বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেছেন, চীনা রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি ঢাকায় এসে আন্তরিকভাবে তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনার জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে এবং আমাদের কৃষি ও সেচ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, “আমি আপনাদের জানাতে চাই, যদি বাংলাদেশের জনগণ আগামী নির্বাচনে আমাদের সরকার গঠনের জন্য নির্বাচিত করে, তাহলে আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে তিস্তা ব্যারাজ বাস্তবায়নে চীনের সহায়তা গ্রহণ করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করব।”
মঈন খান এই মন্তব্য করেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে ১১ দিনের সফরে থাকা বিএনপিসহ আটটি রাজনৈতিক দলের ২১ সদস্যের বিশেষ প্রতিনিধি দলের বৈঠকে। বৈঠকে তিনি উল্লেখ করেন, একটি স্থিতিশীল সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হলে, তা তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবে। তার মতে, চীনের সহায়তা বাংলাদেশের কৃষি খাতের আধুনিকায়ন এবং সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
বিএনপি নেতা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে, তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, কেবল কৃষি ও সেচ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নেও চীন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে।
শিক্ষা খাতের উন্নয়নে মঈন খান চীনকে অনুরোধ করেন, যাতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি বৃত্তি এবং শিক্ষার্থী বিনিময় কার্যক্রম চালু করা হয়। তার মতে, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক মানের শিক্ষার সুযোগ করে দিতে পারে।
বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা মেটাতে সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করতে পারে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার জন্য তিনি চীনের প্রতি আহ্বান জানান।
জবাবে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ডেপুটি সেক্রেটারি শিং শানপিং বলেন, বাংলাদেশ চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং এই সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জানান, কৃষি, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে চীন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার সম্ভাবনা তৈরি করেছে এবং বিশেষ করে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের আগ্রহ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?