেট থেকে আসছি আমি এইমাত্র।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে এপ্লাই করছি আর হচ্ছে এই যে আমি অলরেডি আহত, শুধু আমি না, আমার মত প্রায় ২২০০০ প্লাস আহত সারা বাংলাদেশে।
আমাদের এখানে আসার মেইন টার্গেট হয়ে গেছে, এক চোর চলে গেছে আরেক চোর আসবে কেন! ধান্দাবাজ, বাটপারের জন্য তো ভাই আজকে এই ল্যাংরা অবস্থায় এই মুহূর্তে আসিনি। এত কষ্ট করছি, এত কিছু করছি, কারো জন্য না। সাধারণ মানুষের জন্য, সবাই মিলে শান্তিতে থাকবে।
কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট দেখা গেছে যে সবাই চাইতেছে যে নির্বাচন হোক। হ্যাঁ, নির্বাচন হোক, সমস্যা নাই। প্রবলেম নাই, নির্বাচন হোক। কিন্তু নির্বাচনে যাওয়ার আগে তো এটলিস্ট যে বা যারা ফ্যাসিবাদী ছিল, তাদের তো বিচার হতে হবে। বিচারটা করবে কে?
তিনি আরো বলেন, নতুন দল আসার পরে দেখা যাবে যে পক্ষপাতিত্ব হয়ে গেছে। অলরেডি যে আপনারা দেখতে পারতেছেন, আওয়ামী লীগের অনেকেই বিএনপিতে যোগ দিছে, জামায়াতে যোগ দিছে, অন্যান্য দলগুলোতে যোগ দিছে। কেন ভাই! দুনিয়াতে কি মানুষের আকাল পড়ছে! মানুষ কি বাংলাদেশে কমে গেছে, সাধারণ মানুষ!
এখানে আসছি আজকে এই দলকে সমর্থন করার জন্যে। যেহেতু এটা আমাদেরই দল, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের দল, সবার দল। এবং আমি আশা করব এখানে আর কিছু হোক বা না হোক, বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে না। আর কোন আয়নাঘর তৈরি হবে না। কারো মায়ের বুক খালি হবে না।
নতুন দল গঠন নিয়ে তিনি বলেন, ভাই চোর তো কত কিছুই বলে। তাই না! যে চোর সে অলওয়েজ চাইবে যে এক্সপেরিয়েন্স চোরকে হায়ার করার জন্য। আর আমরা তো সাধারণ মানুষ। আমাদের দলে এখানে কোন চোর নাই, বাটপার নাই, ধান্দাবাজ নাই।
এবং একটাই টার্গেট আমাদের, যে নিরাপদ বাংলাদেশ চাই। আমাদের মেইন থিমটাই হচ্ছে এটা। সাধারণ মানুষ, আমি যখন বাসে আসতেছি, তখন হচ্ছে আমার পাশে আরেকজন মুরুব্বি ছিলেন, উনিও আসছেন, তো উনার কথা একই, যে অনেক হইছে আর না। আর কত! আর কত!
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকটা অফিসে যাইয়া দেখেন, একটা কাজের জন্যে টেবিলের উপর দিয়ে না হোক, নিচ দিয়া টাকা দিতে হয়। ওইটা দরকার নাই।
দরকার নাই ভাই। একটা পুলিশ ঠিকমত কাজ করতেছে না। প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঠিকমত কাজ করতেছে না।
সাধারণ জনগণ অলরেডি ভয়ে আছে। আন্দোলনের পরে শুরু হয়েছিল ছিনতাই, চাঁদাবাজি। কিছুদিন বন্ধ। আবার শুরু হইছে। কেন! কোন কারণে! দরকার নাই।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?