একজন রাষ্ট্রনায়ক, যার সাথে সেলফি তোলার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিলো স্বয়ং ফুটবল তারকা লিওনেল মেসিকেও। আর আরেকজন ছিলেন যাকে না ডাকতেও দেশের মানসম্মানের মাথা খেয়ে সেলফি তুলতেন বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে।
শুধু তাই নয় সেই সব ছবি নিয়ে আবার গর্ব করতেন এবং গুজবও ছড়াতেন সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে। কথার ধারাতেই আপনাদের বুঝতে না পারার কোন কারণ নেই, প্রথমজন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ বর্তমান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস। আর দ্বিতীয়জন সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা একটু সুযোগ পেলেই যেনো প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের ওপর রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়তেন ফটো তোলার জন্য। ২০২৩ এর জি- টোয়েন্টি সম্মেলনে সদস্য না হয়েও হাসিনা অংশ নিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে।
সেখানে হাসিনাকে দেখা যায় বেশ কিছু উদ্ভট কর্মকান্ড ঘটাতে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দেশের মানুষকে তার প্রভাব দেখাতে সেলফি তোলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। তার সেই সেলফিতে আবার ছিলেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও। শুধু এতটুকুই নয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাথেও এক উদ্ভট কর্মকান্ড ঘটাতে দেখা যায় তাকে।
সেই সম্মেলনে যোগ দেওয়া রাষ্ট্রপ্রধানরা মাহাত্মা গান্ধীর সমাধীতে শ্রদ্ধা জানাতে যায়, এসময় সবুজ গালিচার পিছনের সারিতে ছিলেন হাসিনা, কিন্তু হাসিনাতো পিছনে পড়ে থাকার পাত্র নন, ঠিকই চেষ্টা করলেন অভদ্রের মতো লাইন ব্রেক করে সামনে চলে আসার।
কিন্তু তার সেই আশায় গুড়েবালি চেষ্টা করেও সামনে আসতে পারলেন না ওল্টো পরিণত হলেন হাসির পাত্রে। অপরদিকে বর্তমান বাংলাদেশের সরকার প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূস এতটাই ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ যে তার সঙ্গে সেলফি তুলতে আগ্রহী থাকেন অন্যরা। বিশ্বব্যাপী স্ব-সম্মানে সমাদৃত বিশ্ব শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।
হাসিনা যেখানে তার বিগত ১৬ বছরের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রেসিডেন্টের সাথে চেষ্টা করেও বৈঠক করতে পারেননি সেখানে ড. মোহাম্মদ ইউনূস অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরই তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে একান্ত বৈঠক করেছিলেন।
হাসিনাকে যে চীন সম্মান জানায়নি সেভাবে, সেখানে ড. ইউনূসকে সম্প্রতি চীন সফরে লাল গালিচা সবংর্ধনা দিয়েছে ওরা। ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুধু তাই নয় এই সফরে ড. ইউনূস বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য এনেছেন দ্হুাত ভরে।
যাদের সাথে হাসিনা বৈঠক করার সুযোগ না পেয়ে শুধুমাত্র সেলফি তুলেই সন্তুষ্ট থাকতেন আর দেশ জুড়ে প্রোপাগান্ডা ছাড়াতেন। তাদের কাছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস সম্মানীত, এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও বিমসটেক সম্মেলনের সময় করা বৈঠকে, দাঁড়িয়ে সম্মান জানাতে দেখা যায় এই নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদকে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?