সম্প্রতি ধানমন্ডি ৩২-এ ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে এবার ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। স্ট্যাটাসে এর আগে রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে মিছিল নিয়ে ঢুকে পড়ে ছাত্র-জনতা।
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে ফেব্রুয়ারি ও মার্চজুড়ে রাজপথ ছাত্র-জনতার দখলে থাকবে বলে জানালেন।
ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের বাড়ীঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ায় ,ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে হাসনাত বলেন, যখন বারোটা বেজে যায়,তখন রিয়ালিটি মাইনা নিতে হয়। তিনি আরও বলেন,
আমরা বুঝতে পারি, যা হারিয়েছে তা আর ফেরত আসবে না। যা ভুল করেছি, তার সংশোধন সবসময় সম্ভব নয়। সব গল্পের হ্যাপি এন্ডিং হয় না—এটাই জীবন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভারতে বসে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তবে আতঙ্ক ছড়িয়ে কোনো লাভ নেই। দেশের ছাত্র-জনতা রাজপথে ছিল, আছে এবং থাকবে।”
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে কূটনৈতিক আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করতে দেশটির কাছে জবাবদিহি চাওয়া হবে।
“ভারতে বসে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালালে এর দায় ভারত সরকারকেই নিতে হবে। ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে, এ নিয়ে তাদের বক্তব্য রয়েছে, যা আমরা জানতে চাই
একই সঙ্গে সেখানে অবস্থিত বাড়িতে ভাঙচুর চালাতে দেখা গেছে ছাত্র-জনতাকে।
শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ঘিরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাত ৮টায় শাহবাগ থেকে এ মিছিল শুরু করার কথা থাকলেও বিকাল থেকেই ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা।
সন্ধ্যা হতে হতে সেখানে ব্যাপক জনসমাগম দেখা যায় এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়। একপর্যায়ে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং ভাঙচুর শুরু করে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?