বিএনপি মনে করে, ‘পতিত’ ফ্যাসিবাদীদের দেশবিরোধী নানামুখী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলায় নির্বাচনই এখন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত এবং সেদিকেই তাদের ফোকাস করতে হবে।
নতুন বছরে নির্বাচনের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপিয়ে রাখতে চায় বিএনপি। আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকলেও সে পথে যাওয়া দরকার হবে না বলে মনে করেন দলটির নেতারা। একইসঙ্গে সব ধোয়াশা কেটে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইবে বলে মনে করেন তারা।
নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে বিএনপি। সরকারের তরফ থেকে এরই মধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচির যে ধারণা দেওয়া হয়েছে, সেটিকে ‘অস্পষ্ট ও হতাশাজনক’ বলে মনে করে দলটি।
বিএনপির নেতারা বলছেন, ২০২৫ সাল বিএনপির বেশি কিছু করা নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম ও তাদের নীতি কি হয় সেটা পর্যবেক্ষণ রাখা। এক্ষেত্রে সরকার যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে, সেটার সঙ্গে যুক্ত হবে বিএনপির। আর সরকার যদি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করে, তাহলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সহনীয় চাপ প্রয়োগ করা হবে। তবে, সেক্ষেত্রে সরকার সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্বে জড়াবে না দলটি। অর্থাৎ বক্তব্য, বিবৃতি এবং মাঠ পর্যায়ে সভা-সমাবেশ করে বারবার ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনে দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে, সরকার নির্বাচন কেন্দ্রীয় প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেবে। জনগণের রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির একই প্রত্যাশা। আমাদের সব সময় ৩০০ আসনে ভোটের প্রস্তুতি থাকে। বিগত নির্বাচনগুলোতে আমরা আমাদের জোট সঙ্গীদের কিছু আসনে সমঝোতা হয়েছিল, সেইসব আসনে আমরা প্রার্থী দেয়নি। এবার এখন পর্যন্ত আমরা ৩০০ আসনের ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচনের সময় যারা আমাদের সঙ্গে থাকবে তাদের বিষয়ে তখন সিদ্ধান্ত হবে।
আর সরকার যদি নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়, সেই ক্ষেত্র আমরা নির্বাচনের জন্য বক্তব্য, বিবৃতি, সারাদেশে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের ওপর সহনীয় চাপ তৈরি করবো। এছাড়া সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এবং বৈঠক হলে সেখানে বারবার নির্বাচনের তাগাদা দেওয়া হবে।
বিএনপি মনে করে, ‘পতিত’ ফ্যাসিবাদীদের দেশবিরোধী নানামুখী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলায় নির্বাচনই এখন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত এবং সেদিকেই তাদের ফোকাস করতে হবে।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?