বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

৩০-৩৫ লাখে পুলিশের এসআই, সার্জেন্ট বানাতেন আসাদুজ্জামান খান

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পুলিশের এসআই ও সার্জেন্ট পদে নিয়োগের মাধ্যমে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একজন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি গোপন […]

৩০-৩৫ লাখে পুলিশের এসআই, সার্জেন্ট বানাতেন আসাদুজ্জামান খান

আসাদুজ্জামান খান

নিউজ ডেস্ক

০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০০

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পুলিশের এসআই ও সার্জেন্ট পদে নিয়োগের মাধ্যমে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একজন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি গোপন প্রতিবেদন জমা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র এই তথ্য দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তালিকা অনুযায়ী পুলিশে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য হতো। এই নিয়োগ প্রদানের ফলাফল প্রস্তুতসহ অন্যান্য কার্যক্রম অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে সম্পাদন করতেন তাঁর ঘনিষ্ঠ একজন এআইজিসহ আরো কয়েকজন সাবেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তাঁরা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নানা কৌশলে ঘুষ গ্রহণ করেন।

সম্প্রতি প্রাথমিক তদন্তে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁদের নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় পুলিশে নিয়োগের নামে ঘুষ-দুর্নীতি। এ ক্ষেত্রে তিনি একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

তাঁর নির্দেশে চক্রটি এসআই (সাব-ইন্সপেক্টর) ও সার্জেন্ট নিয়োগে মেধাবী ও যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্য ও অদক্ষদের নিয়োগ দেওয়া শুরু করে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ২০২৪ সালে আউটসাইড ক্যাডেটের নতুন একটি ব্যাচ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরই মধ্যে এই ব্যাচের লিখিত পরীক্ষা পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় তিন হাজার ২০০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কাছ থেকে আগের মতোই একইভাবে ওই চক্র বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে।

এই নিয়োগে সাবেক এক এআইজি ও যুগ্ম সচিব সরাসরি দুর্নীতির টাকা লেনদেন করতেন। মাঠ পরীক্ষা থেকে চূড়ান্ত নিয়োগ পর্যন্ত পার করার উদ্দেশ্যে একেকজন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা প্যাকেজ আকারে তাঁরা গ্রহণ করেছেন বলে তথ্য পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র বলছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অনেক এসআই নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে মৌলিক প্রশিক্ষণরত বেশির ভাগ প্রার্থীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল বিপুল পরিমাণ অর্থ। চাকরি নিশ্চিতের নিমিত্তে প্রার্থীপ্রতি ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেওয়া হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ পেয়ে এরই মধ্যে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, রাজধানীর উত্তরা এলাকার দুটি ফ্ল্যাটে চক্রের সদস্যরা এই ঘুষের টাকা লেনদেন করতেন। এই চক্রে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক তিন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদর দপ্তরের একজন সহকারী উপমহাপরিদর্শক (এআইজি)।

তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানতে পেরেছেন, ২০২৩ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই ব্যাচের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পাঁচ হাজার ৮০০ জনের মধ্য থেকে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ৮২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪০তম আউটসাইড ক্যাডেট ব্যাচের এই ৮২০ জন বর্তমানে এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণে রয়েছেন সারদা পুলিশ একাডেমিতে। ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর তাঁদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন মনে করেন, দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অনিয়ম-দুর্নীতিকে এখনই ‘না’ বলা উচিত। যারাই দুর্নীতি করবে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। না হলে সমাজে যোগ্য ব্যক্তিরা পিছিয়ে পড়বেন। এতে বৈষম্য বাড়বে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদর দপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘এই দুর্নীতির বিষয়ে একটি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষেই বিস্তারিত বলা যাবে।’

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিশের এই নিয়োগ বাণিজ্যের অন্তরালে ছিলেন। তিনি তাঁর প্রভাব বিস্তার করে মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তরে নিজর পছন্দের কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠন করাতেন নিয়োগ বোর্ড।

ওই নিয়োগ বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন পুলিশের সাবেক এক অতিরিক্ত আইজি। এ ছাড়া ওই বোর্ডে তাঁর কথিত ক্যাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন একজন উপসচিব, পুলিশের একজন ডিআইজি ও এআইজি। তাঁরা মূলত এই নিয়োগ বাণিজ্যে সহায়তা করতেন।

