দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২৬ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের পাঠানো বিশেষ ফ্লাইটে দেশটির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। এটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও সুসংহত ও শক্তিশালী করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সফরকালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সাথে ড. ইউনূসের বৈঠক হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বিশেষ করে চীনের “বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ” (BRI) উদ্যোগে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলাপ-আলোচনা হতে পারে।
জানা গেছে, চীনের হাইনান প্রদেশে আগামী ২৫ থেকে ২৮ ডিসেম্বর ‘বোাও ফোরাম ফর এশিয়া’ (বিওএও) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এশীয় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ এই ফোরামে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। বাংলাদেশ সরকার সবুজ সংকেত দেওয়ার পর সফরটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়াতে এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। চীন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে প্রযুক্তি সহযোগিতা পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। তাই এই সফর বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন গিয়েছিলেন। তার সফরের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সংলাপের গতি আরও বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সফর শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রেই নয়, বরং আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?