শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

পল্লী বিদ্যুতে ‘শাটডাউনের’ নির্দেশদাতাদের সন্ধানে পুলিশ

পল্লী বিদ্যুতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ নামে সারা দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার নেপথ্যের উসকানিদাতা ও নির্দেশদাতাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এজন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রেপ্তার আট কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। আসামিরা কাদের নির্দেশে ও উসকানিতে সারা দেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করতে চেয়েছিল, তাদের নাম জানতে চাচ্ছেন জিজ্ঞাসাবাদে যুক্ত পুলিশের কর্মকর্তারা। আন্দোলনের নেপথ্যে […]

নিউজ ডেস্ক

২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২২

পল্লী বিদ্যুতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ নামে সারা দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার নেপথ্যের উসকানিদাতা ও নির্দেশদাতাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এজন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রেপ্তার আট কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। আসামিরা কাদের নির্দেশে ও উসকানিতে সারা দেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করতে চেয়েছিল, তাদের নাম জানতে চাচ্ছেন জিজ্ঞাসাবাদে যুক্ত পুলিশের কর্মকর্তারা। আন্দোলনের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের চিহ্নিত করতে গ্রেপ্তার কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

‘দুই দফা বাস্তবায়নের দাবিতে’ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করে দেওয়া হয়। এতে দেশের বিভিন্ন এলাকা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকে। ওই ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় বিভিন্ন জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনকারী নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে আটজন রিমান্ডে রয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার ছয়জনকে এবং গতকাল শনিবার দুজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মামলার তদন্তকারীরা মনে করছেন, আন্দোলনের নামে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা ও জনমনে সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল আন্দোলনকারীরা। এ চক্রান্তের নেপথ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত। আন্দোলনকারীরা বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের মদদে নানা অযৌক্তিক দাবি-দাওয়ায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশিকুর রহমান দেওয়ান বলেন, রিমান্ডে থাকা আসামিদের এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য ও মোবাইল ফোনে থাকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট দেখে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচলের নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের আভাস মিলেছে। এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্য কুশীলব কারা এবং আসামিরা কাদের উসকানি ও নির্দেশে এ ধরনের কাজ করেছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তারা (আসামিরা) আন্দোলনের আগে-পরে কাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছে, কাদের নির্দেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, তা নিশ্চিত হতে মোবাইল ফোনগুলো ফরেনসিক পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ খাত অস্থিতিশীল করতে আন্দোলনকারীরা শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। তারা এজন্য কর্মবিরতি পালন, গণছুটি ও গণপদত্যাগ, সিস্টেম ব্ল্যাক আউট, দাবি আদায়ের নামে মাঠ পর্যায়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে তালা মারা, আগুন দেওয়া, সাইনবোর্ড ভাঙা, অফিসে ঢুকে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা, তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া ও বাসার বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।

খিলক্ষেত থানা পুলিশ জানায়, পৃথক দুই মামলায় গত শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর বেলাল হোসেনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। গতকাল লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (আইটি) এস কে শাকিল আহমেদকে দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন জেলায় মোট ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৬০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গত বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিক থেকেই দেশের সব পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের একীভূতকরণ এবং দুই চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন চলে আসছিল। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত মে ও জুলাই মাসে ১৫ দিন কর্মবিরতি, আগস্টে লং মার্চ টু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটামে গণছুটি ঘোষণা, সারা দেশে একযোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে তারা। এমন প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২০ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা ও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে আন্দোলন শুরু করেছিল সমিতিগুলো। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের অনুরোধে সেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

জাতীয়

ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি। মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ মে ২০২৫, ১৪:৪২

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি।

মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের একটি প্রস্তাবও তুলে ধরে। ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, বদিউল আলম মজুমদারকে উপরাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী ও ডা. শফিকুর রহমানকে উপপ্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রস্তাব করেন সভায় উপস্থিত ঐক্য ও সংহতি পরিষদের নেতারা।

এ ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারও প্রকাশ করেন তারা। তাদের প্রস্তাব অনুসারে, বিএনপি ২৫ শতাংশ, জামায়াত ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামি আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ২৫ শতাংশ সদস্য নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন নতুন এ দলটি।

জাতীয়

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

ইশরাক

নিউজ ডেস্ক

২৬ মে ২০২৫, ২২:৩৩

বিএনপি সমর্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে জয়ী হলেও মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারলেন না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তা বাতিল বলে গণ্য হয়—এই আইনি সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (২৬ মে) বিকেল ৪টায়।

শেষ দিনের শপথ নিশ্চিত করতে ইশরাকের আইনজীবী ও রিটকারী পক্ষ মরিয়া চেষ্টা চালান। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী শপথগ্রহণের পথ খুঁজতে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো মতামত আসেনি। এতে শপথের প্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি।

এ নিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, “সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

ইশরাকের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে তারা লিগাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। রিটকারী পক্ষও হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথা বলেছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন এই ইস্যু ঘিরে তুমুল আলোচনা চলছে। বিএনপি এবং ইশরাকের সমর্থকরা বলছেন, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ‘অদৃশ্য এক খেলার’ মাধ্যমে তাকে শপথ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

শেষ মুহূর্তে কিছু নমনীয়তা দেখা গেলেও, আইন মন্ত্রণালয়ের নিরব অবস্থান পুরো প্রক্রিয়াকে স্থবির করে দেয়। ফলে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই শপথ যুদ্ধের শেষ বিজয়ী আসলে কে?

জাতীয়

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ। স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ […]

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ মে ২০২৫, ১৮:২৬

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।
সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ করে আরএসও গোষ্ঠীর সদস্যরা শুধু মহড়াই চালাচ্ছে না, বরং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, আটক ও নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়ত তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে দুর্বল, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের টার্গেট করছে।

সম্প্রতি একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আরএসও এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ)-এর হাতে সীমান্তে অন্তত ১২টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসও এবং ৪টি এআরএ। প্রতিটি চেকপোস্টে ৩-৫ জন করে সশস্ত্র সদস্য নিয়োজিত রয়েছে, যারা নিয়মিত চাঁদা আদায়ে জড়িত।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস জানায়, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, পাচার এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

সংস্থাটি একে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে আখ্যায়িত করেছে এবং বাংলাদেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সীমান্তে আরএসও’র এই তৎপরতার পাশাপাশি পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ’র মধ্যে গোপন বৈঠকের তথ্যও পাওয়া গেছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য কেএনএফকে প্রাথমিকভাবে অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিষিদ্ধ ঘোষণা ও রাখাইনের জন্য কথিত ‘মানবিক করিডোর’ চালুর আলোচনা সীমান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি ‘রিফিউজি ইস্যু’ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত সীমান্ত রাজনীতি যা বাংলাদেশকে এক অদৃশ্য যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।