হোটেল ইন্টার-কন্টিনেন্টাল এলাকায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগে বামপন্থী দলের ১২ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের।
গত মঙ্গলবার নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে গণপদযাত্রার আয়োজন করেন। এ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যেখানে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এজাহারে উল্লিখিত ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহম্মেদ, ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল আমিন রহমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সভাপতি সুমাইয়া শাহিনা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহাম্মদ চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রী আদ্রিতা রায়, ছাত্র ফেডারেশনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আরমান, হাসান শিকদার ও সীমা আক্তার, বাম ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জড়িত রিচার্ড এবং অং অং মারমা।
পুলিশের দাবি, আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ করে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা করা হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলেন, কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ ঘটনায় বামপন্থী সংগঠনগুলো তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং আটক নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তির দাবি করেছে। তারা বলছেন, এটি তাদের আন্দোলন দমন করার জন্য সরকারের রাজনৈতিক কৌশল।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বামপন্থী সংগঠনগুলোর আন্দোলন বাড়ছে এবং সরকারও তাদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পুলিশের দায়ের করা মামলাটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও গুরুত্ব বহন করছে, যেখানে একপক্ষ বলছে এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে করা হয়েছে, অন্যপক্ষ বলছে এটি রাজনৈতিক দমন-পীড়নের অংশ।
এই মামলার বিষয়ে আগামী দিনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেটির ওপর পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?