দেশের একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নির্বাচন ও দেশের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে উপস্থাপকের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বলে জানা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারে নিজেদের প্রতিনিধি রেখে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব।
সাক্ষাৎকারে আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে ভাবনা, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ, সংস্কার প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়াসহ আরও অনেক বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক পর্যায়ে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, আপনারা বলেছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার পর সরকারকে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করবেন, আপনারা কি করছেন?
সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাহায্য করছি। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু ভুল ত্রুটি থাকলে সেটা তো বলে দিতে হয়।’
এই পর্যায়ে এসে উপস্থাপক তাকে প্রশ্ন করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংস্কারগুলো করছে বা সংস্কার করবে তার মূল উদ্দেশ্য, তারা বলছে দেশে যে স্বৈরশাসন বা একনায়কতন্ত্র ছিল তা যেন আর কখনোই বাংলাদেশ প্রবেশ করতে না পারে। আপনি কি কোনোভাবে মনে করেন, এমন বক্তব্য দিয়ে আপনাদেরকে ইংগিত দেওয়া হচ্ছে?
এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা তো কখনো স্বৈরশাসক ছিলামই না, দেশে একনায়কতন্ত্র বাদ দিয়েছি আমরা। দেশের গণতন্ত্রকে প্রমোট করেছি আমরা। সুতরাং আমরা স্বৈরাচার ছিলাম এরকম প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা এটা কখনোই মেনে নিব না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?