প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানতে পেরেছেন, এই নিয়োগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে একেকজন প্রার্থীর কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে পছন্দের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। আর চাহিদামতো ঘুষ না দিলে তাকে ভাইভায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয়।

সার্বিক বিষয়ে পুলিশের নতুন নিয়োগ পাওয়া আইজি ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশকে এখন ঢেলে সাজানো হচ্ছে। গত ১৫ বছরে পুলিশের অনেক ক্ষতি হয়েছে।’

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ২৪৮
মোট ভোট: ২৪৮

রাজনীতি

কীভাবে দেশ ছাড়েন ওবায়দুল কাদের?, জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন,কি করছেন তা নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে সবসময় কৌতূহল কাজ করেই যাচ্ছে।নানা সময় নানা জায়গায় কাদের রয়েছেন এমন খবর চাউর হলেও এটা নিশ্চিতভাবে জানা গেল ৮ই নভেম্বর তিনি কলকাতায় পৌঁছেছেন। ৫ই আগস্ট থেকে ৯৫ দিন তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন। কীভাবেই বা দেশ […]

নিউজ ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩১

সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন,কি করছেন তা নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে সবসময় কৌতূহল কাজ করেই যাচ্ছে।নানা সময় নানা জায়গায় কাদের রয়েছেন এমন খবর চাউর হলেও এটা নিশ্চিতভাবে জানা গেল ৮ই নভেম্বর তিনি কলকাতায় পৌঁছেছেন।

৫ই আগস্ট থেকে ৯৫ দিন তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন। কীভাবেই বা দেশ ছাড়লেন।

খবর রয়েছে, তিনি এক বিশেষ স্থানে আদর-যত্নে দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে কীভাবে দেশ ছাড়বেন তার ফন্দি-ফিকির করছিলেন। সবুজ সংকেত আসার পর সড়কপথে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং পৌঁছান। সেখান থেকে যান কলকাতা।

দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তিনি অবস্থান করবেন এমনটাই জানা গেল। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কেউ কেউ লবি করছিলেন। শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে অনেকটাই নীরব।
আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট কাদেরের এই মন্তব্যে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরিণতিতে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হয়।

এ কারণে হাসিনা কাদেরের ওপর যারপরনাই বিরক্ত। তাকে নিয়ে ছাত্র-জনতার মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে সিলেটি এক আত্নীয়ের আশ্রয়ে  বেশ আদর যত্নেই দিন কাটিয়েছিলেন।তবে এবারও বিভিন্ন সুত্র দাবি করছে ভারতের মেঘালয়েও বিশেষ স্থানে আরামেই দিন কাটাচ্ছেন কাদের।

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ২৪৮
মোট ভোট: ২৪৮

রাজনীতি

পিনাকীর এক পোস্টেই ধানমন্ডি-৩২ এর কবর রচনা

সন্ধ্যা থেকেই ধানমন্ডির আশেপাশে জড়ো হচ্ছিলেন হাজার হাজার ছাত্র জনতা। ইট ,পাটকেল এবং বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার এই বাড়িটি। একই সাথে দেওয়া হয়েছে আগুন। বোঝাই যাচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ এর কবর রচিত হয়েছে আজ। এই ঘটনার পিছনে যার নাম সবার আগে আসে তিনি হচ্ছেন পিনাকী ভট্টাচার্য। আজ রাতে ঘোষিত ‘লং মার্চ টু […]

নিউজ ডেস্ক

০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৫৮

সন্ধ্যা থেকেই ধানমন্ডির আশেপাশে জড়ো হচ্ছিলেন হাজার হাজার ছাত্র জনতা। ইট ,পাটকেল এবং বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার এই বাড়িটি। একই সাথে দেওয়া হয়েছে আগুন। বোঝাই যাচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ এর কবর রচিত হয়েছে আজ। এই ঘটনার পিছনে যার নাম সবার আগে আসে তিনি হচ্ছেন পিনাকী ভট্টাচার্য।

