জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোনা :
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ফকির বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার সাহিতপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শহীদুল ইসলাম ফকির বাচ্চু কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক। তিনি উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের দিগলী গ্রামের মৃত লাল মিয়া ফকিরের ছেলে। তাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালনে শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ও কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের কিছু লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে আশ্রয় নিলে কর্মীরা গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং আটটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। অতর্কিত এই হামলায় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, সে সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীকে হামলাকারীরা গালিগালাজ করে এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়। ওই ঘটনার পর তৎকালীন পরিস্থিতির কারণে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় মামলা করা হয়েছে। শহীদুল ইসলাম ফকির বাচ্চু এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, আসামি শহীদুল ইসলাম ফকির বাচ্চুকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ দুপুরের দিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার পর আসামিরা গা ঢাকা দেন। তবে পুলিশ পলাতক আসামিদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় সাহিতপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অন্য পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?