সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় পাটগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাবুর কামাত এলাকায় রেনুকা বেগম (৪০) নামে তিন সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিহত রেনুকার বড় ছেলে সাগর মায়ের ফোন বন্ধ পেয়ে বাড়িতে গিয়ে তালাবন্ধ ঘরে মায়ের লাশ দেখতে পান।
তিনি ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দেন, এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট মর্গে পাঠায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রেনুকার স্বামী হাফিজার রহমান ২০০৯ সালে মারা যান। এরপর রেনুকা বেগম সন্তানদের নিয়ে চট্টগ্রামে চলে যান, কিন্তু ২০২০ সালে তিনি পাটগ্রামে ফিরে আসেন। ২০২৩ সালে তিনি জবেদুল নামে এক যুবককে বিয়ে করেন। ২ ফেব্রুয়ারি রেনুকা তার বর্তমান স্বামীকে নিয়ে সাবেক স্বামী হাফিজার রহমানের বসতভিটায় বসবাস শুরু করেন।
পাটগ্রাম থানার ওসি আশরাফুজ্জামান সরকার সুমন জানান, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তের জন্য নিহতের স্বামী জবেদুল ইসলামকে থানায় নেওয়া হয়েছে।
জবেদুল ইসলাম স্বীকার করেছেন, তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। ৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে তিনি রেনুকাকে ঘুষি মেরে নিস্তেজ করে পরে তার ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর তিনি পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে তিন ঘণ্টা অবরোধ পালন করে। অবরোধের পর পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে এবং প্রশাসনের বিভিন্ন মহল ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য কাজ শুরু করে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?