আজ রাতে ঘোষিত ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে শুরু করে সন্ধ্যা থেকেই। রাত ৮টার কিছু আগে তারা ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং সেখানে ভাঙচুর চালায়।

এই সময়ে, ছাত্র-জনতা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলতে থাকে। তাদের বিক্ষোভ এবং স্লোগান যথেষ্ট তীব্র হয়, এবং তারা বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলা চালানোর পাশাপাশি তার স্মৃতিসৌধকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এই কর্মসূচি একটি বিক্ষোভ মিছিলের অংশ, যা ফেসবুকে বিভিন্ন পেজে পোস্টের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। পোস্টে বলা হয়, “ধানমন্ডি-৩২ অভিমুখে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ বুলডোজার মিছিল”, যেখানে দাবি করা হয়, হাজারো ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়ে দিল্লি পালিয়ে গিয়েছিল শেখ হাসিনা। এই প্রতিবাদে ২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র-জনতা অংশ নিচ্ছে।

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ২৪৮
মোট ভোট: ২৪৮

রাজনীতি

বাংলাদেশকে দেয়া ভারতের শর্তের সাথে সাথেই কৌশলে পরিবর্তন হাসিনার

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে বাংলাদেশের। সেইসঙ্গে ভারতের আশ্রয়ে আত্মগোপনে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে নানা সময়ে ষড়যন্ত্রমূলক অডিও বার্তা ও বিবৃতিও দিয়ে আসছেন হাসিনা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের গণমাধ্যমও। তারাও বাংলাদেশ নিয়ে নানা অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেই যাচ্ছে। এমনকি ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি এবং […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে বাংলাদেশের। সেইসঙ্গে ভারতের আশ্রয়ে আত্মগোপনে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে নানা সময়ে ষড়যন্ত্রমূলক অডিও বার্তা ও বিবৃতিও দিয়ে আসছেন হাসিনা।

এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের গণমাধ্যমও। তারাও বাংলাদেশ নিয়ে নানা অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেই যাচ্ছে।

এমনকি ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি এবং ভিসা কার্যক্রম একপ্রকারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে একের পর এক হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল মোদির বিজিপি পার্টির নেতারা।

ভারত ও বাংলাদেশের এই টানা-পোড়েন সম্পর্কের উন্নতির ঢাকায় জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বৈঠকে কিছু শর্ত আরোপ করে দেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তাদের দেওয়া সব শর্ত পূরণ হলে তবেই আগের মতো ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক থাকবে বলেন মনে করেন তারা।

এদিকে, বাংলাদেশকে ভারতের শর্তজুড়ে দেওয়ার পর রাজনীতি যেন ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। ভারতের শর্ত দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত ও আওয়ামী লীগ সভাপতি তাহলে কি কৌশলে পরিবর্তন এনেছেন?

শেখ হাসিনা আত্মগোপনে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক অডিও বার্তা ও বিবৃতি দেওয়ায় আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল তার বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারে ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এই খবরের মধ্যে গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসিনার আরেকটি বিবৃতি ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু শেখ হাসিনার দীর্ঘ বিবৃতিতে নানা বিষয়ে কথা বললেও কোথাও ড. মুহম্মদ ইউনূস বা কোনো বিএনপি নেতার নামের উল্লেখ নেই। তাহলে কি কৌশলে পরিবর্তন করে নতুনভাবে এগোনোর চিন্তা শেখ হাসিনার!

অপরদিকে, ভারতের গণমাধ্যম জানিয়ে আসছে শেখ হাসিনার দেওয়া বিবৃতি সমর্থন করে না দেশটি। তারা জানায় সম্পর্কে ব্যক্তি বিশেষ বা নির্দিষ্ট সরকারে সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না ভারত। দেশটি চায় বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে। ভারতের এই মন্তব্যের পরই কারও নাম উল্লেখ না করেই বিবৃতিতে কড়া বার্তা দেন হাসিনা।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতে উড়ে আসেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। যদিও বর্তমানে তিনি কোথায় রয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে কয়েকশত হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে তারই নিজের হাতে গড়া ট্রাইবুনাল।

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ২৪৮
মোট ভোট: ২৪৮