কোনো উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলে যুক্ত হলে তারা সরকারে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অন্যদিকে নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে বিএনপির দাবি রাজনৈতিক বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তী সরকার যথেষ্ট নিরপেক্ষ থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন হয় অন্তবর্তী সরকার। উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে স্থান পেয়েছেন ৩ জন।
এছাড়াও, ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি। এরপর শুরু হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি মিলে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া।
সরকারে থেকে ছাত্র প্রতিনিধিরা রাজনৈতিক দল গঠনে যুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপি। এতে আগামী নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
তবে, রোরবার রাজধানীর পানি ভবনে, অন্তবর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, কোনো উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল গঠনে যুক্ত হলে সরকারে থাকবেন না তারা।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের কেউ রাজনৈতিক দল গঠন করছেন উপদেষ্টা পরিষদে থেকে, এটা আমার জানা নেই। শিক্ষার্থী উপদেষ্টা যারা আছেন তারা বলেছেন, যদি রাজনৈতিক দল তারা গঠন করেন সরকার ছেড়ে গিয়েই তাদের গঠন করতে হবে।’
সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপির বক্তব্য রাজনৈতিক। নির্বাচনে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘জয়েন করার পর থেকে শুনতেসি মন্ত্রিপরিষদ পরিবর্তন হবে, উপদেষ্টা পরিবর্তন হবে। এই হবে সেই হবে। সেরকম কোনো আলাপ হয়নি। ভবিষ্যতে হতে পারে। কিন্তু কোনো রকম সুনির্দিষ্ট এজেন্ডাভিত্তিক বা গুরুত্ব দিয়ে সেরকম কোনো আলোচনা হয়নি, এটা আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি। অন্তর্বর্তী সরকার যথেষ্ট নিরপেক্ষ থাকবে বলে আমরা কনফিডেন্ট।’
উপদেষ্টা পরিষদেও আপাতত পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানান আইন উপদেষ্টা।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?