ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান ঈদ জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। একসাথে এক লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়ের উপযোগী করে ঈদ জামাত আয়োজন করা হয়েছে বলে রোববার (৩০ মার্চ) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
তিনি বলেন, ঈদের প্রথম জামাত শুরু হবে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই এতে অংশ নিতে পারবেন। ঈদ জামাত শেষে সকাল ৯টায় বর্ণাঢ্য ঈদ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে, যা পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠ থেকে শুরু হয়ে জাতীয় সংসদ ভবন পর্যন্ত যাবে। ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে মিছিলের শোভাযাত্রায় সামনে ও পেছনে থাকবে প্রায় ২০টি ঘোড়ার গাড়ি, যা ঢাকার ৪০০ বছরের ঈদ উৎসবের স্মৃতি নতুন করে উজ্জীবিত করবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি প্রশাসক জানান, ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ সময় তিনি মুসুল্লিদের প্রতি অনুরোধ জানান, কেউ যেন অনাকাঙ্ক্ষিত বা উসকানিমূলক কোনো ধরনের পতাকা নিয়ে না আসে।
এছাড়া তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে দুইদিনব্যাপী ঈদ মেলার আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে থাকবে প্রায় ২০০টি স্টল। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ আরও বেশি উপভোগ করতে পারবেন নগরবাসী।
নগরবাসীকে এই ঐতিহাসিক ঈদ আয়োজনের অংশ হতে আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, “ঈদ আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি ও ঐক্যের প্রতীক। এই আয়োজন শুধু ঈদের নামাজ নয়, বরং ঐতিহ্য, সম্প্রীতি ও সাম্যবোধের এক মিলনমেলা।”
বিশ্লেষকদের মতে, ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ব্যাপক প্রস্তুতি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে উৎসবের আমেজকে আরও গভীর করবে। নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনার দিক থেকে ডিএনসিসির এ প্রস্তুতি ঈদ আনন্দকে নির্বিঘ্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?