শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

সাবেক এমপি ডা. প্রাণ গোপালের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতার মামলা

কুমিল্লার চান্দিনায় ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তসহ ২৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেন বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় মামলাটি করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে […]

নিউজ ডেস্ক

০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮

কুমিল্লার চান্দিনায় ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তসহ ২৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেন বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় মামলাটি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চান্দিনার নবাবপুর ইউনিয়নের ভারারুয়া চৌমুহনীতে ছাত্রলীগ নেতা শরীফ হোসেন কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন প্রাণ গোপাল দত্তের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাঁর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

মামলায় এমপি ছাড়াও উপজেলা কৃষক লীগ নেতা নাটিঙ্গী গ্রামের মো. মামুনসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আটজনসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী ছাত্রলীগ নেতা শরীফ হোসেন জানান, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুনতাকিম আশ্রাফ টিটু পক্ষে কাজ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রাণ গোপাল তাঁর পক্ষে কাজ করার জন্য তাকে ৫ লাখ টাকা দিতে চান। এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন শরীফ।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনার ভিডিও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ কারণে প্রাণ গোপালের নির্দেশে ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর তার ওপর একদল সন্ত্রাসী হামলা করে, যাদের নাম তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন।

শরীফ হোসেনের ভাষ্য, সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল দত্তের নির্দেশে চালানো এ হামলায় সন্ত্রাসীরা অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় একটি কোপ, ডান হাতে তিনটি কোপ, ডান পায়ে তিনটি কোপ দেওয়া হয়। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে মামলায় দাবি করেছেন তিনি।

রবিবার রাতে চান্দিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

রাজনীতি

নাহিদ, সারজিসকে টার্গেট করে হামলা, উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা : অপু

হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মসূচি শেষে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের আর্ট গ্যালারি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে গাড়িবহরটি পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় একটি আন্তঃজেলা বাস হঠাৎ বহরে ধাক্কা দেয়। এতে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এনসিপির নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে বাসটির কাছে গেলে ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ একজন কর্মী আহত হন।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি কেবল তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। দলের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস দুর্ঘটনার আড়ালে মূল উদ্দেশ্য ছিল গাড়িবহরে থাকা শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো। যদিও তারা ভুল গাড়িতে আঘাত করে, পরে তৎপর হয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির মুখপাত্র অপু জানান,

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এনসিপির পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তারা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

রাজনীতি

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের। এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।” […]

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১২

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের।

এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।”

“নুর ভাই স্পষ্ট করে বলে, জাতীয় পার্টি এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান আগের মতই। তখন বিগ্রেডিয়ার শামস এটার ফল ভালো হবে না বলে নুর ভাইকে থ্রেট করে।”

এর কিছুক্ষণ পরেই আজকের হামলার মূল হোতা ক্যাপ্টেইন রাকিবের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা শুরু হয়। নুর ভাই আমাদের কার্যালয়ের সামনে প্রেসব্রিফিংয়ে ছিল। সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কোনপ্রকার কথা ছাড়াই নুর ভাইকে হ/ত্যা/র উদ্দেশ্যে হামলা করে।

আমাদের কার্যালয়ের ভিতরে আমাদের আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি টয়লেট ভেঙ্গেও নেতাকর্মীদের উপর হা/ম/লা করে সেনাবাহিনী।

ওয়াকারের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস কার নির্দেশে আজ নুরুল হক নুরকে হুমকি দিয়েছে? জাতীয় পার্টির এবং জিএম কাদেরকে কার স্বার্থে প্রতিষ্ঠা করছে সেনাবাহিনী?

আজ নুরুল হক নুরের উপর আপাতত দৃষ্টিতে সেনাবাহিনীর হামলা করলেও মূলত পতিত সরকারই এই হামলার মাস্টার মাইন্ড।

লিখে রাখুন, আজ নুরুল হক নুর! কাল হাসনাত! পরশু আরেকজন।
এভাবেই পতিত সরকার ২৪এর প্রতিশোধ নিবে।

রাজনীতি

দিল্লিতে এস আলম-হাসিনা বৈঠক, ক্ষমতা ফেরাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার নীলনকশা

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পালানোর পরও তিনি ও তার ঘনিষ্ঠরা আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় ফেরাতে বিদেশে বসেই ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি দিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জনগণের টাকা […]

নিউজ ডেস্ক

২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:০১

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পালানোর পরও তিনি ও তার ঘনিষ্ঠরা আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় ফেরাতে বিদেশে বসেই ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি দিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জনগণের টাকা লুটপাট ও বিদেশে পাচারের দায়ে অভিযুক্ত এস আলম শেখ হাসিনাকে ২৫০০ কোটি টাকা হস্তান্তর করেছেন এবং আরও ২০০০ কোটি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ অর্থ ব্যয় হবে আন্তর্জাতিক লবি কার্যক্রম, দেশজুড়ে নাশকতা সৃষ্টি, প্রশাসন ও পুলিশের প্রভাবশালী মহলকে কেনা এবং দলীয় ক্যাডারদের মাধ্যমে আন্দোলন সংগঠনের কাজে।

সূত্র জানায়, হাসিনার নির্দেশে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বসুন্ধরায় চার শতাধিক ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মক্কা ও দুবাই ঘুরে দিল্লি পৌঁছে এস আলম সরাসরি হাসিনার বাসভবনে যান। সেখানে ৮ আগস্ট দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে ভারতের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ৪৫০০ কোটি টাকা ব্যবহার করে নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে আমলা, পুলিশ, আদালত ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কেনার পরিকল্পনা নেয়া হয়। এ অর্থের ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়নে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশে পালিয়ে থেকেও শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আর এই ষড়যন্ত্র সফল হলে আবারও গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার হুমকির মুখে পড়বে।