বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক হওয়ায় ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যকর উদ্যোগ ও ব্যবসার জন্য নীতিগত সহায়তার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে, যা ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদে এই গতি ধরে রাখতে হলে নীতিগত বিষয়গুলো সহজ করতে হবে এবং স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানির ঘাটতি পূরণ করতে হবে। সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা […]

নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক হওয়ায় ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৮

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যকর উদ্যোগ ও ব্যবসার জন্য নীতিগত সহায়তার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে, যা ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদে এই গতি ধরে রাখতে হলে নীতিগত বিষয়গুলো সহজ করতে হবে এবং স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানির ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে সাময়িক হলেও বাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা পেয়েছিল। বিশেষ করে গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে, যার ফলে সরবরাহ ব্যবস্থায় ঘাটতি দেখা দেয়। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বাজার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়।

বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) একসঙ্গে কাজ করছে। বাণিজ্য নীতি সহজ করা, শুল্ক সমন্বয় এবং বাজার পর্যবেক্ষণ জোরদার করার ফলে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে।

তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, আলুর বাজারে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল। তবে সরকার নীতিগত সহায়তা দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তিনি বলেন, কৃষকদের স্বার্থও রক্ষা করতে হবে, যেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা ও কৃষকদের রক্ষা করা—এই দুই দিক বিবেচনায় রেখে সরকার পরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছে।

ভোজ্যতেলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রাইস ব্রান তেল বাজারে আনতে সরকার নীতিগত সহায়তা দিচ্ছে। পাশাপাশি দেশের চাহিদা মেটাতে সয়াবিন তেল ও পামওয়েল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। দেশীয় সরিষার তেলের উৎপাদনও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফলে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতো বড় উৎসবেও ভোজ্যতেলের ঘাটতি হবে না।

শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, শুধু ভোজ্যতেল নয়, শাক-সবজি, চাল, ডিম, গরুর মাংস, খাসির মাংস ও মুরগির মাংসের সরবরাহ নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়, বরং রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনার মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্যের ওপর যৌক্তিক নীতিমালা তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করছে, যাতে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন এবং উৎপাদন খরচও সহনীয় থাকে। হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য যদি আমদানি নির্ভর হয়, তবে এ ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সরকার বাণিজ্য নীতি ও ব্যবসা পরিচালনার নিয়ম সহজ করেছে। এর ফলে স্থানীয় উৎপাদন বাড়বে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। বর্তমান সরকারের উদ্যোগের ফলে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, যা সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৬০

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৬০

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬০১

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৬০