নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নাজমুল হাসান সাম্প্রতিক এক ফেসবুক পোস্টে বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেছেন। তার মতে, একটি সিন্ডিকেট ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং তৈরি করে এই খাতে অনিয়মের সুযোগ নিচ্ছিল।
তিনি সাবেক জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং তার পরিবারকে “সর্বকালের সেরা বিদ্যুৎ চোর” আখ্যা দিয়ে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন। নাজমুলের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
নাজমুল তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে, গত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন হলেও লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় সন্দেহ তৈরি হয়। তবে এবারের রমজানে লোডশেডিং কম হওয়াকে তিনি প্রমাণ হিসেবে দেখিয়েছেন যে, আগে একটি চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং তৈরি করত।
তার দাবি, এই সিন্ডিকেট নিজেদের পছন্দের পাওয়ার প্লান্ট মালিকদের সাথে যোগসাজশ করে কমিশন বাণিজ্য চালাতো। এভাবে তারা বিদ্যুৎ খাতকে একটি লাভজনক কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত খাতে পরিণত করেছিল।
নসরুল হামিদ বিপু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নাজমুলের অভিযোগ অত্যন্ত কঠোর। তিনি লিখেছেন, “বিপু একটা চোর, ওর বউ চোর, ভাই চোর, সন্তানেরা চোর। ওদের গত ১০ বছরের চলাফেরা দেখলে মনে হয় বিপু রাজা আর আমরা প্রজা।”
নাজমুল আরও অভিযোগ করেন যে, বিপু তার ক্ষমতা ও অর্থের জোরে রাজনীতিকে রাজপথ থেকে এসি রুম ও ফাইভ স্টার হোটেলে নিয়ে গেছে। এছাড়া, তিনি বিপুকে এলাকার রাজনীতিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দায়ী করেন।
নাজমুল হাসান তার পোস্টে নিজের রাজনৈতিক অবস্থানও স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, “আমি দলের থাকলেও সমালোচনা করেছি, বড় বড় নেতাদের অন্যায়ের জবাব দিয়েছি। নেত্রী (শেখ হাসিনা) জীবিত থাকতে রাজনীতি করতে চাই, নেত্রী না থাকলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
পোস্টের শেষে তিনি শেখ হাসিনার একটি উদ্ধৃতি টেনে বলেন, “এই আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা ছাড়া সবাইকে কেনা যায়”—এ কথাকে তিনি শতভাগ সত্য বলে মেনে নিয়েছেন।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?