বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

ভোরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আকস্মিক থানা পরিদর্শন  

ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আকস্মিকভাবে কয়েকটি থানা পরিদর্শনে নেমেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ থানাগুলোর কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য সোমবার ভোর থেকেই তিনি এ কার্যক্রম শুরু করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসান জানান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এদিন ভোর […]

ভোরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আকস্মিক থানা পরিদর্শন  

ছবি: সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

১০ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৫

ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আকস্মিকভাবে কয়েকটি থানা পরিদর্শনে নেমেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ থানাগুলোর কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য সোমবার ভোর থেকেই তিনি এ কার্যক্রম শুরু করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসান জানান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এদিন ভোর থেকে পর্যায়ক্রমে তেজগাঁও, কলাবাগান, শাহবাগ এবং নিউমার্কেট থানাসহ রাজধানীর আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ থানা পরিদর্শন করছেন। এই পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এবং পুলিশের দায়িত্ব পালনের অবস্থা সরেজমিনে দেখা।

পরিদর্শনের সময় প্রতিটি থানার দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি থানাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মামলা নিষ্পত্তির গতি, অপরাধ দমন কার্যক্রম এবং সাধারণ নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তির বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যালোচনা করেন। এছাড়া থানার নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং জনসাধারণের প্রতি পুলিশের আচরণ সম্পর্কেও বিস্তারিত খোঁজ নেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আকস্মিক এই পরিদর্শনের খবর ছড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে তৎপরতা বেড়ে যায়। অনেক থানায় দায়িত্বরত কর্মকর্তারা পরিদর্শনের বিষয়ে আগে থেকে অবগত ছিলেন না, ফলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা থানার কর্মপরিকল্পনা এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পর্কে বাস্তবচিত্র দেখতে পান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী থানাগুলোতে উপস্থিত হয়ে অপরাধ দমন, মামলা পরিচালনা এবং পুলিশের তৎপরতার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি পুলিশ সদস্যদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনগণের আস্থার প্রতীক হতে হবে। অপরাধ দমনে পুলিশকে আরও সক্রিয় এবং নিষ্ঠাবান হতে হবে। কোনো ধরনের গাফিলতি বরদাশত করা হবে না।”

রাজধানীতে সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই, মাদক চোরাচালান, নারী নির্যাতন ও যানজটসহ বিভিন্ন সমস্যা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। থানাগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তি ও ক্যামেরার ব্যবহার বৃদ্ধি, টহল ব্যবস্থা জোরদার এবং অপরাধ দমনে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ারও নির্দেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, “জনগণের নিরাপত্তা ও স্বস্তি নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার। এজন্য আমরা নিয়মিতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি, যাতে কোথাও কোনো দুর্বলতা না থাকে।”

পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরীর অপরাধ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর জন্য পৃথক দিকনির্দেশনা দেন। পাশাপাশি, নগরীর আইনশৃঙ্খলা আরও সুসংহত করতে গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানোর উপরও গুরুত্ব দেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের আকস্মিক পরিদর্শন অব্যাহত থাকবে। নগরীর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও বেশ কিছু থানায় এই ধরনের পরিদর্শন পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেখানে বিশেষ নজর দেওয়া হবে অপরাধ দমন কার্যক্রম, পুলিশের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং জনগণের প্রতি সেবার মানোন্নয়নের ওপর।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই আকস্মিক পরিদর্শন সাধারণ জনগণের মাঝে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, পুলিশের কার্যক্রম সরাসরি মনিটরিংয়ের ফলে পুলিশের সেবার মান উন্নত হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।

তবে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য শুধু পরিদর্শন যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন আইনশৃঙ্খলা বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, অপরাধ দমনে কেবল পুলিশ বাহিনীর মনিটরিং নয়, বরং প্রশাসনিক কাঠামোরও শক্তিশালী সংস্কার প্রয়োজন, যাতে পুলিশ বাহিনী আরও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর আকস্মিক পরিদর্শন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে সাধারণ নাগরিকদের প্রত্যাশা, সরকারের কঠোর নজরদারিতে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে এবং জনগণ আরও নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল একটি শহর ফিরে পাবে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬০১

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৫৯

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬০১

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬০১