বৈশাখের আগে ইলিশের দামে আগুন। বেশিরভাগই হিমাগার কিংবা সাগরের মাছ। তারপরও, বড় আকারের মাছের দর ইচ্ছেমতো হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, শখ করে ইলিশ কিনছেন উচ্চবিত্তরা। এর বাইরে সবাই দাম জিজ্ঞেস করেই দায়সারা।
শৈশবে, পহেলা বৈশাখ মানেই ছিল ইলিশ বিলাস। পান্তার সাথে, আলু ভর্তা আর ইলিশ ভাজা না হলেই ছিল বেমানান। কিন্তু, গত কয়েক বছরে এসব শখ অনেকটাই ফিঁকে। গরীবের প্লেট থেকে জাতীয় মাছ হারিয়ে গেছে বললেও ভুল হবে না।
এবারও নয় ব্যতিক্রম। কারওয়ানবাজারে ইলিশ মিলছে হাতেগোনা দোকানে। ঢু মেরেই দায় সারছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। আর শখ করে কিনছেন ধনীরা, তাও ৩-৪টি করে।
জানা গেলো, এসব ইলিশের আকার ১ কেজি ছাড়ালেই দাম ২ হাজার টাকার বেশি। ৮০০-৯০০ গ্রামের সাইজ মিলবে ১৭০০ টাকায়। বিক্রেতারা এসব মাছকে নদীর টাটকা ইলিশ বললেও, মূল উৎস হিমাগার কিংবা সমুদ্র।
জাটকা আহরণে নিষেধাজ্ঞা চলছে। তাই বাজারে ইলিশ থাকার কথা না। তাই অনেকটা গোপনে এই মাছ বেচাকেনা চলছে চাঁদপুরে। তবে দাম শুনে চক্ষু চড়কগাছ।
উপকূলের জেলা ভোলায় ইলিশের সরবরাহ কাঙ্ক্ষিত না। সমুদ্রের অনেক মাছও এখান থেকে চলে যাচ্ছে রাজধানীসহ বড় জেলায়। তাই, বৈশাখের আগে শখ করেও ইলিশ কিনতে পারছেন না অনেকে।
নদীতে জাটকা আহরণের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামি ৩০ এপ্রিল।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?