গেল ৫ আগস্ট সাবেক আওয়ামী সরকারের পতনের পর দলটির অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার হলেও এখন পর্যন্ত দলটির অনেক নেতাকর্মীই রয়েছেন পলাতক।
আওয়ামী লীগের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের একেক সময় বিদেশে একেক জায়গায় আত্নগোপনের গুঞ্জন শুনা গেলেও এবার ২ ফ্রেব্রুয়ারি (রবিবার) আসিফ মাহতাবের এক ফেসবুক আইডি থেকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনের আইএমআইই ট্রেস করার অনুরোধের পরই দেশজুড়ে নতুন করে আলোচনায় আওয়ামী লীগের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে আসিফ বলেন, আসসালামু আলাইকুম, আমার কাছে একজন সাংবাদিক তথ্য দিয়েছে যে আওয়ামী লীগের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে মোমেনের ফোনের আই এমই আই নাম্বার তিনি জোগাড় করতে পেরেছেন। সাংবাদিকের নাম আমি প্রকাশ করব না কিন্তু তিনি একজন গ্রহণযোগ্য সাংবাদিক।
বাড়াবাড়ি না করার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, তারপরেও আমরা এই তথ্য নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি করবো না. তথ্য ভেরিফাই করার আগ পর্যন্ত আমরা আসলে সেটা নিয়ে কোনো রকম অ্যাকশনে যেতে পারি না।
তথ্যের সোর্স সত্য মিথ্যা থাকতে পারে. তথ্যের ভিতর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে. মানুষকে উস্কানোর পটভূমি তৈরি করার চক্রান্ত থাকতে পারে, হতে পারে তিনি ওনার ফোন আরেকজনের কাছে বিক্রি কিংবা দান করে দিয়েছে। অনেক কিছুই হতে পারে, তথ্যটি সম্পূর্ণভাবে ভুয়াও হতে পারে, তাই আমাদের ঠান্ডা মাথায় আগে তথ্যটি ভেরিফাই করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তবে আপনারা যারা আমার থেকে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষজ্ঞ, তারা কি একটু কষ্ট করে তথ্যটা ভেরিফাই করবেন? কারণ যদি শতকরা ৫ ভাগ সম্ভবনা থাকে এই তথ্যটি সত্য হওয়ার, তাহলেও সেটা আমরা ফেলে দিতে পারি না। ঠান্ডা মাথায় এটা ভেরিফাই করলে মনে হয় আমাদের দেশের এবং জনগণের অনেক বড় উপকার হবে। আমরা জানতে পারবো কোন রাজাকাররা আমাদের ছেলেমেয়েদের খুনিদেরকে এখনো প্রটেকশন দিচ্ছে।ইজতেমা হওয়ার কারণে তারা বেশি দূর পালাতে পারবে না যদি এই তথ্যটা সত্য হয়, তাই এখনই সুযোগ।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?