বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

শিক্ষার্থীরা দেশের ভেতরেই ভবিষ্যত দেখতে পাবে: শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার

অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেছেন, তিনি এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেন যেখানে শিক্ষার্থীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পারবে এবং বাংলাদেশ থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। তিনি স্বীকার করেন যে, এই পরিবর্তন রাতারাতি সম্ভব নয়—একদিনে, এক বছরে, এমনকি পাঁচ বছরেও নয়। তবে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে ভিত্তি গড়ে তুলতে […]

শিক্ষার্থীরা দেশের ভেতরেই ভবিষ্যত দেখতে পাবে: শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার

ছবি: সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

০৬ মার্চ ২০২৫, ০০:৪২

অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেছেন, তিনি এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেন যেখানে শিক্ষার্থীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পারবে এবং বাংলাদেশ থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। তিনি স্বীকার করেন যে, এই পরিবর্তন রাতারাতি সম্ভব নয়—একদিনে, এক বছরে, এমনকি পাঁচ বছরেও নয়। তবে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে, তা নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বুধবার উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সচিবালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “দেশে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। আমরা কখনো ভাবিনি যে, আমাদের জীবদ্দশায় এভাবে মুক্তভাবে কথা বলার সুযোগ পাব। প্রধান উপদেষ্টা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, এটি নিঃসন্দেহে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। তিনি নিজেও বলেছেন, সামনের পথ সহজ হবে না, বরং কঠিন হবে। তবে এটি মোকাবিলা করতেই আমি এসেছি।”

শিক্ষাখাতকে একটি বিশাল ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা সবাই জনগণের টাকায় বড় হয়েছি। ফলে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে জনগণের প্রতি। শিক্ষা এমন একটি ক্ষেত্র, যা শুধু চাকরি বা কর্মসংস্থানের জন্য নয়, বরং একটি সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের মূল চালিকাশক্তি।”

নতুন দায়িত্ব গ্রহণের প্রসঙ্গে সি আর আবরার বলেন, “আমি কখনো ভাবিনি যে, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদে এসে দায়িত্ব পালন করব। তবে আমি মনে করি, শিক্ষা হলো এমন একটি মাধ্যম, যা ব্যক্তির কর্মদক্ষতা অর্জন, আত্মোন্নয়ন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি এটি বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে সহায়ক এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক তৈরির অন্যতম উপায়।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এমন হতে হবে, যা শিক্ষার্থীদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যা দেবে না, বরং তাদের বাস্তব জীবনের জন্য প্রস্তুত করবে। আমরা চাই, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিলেও দেশে ফিরে এসে কাজ করবে এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এজন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং গবেষণা কার্যক্রমে গুরুত্ব বাড়াতে হবে।”

নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা স্বীকার করেন, শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান চিত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পাঠ্যক্রমে আধুনিকীকরণ, দক্ষতা-ভিত্তিক শিক্ষা, প্রযুক্তির ব্যবহার, বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করাই হবে তার অন্যতম অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, “আমরা চাই, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ হোক, যেখানে শিক্ষার্থীরা দেশের মধ্যেই সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা পাবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ইতোমধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের উপযোগী শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা তৈরি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হলে শুধু নীতিমালা নয়, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সরকার, শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক এবং সাধারণ জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা হতে হবে এমন, যা ছাত্রদের শুধু চাকরির পেছনে ছোটার মানসিকতা থেকে বের করে এনে উদ্ভাবনী চিন্তা ও উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করবে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা খাত সংস্কারের প্রচেষ্টার বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এমন এক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী তার সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ বিকাশের সুযোগ পাবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো, শিক্ষাকে একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা, যা বৈষম্য দূর করবে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।”

প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বেশ কিছু নীতিগত সংস্কারের কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, গবেষণা কার্যক্রমের প্রসার, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ এবং ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী দক্ষতা অর্জনের বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষা উপদেষ্টা তার বক্তব্যের শেষে বলেন, “আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে শিক্ষার মান হবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতার উপযোগী, যেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু চাকরি প্রত্যাশী হবে না, বরং চাকরি সৃষ্টিকারী উদ্যোক্তায় পরিণত হবে।”

এই দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিকল্পনার আলোকে নতুন শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বে শিক্ষাখাতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছে দেশের শিক্ষা মহল।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬০০

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৫৯

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬০০

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৫৯