মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

পল্লী বিদ্যুতে ‘শাটডাউনের’ নির্দেশদাতাদের সন্ধানে পুলিশ

পল্লী বিদ্যুতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ নামে সারা দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার নেপথ্যের উসকানিদাতা ও নির্দেশদাতাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এজন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রেপ্তার আট কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। আসামিরা কাদের নির্দেশে ও উসকানিতে সারা দেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করতে চেয়েছিল, তাদের নাম জানতে চাচ্ছেন জিজ্ঞাসাবাদে যুক্ত পুলিশের কর্মকর্তারা। আন্দোলনের নেপথ্যে […]

নিউজ ডেস্ক

২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২২

পল্লী বিদ্যুতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ নামে সারা দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার নেপথ্যের উসকানিদাতা ও নির্দেশদাতাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এজন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রেপ্তার আট কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। আসামিরা কাদের নির্দেশে ও উসকানিতে সারা দেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করতে চেয়েছিল, তাদের নাম জানতে চাচ্ছেন জিজ্ঞাসাবাদে যুক্ত পুলিশের কর্মকর্তারা। আন্দোলনের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের চিহ্নিত করতে গ্রেপ্তার কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

‘দুই দফা বাস্তবায়নের দাবিতে’ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করে দেওয়া হয়। এতে দেশের বিভিন্ন এলাকা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকে। ওই ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় বিভিন্ন জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনকারী নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে আটজন রিমান্ডে রয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার ছয়জনকে এবং গতকাল শনিবার দুজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মামলার তদন্তকারীরা মনে করছেন, আন্দোলনের নামে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা ও জনমনে সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল আন্দোলনকারীরা। এ চক্রান্তের নেপথ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত। আন্দোলনকারীরা বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের মদদে নানা অযৌক্তিক দাবি-দাওয়ায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশিকুর রহমান দেওয়ান বলেন, রিমান্ডে থাকা আসামিদের এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য ও মোবাইল ফোনে থাকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট দেখে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচলের নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের আভাস মিলেছে। এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্য কুশীলব কারা এবং আসামিরা কাদের উসকানি ও নির্দেশে এ ধরনের কাজ করেছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তারা (আসামিরা) আন্দোলনের আগে-পরে কাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছে, কাদের নির্দেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, তা নিশ্চিত হতে মোবাইল ফোনগুলো ফরেনসিক পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ খাত অস্থিতিশীল করতে আন্দোলনকারীরা শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। তারা এজন্য কর্মবিরতি পালন, গণছুটি ও গণপদত্যাগ, সিস্টেম ব্ল্যাক আউট, দাবি আদায়ের নামে মাঠ পর্যায়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে তালা মারা, আগুন দেওয়া, সাইনবোর্ড ভাঙা, অফিসে ঢুকে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা, তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া ও বাসার বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।

খিলক্ষেত থানা পুলিশ জানায়, পৃথক দুই মামলায় গত শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর বেলাল হোসেনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। গতকাল লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (আইটি) এস কে শাকিল আহমেদকে দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন জেলায় মোট ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৬০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গত বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিক থেকেই দেশের সব পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের একীভূতকরণ এবং দুই চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন চলে আসছিল। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত মে ও জুলাই মাসে ১৫ দিন কর্মবিরতি, আগস্টে লং মার্চ টু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটামে গণছুটি ঘোষণা, সারা দেশে একযোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে তারা। এমন প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২০ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা ও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে আন্দোলন শুরু করেছিল সমিতিগুলো। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের অনুরোধে সেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৮২৯

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৪৫৯

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৭৯২

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৮২৯