আক্কাছ আলী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আমাদের এখানে মোটামুটি একটা ডিসিশন হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি একটা মেডিক্যাল কলেজ যাতে করা যায়। হয়তো এইটা এক মাস বা দুই মাসের ভিতরে মেডিকেল কলেজ উদ্বোধন করা যায় এজন্য আমরা সবাই চেষ্টা করতাছি।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) এই উক্তি করে বলছেন, এছাড়াও মুন্সীগঞ্জের ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত, কুন্ডেরবাজার ব্রিজ ও দিঘিরপাড় সেতু, পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মুন্সীগঞ্জ পৌরভবন এবং শিল্পকলা একাডেমি উন্নয়ন, কাটাখালী খাল সংস্কারসহ জেলার প্রয়োজনীয় জরুরি উন্নয়ন করা হবে।
সোমবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে তিন উপদেষ্টা, নৌবাহিনীর প্রধান, ছয়জন সচিব, এনটিএমসির মহাপরিচালক, ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডিবি প্রধানসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের উপরিস্থিতে জেলার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিশেষ এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সাথে ছিলেন শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মানিত সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. নজরুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার,
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. মফিদুর রহমান, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, এসবি বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. গোলাম রসুল, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাবিনা আলম,
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়াসহ দেশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় কর্মকর্তাগণের উপস্থিতি ছিলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত। আয়োজনটিতে মুন্সিগঞ্জের ভ্রমণবই “প্রত্নকথা” এর মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।
সভায় জেলার চলমান ও পরিকল্পিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন —সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ছাড়াও সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তাঘাট উন্নয়ন, মুন্সিগঞ্জের রাস্তা সংক্রান্ত প্রকল্প ও কাটাখালী খাল উন্নয়ন প্রকল্প, মাওয়া ফেরিঘাট অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পসহ উন্নয়ন সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা তাঁদের পরিকল্পনা ও প্রকল্পের অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরেন। উপদেষ্টা অতিদ্রুত মেডিকেল কলেজ স্থাপনের আশ্বাস দেন। অন্যান্য প্রকল্পের বিষয়গুলোও গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হয় এবং সেগুলোর নিয়মিত ফলোআপ করে দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে জোর দেয়ার জন্য সভায় বলা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল আলম জানিয়েছেন, প্রচীন সভ্যতার জনপদ মুন্সিগঞ্জে অবশেষে মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মুন্সিগঞ্জ জেনালের হাসপাতাল কম্পাউন্ডেই মেডিক্যাল কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। আর পুরনো কাছারী এলাকায় পুরাতন হাসপাতাল এলাকা থেকে পতাকা একাত্তর পর্যন্ত মেডিকেল কলেজের আবাসিক স্থাপনা এবং মাঠ করার বিষয়ে আলোচনা রয়েছে।
দেশের ছয়টি মেডিকেল কলেজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মুন্সিগঞ্জে কেন মেডিকেল কলেজ প্রয়োজন, এর সুফল ব্যাপকভাবে কীভাবে ছড়িয়ে পরবে সভায় তার যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়। ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঢাকার অদূরে মুন্সিগঞ্জে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপনের লক্ষ্যেই এই সভাটি সফল হয়েছে । সভায় মেডিকেল কলেজ স্থাপনের যৌক্তিকতার সম্ভাব্যতা মেডিকেল কলেজের ফিজিবিলিটি আর অবকাঠামো নিয়ে সফল আলোচনা হয়।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. দেওয়ান নিজামউদ্দিন হেলাল বলেন, মুন্সিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবি দীর্ঘদিনের। ভৌগলিক কারণেই মুন্সিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ স্থাপন জরুরি। এতে রাজধানীর উপর চাপ কমবে। এই প্রাণের দাবি এখন বাস্তবানের পথে।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?