কুষ্টিয়ায় সাবেক এমপি মাহবুবউল আলম হানিফের বাড়িতে ছাত্র-জনতার বুলডোজার হামলা
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্র-জনতা। বুলডোজার ও এক্সকাভেটর মেশিন ব্যবহার করে বাড়ির গেট ও দেয়াল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে অবস্থিত হানিফের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ হাজারো ছাত্র-জনতা সেখানে উপস্থিত ছিল।
বিক্ষোভকারীরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের অন্যতম সহযোগী হিসেবে হানিফের নানা অনিয়ম ও অপকর্মের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। এরপর তারা কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের বাড়ির দিকে অগ্রসর হয় এবং সেখানে হামলা চালায়।
এই ঘটনায় কুষ্টিয়া শহরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু ভাঙচুরের ঘটনা নয়, বরং আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, একইদিন খুলনার শেখ বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। বুধবার রাত ৯টায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগান দিয়ে বাড়িটি ভাঙচুর শুরু করে ছাত্র-জনতা। বাড়িটি বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দীন জুয়েলের।
এর আগে ছাত্রসমাজের উদ্দেশে শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণের ঘোষণা আসার ঘটনায় এর পালটা কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা শেখ বাড়ি ভাঙচুরের জন্য ‘বুলডোজার মিছিলের’ ডাক দেয় তারা।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের আগের দিন ৪ আগস্টই খুলনায় এই শেখ বাড়িতে হামলা চালায় ছাত্র-জনতা। সেদিন ছাত্রজনতার ক্ষোভে দফায় দফায় ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়া হয় বাড়িটিতে।
এদিন বিকাল থেকে খুলনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়ক তাদের ফেসবুক পোস্টে শেখ বাড়ির আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দেও পোস্ট দেওয়া হয়।
লাল প্রাচীর ঘেরা নগরীর শেরে বাংলা রোডের দোতলা এই বাড়িটির আনুষ্ঠানিক কোনো নাম নেই, নেই কোনো নামফলক। কিন্তু সবাই একে ‘শেখ বাড়ি’ নামেই চেনেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো পাঁচ ভাইয়ের বাড়ি এটি। ৪ আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার আগে এই বাড়িকে ঘিরে মাফিয়া গডফাদারদের স্টাইলে নিয়ন্ত্রণ করা হতো খুলনাসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চল।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?